ঢাকা, রবিবার   ২৪ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ৯ ১৪৩১

সংবিধানের ষোড়শ সংশোধনীর বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে দায়ের করা রিটের আদেশ ৫ই মে

প্রকাশিত : ০৮:২৩ পিএম, ১০ মার্চ ২০১৬ বৃহস্পতিবার | আপডেট: ০৮:২৫ পিএম, ১০ মার্চ ২০১৬ বৃহস্পতিবার

সংবিধানের ষোড়শ সংশোধনীর বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে দায়ের করা রিটের আদেশ ৫ই মে দেবে হাইকোর্ট। অ্যাটর্নি জেনারেল জানান, সামরিক ফরমানের মাধ্যমে সংবিধানে আনা পরিবর্তন বাতিল করে বাহাত্তরের সংবিধানে ফেরাই ছিল ষোড়শ সংশোধনীর মূল উদ্দেশ্য। আর রিটকারী আইনজীবী বলেছেন, ঐ সংশোধনীর মাধ্যমে সংবিধানের মৌলিক কাঠামোতে পরিবর্তন আনা হয়েছে। ২০১৪ সালের ১৭ সেপ্টেম্বর বিচারপতি অপসারণের ক্ষমতা সংসদের কাছে ফিরিয়ে নিতে সংবিধানের ষোড়শ সংশোধনী আনা হয়। বিলটি পাসের পর ২২ সেপ্টেম্বর তা গেজেট আকারে প্রকাশ পায়। এ সংশোধনীর বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে ঐ বছরের ৫ নভেম্বর সুপ্রিম কোর্টের ৯ আইনজীবী হাইকোর্টে রিট আবেদন করলে হাইকোর্ট রুল জারি করে। গত বছরের ২১ মে রুলের শুনানি শুরু হয়। শুনানীতে অংশ নিয়ে সংশোধনী কার্যকর করতে যে আইন প্রণয়ন করা প্রয়োজন, তা এখনো না হওয়ায় এ রিট করাটা সময়োপযোগী হয়নি বলে মন্তব্য করেন অ্যাটর্নি জেনারেল। তবে গেজেট প্রকাশিত হওয়ায় রিট চলতে পারে বলে জানান রিটকারীর আইনজীবী। অ্যাটর্নি জেনারেল আদালতকে জানান, সামরিক ফরমানের মাধ্যমে সংবিধানে যেসব পরিবর্তন আনা হয়েছিল, তা রহিত করে বাহাত্তরের সংবিধানে ফিরে যাওয়াই ছিল পঞ্চদশ ও ষোড়শ সংশোধনীর মূল উদ্দেশ্য। অন্যদিকে, রিটকারী আইনজীবী শুনানিতে বলেছেন, ষোড়শ সংশোধনীর মাধ্যমে সংবিধানের মৌলিক কাঠামোতে পরিবর্তন আনা হয়েছে। বিচারপতি মইনুল ইসলাম চৌধুরী, বিচারপতি কাজী রেজা-উল হক ও বিচারপতি আশরাফুল কামালের বৃহত্তর বেঞ্চে শুনানী শেষে ৫মে আদেশের দিন ঠিক করা হয়। আদালত অ্যামিকাস কিউরি হিসেবে ড. কামাল হোসেনসহ সিনিয়র ৫ আইনজীবীর মতামত শুনেন।