নয়াদিল্লিতে কোয়ারেন্টাইনে থাকার পর
২৩ বাংলাদেশি ফিরছেন আজ
একুশে টেলিভিশন
প্রকাশিত : ০৯:১৫ এএম, ১৪ মার্চ ২০২০ শনিবার
ভারতের রাজধানী নয়াদিল্লিতে ১৪ দিন কোয়ারেন্টাইনে থাকার পর স্বাস্থ্য ছাড়পত্র নিয়ে আজ শনিবার দেশে ফিরছেন ২৩ বাংলাদেশি। বিকেলে ইন্ডিগো এয়ারলাইনসের উড়োজাহাজে তারা দিল্লি ত্যাগ করবেন। বাংলাদেশ সরকারের আর্থিক সহায়তায় তাদের দেশে ফিরিয়ে আনা হচ্ছে।
তাদের স্বাস্থ্যের ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছে। এদের মধ্যে কেউই করোনায় আক্রান্ত হননি। একজন শিশুসহ একটি পরিবার এবং বাকিরা সবাই শিক্ষার্থী বলে জানা যায়। ২৩ জন সদস্যের ওই দলে থাকা এক শিক্ষার্থী টেলিফোনে এক বার্তা সংস্থাকে জানিয়েছেন, ‘ছাড়পত্র পেয়েছেন, শনিবার ঢাকায় ফিরছেন তারা।’
এর আগে গত ২৭ ফেব্রুয়ারি ভারতীয় বিমান বাহিনীর একটি বিশেষ বিমানে বেশ কয়েকজন ভারতীয় নাগরিকের সঙ্গে করোনা ভাইরাসের উৎপত্তিস্থল চীনের উহান থেকে তাদেরকে সরিয়ে নেয়া হয়েছিল।
এদিকে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স এবং স্থানীয় আরও ৩টি বিমান সংস্থা নয়াদিল্লির সাম্প্রতিক সিদ্ধান্তের প্রেক্ষিতে ভারতে তাদের সব ফ্লাইট স্থগিত করার ঘোষণা দিয়েছে। তবে বাংলাদেশি নাগরিকদের শনিবার সুষ্ঠুভাবে ফিরিয়ে আনার জন্য বাংলাদেশ হাইকমিশন এবং ভারতীয় কর্তৃপক্ষের মধ্যে যোগাযোগ অব্যাহত রয়েছে বলে জানিয়েছেন দেশে ফেরত আসার জন্য অপেক্ষায় থাকা এক শিক্ষার্থী।
অন্যদিকে ১২ মার্চ বা তার আগে ভারতীয় হাইকমিশন বা ভারতের সহকারী হাইকমিশন দ্বারা প্রদত্ত সব বৈধ ভিসা ১৩ মার্চ থেকে ১৫ এপ্রিল পর্যন্ত স্থগিত থাকবে। করোনা ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ার প্রেক্ষিতে ভারতে ভ্রমণের ক্ষেত্রে নির্দেশনা জারি করেছে দেশটির সরকার। কূটনীতিক, কর্মকর্তা, ইউএন/আন্তর্জাতিক সংস্থা, কর্মসংস্থান এবং প্রকল্প ভিসা ছাড়া বিদ্যমান অন্য সব ভিসা ১৫ এপ্রিল পর্যন্ত স্থগিত করেছে ভারত। ১৩ মার্চ থেকে এ নির্দেশনা কার্যকর হবে বলে জানিয়েছে ভারতের প্রেস ইনফরমেশন ব্যুরো।
উল্লেখ্য, বিশ্বের ১৩১টি দেশে করোনা ভাইরাস ছড়িয়ে পড়েছে। চীনের জাতীয় স্বাস্থ্য কমিশনের বরাত দিয়ে আজ শুক্রবার স্থানীয় সংবাদমাধ্যম দ্য চায়না মর্নিং পোস্ট জানিয়েছে, ‘বিশ্বের অন্তত ১১৪টি দেশে ছড়িয়ে পড়া প্রাণঘাতি করোনা ভাইরাসে গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে ৩৩৯ জনের প্রাণহানি ঘটেছে। এ নিয়ে এখন পর্যন্ত মৃত্যু হয়েছে ৪৯৪৮ জনের। আক্রান্ত হয়েছে আরও ৮ হাজারেরও বেশি মানুষ। যা নিয়ে বর্তমানে ১ লাখ প্রায় সাড়ে ৩২ হাজার মানুষ ভাইরাসটিতে আক্রান্ত।’
ভাইরাসটিতে মূলভূখন্ড চীনে এখন পর্যন্ত মারা গেছেন ৩ হাজার ১৭৬ জন। আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৮০ হাজার ৮১৩ জনে। সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন এখন পর্যন্ত প্রায় ৭০ হাজার নাগরিক।
অপরদিকে চীনের বাহিরে মৃত্যুকূপে পরিণত হয়েছে ইউরোপীয় রাষ্ট্র ইতালি। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশটিতে ২০৫০ জনের মৃত্যু হয়েছে। যা একদিনে সর্বোচ্চ। এর আগের দিন ১৮৯ জন, তার আগের দিন ১৯৫ জন মারা যায় প্রাণঘাতী এ ভাইরাসে। প্রতিদিনই বাড়ছে মৃতের সংখ্যা। এতে করে দেশটিতে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ২৬৬ জনে।
দেশটিতে নতুন করে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন অন্তত আড়াই হাজার মানুষ। এ নিয়ে আক্রান্তের সংখ্যা ১৫ হাজার ছাড়িয়েছে। যা চীনের পরেই সর্বোচ্চ। চলমান এমন ভয়বাহ পরিস্থিতে ইউরোপকে মহামারির আশ্রয়কেন্দ্র হিসেবে ঘোষণা দিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা।
এআাই/