ঢাকা, বুধবার   ২৭ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ১২ ১৪৩১

ভোক্তা অধিকার নিশ্চিতে চালু হচ্ছে ‘হটলাইন’ 

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ০৫:০২ পিএম, ১৪ মার্চ ২০২০ শনিবার

ভোক্তা সাধারণ যাতে অভিযোগ ও প্রতিকার নিয়ে কথা বলতে পারেন সে লক্ষ্যে ‘হটলাইন’ সেবা চালু করছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অধীনে থাকা জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর। আগামীকাল রোববার বিশ্ব ভোক্তা-অধিকার দিবসে সেবাটির উদ্বোধন করবেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি। 

আজ শনিবার জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সম্মেলন কক্ষে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানান ভোক্তা অধিকার নিয়ে কাজ করা প্রতিষ্ঠানটির মহাপরিচালক (ডিজি) বাবলু কুমার সাহা।

তিনি বলেন, ‘ভোক্তা বাতায়ন’ শীর্ষক এই হটলাইন সেবা চালু হলে দেশের প্রত্যান্ত অঞ্চলের একজন সাধারণ ভোক্তা তার সমস্যার কথা তুলে ধরে প্রতিকার চাইতে পারবেন, অধিকার সম্পর্কে জানতে ও কিভাবে অভিযোগ দায়ের করতে হয় তাও জানতে পারবেন।’ 

নতুন বছরে ভোক্তাদের অধিকার প্রতিষ্ঠায় কি ধরনের পদক্ষেপ নিচ্ছেন-এমন প্রশ্নের জবাবে ভোক্তা অধিকারের মহাপরিচালক বলেন, ‘আমরা শুধু অভিযোগ পেলেই কেবল অভিযানে যাই, তা কিন্তু নয়। সপ্তাহের সাতদিনই রাজধানীর বিভিন্ন জায়গায় অভিযান চালানো হয়। আমাদের জনবল ও লজেস্টিক সীমাবদ্ধতা থাকা সত্ত্বেও নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে।’

বাবলু কুমার বলেন, ‘সম্প্রতি করোনায় মাস্কের দাম নিয়ন্ত্রণে অভিযানগুলো কোনো অভিযোগের ভিত্তিতে নয়, জনসাধারণের চিন্তা করেই নিজে থেকে অভিযান চালানো হয়েছে। শুধু ঢাকা শহরেই নয়, প্রশাসন, পুলিশ ও ব্যবসায়ীদের সহযোগিতায় সারাদেশে অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে। জরিমানার সঙ্গে ব্যবসায়ীদের করণীয় দিক নির্দেশনা দিতে অফিসে ও অভিযানের সময় বলে দেয়া হচ্ছে।’

তিনি বলেন, ‘আমাদের ভোক্তা বান্ধবের পাশাপাশি ব্যবসায়ী বান্ধবও হওয়া উচিত। কেননা, দেশের অগ্রযাত্রায় ব্যবসায়ীদের ভূমিকাও অনেক বেশি। দেশের অধিকাংশ মানুষই ভাল, কিন্তু দু’একজন অসাধু ব্যবসায়ীর কারণে আমাদের মাঝে মাঝে ছন্দপতন ঘটে। এটি যাতে না ঘটে, সেজন্য প্রতি বুধবার রাজধানীর বিভিন্ন ব্যবসায়ীদের নিয়ে সচতনতামূলক সভা করা হয়ে থাকে।’

একই প্রতিষ্ঠানে একাধিকবার অভিযানেও সংশোধন না হওয়ায় কোনো প্রতিষ্ঠানকে স্থায়ী শাস্তির আওতায় আনা যায় কিনা জানতে চাইলে এ মহাপরিচালক বলেন, ‘এক্ষেত্রে আমরা ওই প্রতিষ্ঠানকে দ্বিগুণ শাস্তি প্রদান করে থাকি। তবে শুধু ব্যবসায়ীদের দায়ী করলে হবে না, ভোক্তাদেরও অধিকার সম্পর্কে সচেতন হতে হবে। এ লক্ষ্যে বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকীতে বছরব্যাপী ইউনিয়ন পর্যায় থেকে শুরু করে বিভাগীয় পর্যন্ত সচেতনতামূলক কর্মসূচি পালন করা হবে।’

এক প্রশ্নের জবাবে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বলেন, ‘আমরা মূলত খুচরা ব্যবসায়ীদের নিয়ে কাজ করে থাকি। বাণিজ্য মন্ত্রণালয় পাইকারি ও যারা উৎপাদক তাদের নিয়ে নিয়মিত বৈঠক করছে। তবে উৎপাদক ও ব্যবসায়ী ভিন্ন ধরণের কথা বলছেন। তাই আমরা তাদের মূল রশিদ সংরক্ষণ করতে বলেছি। তা দেখে আমরা প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিব।’ 

আরকে//