যেসব লক্ষণে বোঝা যাবে কিডনিতে পাথর জমছে
একুশে টেলিভিশন
প্রকাশিত : ১২:৫১ পিএম, ১২ মার্চ ২০২০ বৃহস্পতিবার
আমাদের শরীরের গুরুত্বপূর্ণ একটি অঙ্গ কিডনি। শরীরে জমে থাকা বর্জ্য পরিশোধিত হয় কিডনির মাধ্যমে। সার্বিক সুস্থতা বজায় রাখতে কিডনির যত্ন নেওয়া অত্যন্ত জরুরি। কিন্তু এই কাজটিকেই আমারা অবহেলা করে থাকি! তাই আমাদের দেশে কিডনির সমস্যায় আক্রান্ত মানুষের সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে।
চিকিৎসকরা এই রোগটি বলে থাকেন নিরব ঘাতক। কেননা কিডনি রোগটি একেবারে শেষ মুহূর্তে গিয়ে ধরা পড়ে। যখন আর বিশেষ কিছু করার থাকে না। আবার এই রোগটির চিকিৎসা খরচও বেশ ব্যয়বহুল।
আমাদের শরীরের রক্ত পরিশোধনের অঙ্গ হলো কিডনি। কিডনির নানা সমস্যার মধ্যে সবচেয়ে বড় সমস্যা হচ্ছে কিডনিতে পাথর হওয়া। এর প্রাথমিক লক্ষণগুলো নির্ভর করে পাথর কিডনির কোথায় এবং কী ভাবে রয়েছে। কিডনিতে পাথরের আকার-আকৃতিও একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। পাথর খুব ছোট হলে সেটি কোন ব্যথা-বেদনা ছাড়াই দীর্ঘদিন পর্যন্ত শরীরে থাকতে পারে! ফলে টেরও পাওয়া যায় না।
এবার জেনে নিন কিডনিতে পাথর হওয়ার লক্ষণ বা উপসর্গ সম্পর্কে...
• কিডনিতে পাথর জমলে রক্তবর্ণের প্রসাব হবে।
• বমি বমি ভাব থাকবে। অনেক সময় বমিও হতে পারে।
• কোমরের পেছন দিকে ব্যথা হবে। এই ব্যথা হবে তীব্র, তবে খুব বেশিক্ষণ স্থায়ী হয় না।
• ব্যথা কিডনির অবস্থান থেকে তলপেটে ছড়িয়ে পড়তে পারে।
কিডনিতে পাথর জমার কারণ
কিডনিতে পাথর জমা বা তৈরি হওয়ার প্রকৃত কারণ এখনও জানা যায়নি। তবে কিছু কিছু বিষয় কিডনিতে পাথর তৈরির কারণ বলে বিবেচিত হয়। যেমন...
• শরীরে পানির স্বল্পতা। কম পানি খাওয়ার জন্যই শরীরে পানির ঘাটতি থেকে যায়।
• বার বার কিডনিতে ইনফেকশন হওয়া এবং এর জন্য যথাযথ চিকিত্সার ব্যবস্থা না করা।
• অত্যধিক পরিমাণে দুধ, পনির বা দুগ্ধজাত খাবার খাওয়ার অভ্যাস।
• শরীরে ক্যালসিয়ামের মাত্রাতিরিক্ত আধিক্য।
চিকিৎসা
কিডনির অবস্থানে ব্যথা এবং রক্তবর্ণের প্রসাব হলে চিকিৎসকরা সাধারণত দুটো সম্ভাবনার কথা চিন্তা করেন। একটি হল কিডনির ইনফেকশন, অন্যটি কিডনিতে পাথর। তাই কিডনির এক্সরে, আলট্রা সনোগ্রাম এবং প্রসাবের নানা পরীক্ষা-নিরীক্ষার পরই উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়া হয়। কখনও পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি আর যথাযথ ওষুধ খেলেই এই সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। তবে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গেলে অস্ত্রপচারই একমাত্র উপায়।
সতর্কতা
• কিডনি স্টোনের ঝুঁকি এড়াতে হলে অবশ্যই প্রচুর পরিমাণে পানি খেতে হবে।
• কখনও প্রসাব আটকে বা চেপে রাখবেন না। প্রসাবের বেগ আসলে চেষ্টা করবেন সঙ্গে সঙ্গে প্রসাব করার।
• প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি যুক্ত খাবার খাবেন।
• দুধ, পনির বা দুগ্ধজাত খাবার অতিরিক্ত মাত্রায় না খাওয়াই ভাল।
• বার বার ইউরিন ইনফেকশন দেখা দিলে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নিবেন।
এএইচ/