করোনা ভাইরাস: আতঙ্কে শেকৃবির শিক্ষার্থীরা
একুশে টেলিভিশন
প্রকাশিত : ০৯:০৪ পিএম, ১৪ মার্চ ২০২০ শনিবার
আতঙ্কের নতুন নাম 'করোনা ভাইরাস'। যা থেকে বাঁচার জন্য যেকোন ধরণের পদক্ষেপ গ্রহণ এখন সময়ের দাবি। যেকোন সময় রাজধানীর শেরে বাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে (শেকৃবি) এ ভাইরাস ছড়িয়ে যেতে পারে।
নবাব সিরাজ উদ দৌলা হল, শেরেবাংলা হল এবং কবি কাজী নজরুল ইসলাম হল এই ৩ হলে মোট ৫ টি গণরুমের অবস্থা অত্যন্ত ভয়াবহ যেখানে প্রয়োজনের অতিরিক্ত শিক্ষার্থী গাদাগাদি অবস্থান করে এবং বেশিরভাগ শিক্ষার্থী ঘুমায় মেঝেতেই। করোনাভাইরাসের মতো সহজে সংক্রমিত হয় এমন রোগ এখানে প্রবেশ করলে তা বিপর্যয় ডেকে আনতে পারে নিঃসন্দেহে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ৩ টি হলের ৫ টি গণরুমে ২০০ এর বেশি শিক্ষার্থী এভাবেই আছে। দেশে নভেল করোনাভাইরাস কোভিড-১৯ আক্রান্ত রোগী পাওয়া যাওয়ায় এভাবে তাদের বসবাস বেশ উদ্বেগের।
ছেলেদের ৫ টি গণরুম সরেজমিনে পরিদর্শন করে গণরুমগুলোর অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ দৃশ্যমান হয়। বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থীর দাবি, করোনাভাইরাসের সম্ভাব্য সংক্রমণ রোধে কর্তৃপক্ষের উচিত সব একাডেমিক কার্যক্রম এবং বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ রাখা।
নবাব সিরাজ উদ দৌলা হলের ৭৭ তম ব্যচের শিক্ষার্থী মো. মেহেদী হাসান বলেন , অতীত অভিজ্ঞতায় ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণেও বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে অনেক কাঠখড় পোড়াতে হয়েছে।অনেক শিক্ষার্থী এতে আক্রান্ত হয়েছিলো। নতুন শিক্ষার্থীদের আগমনে প্রতিটি গনরুম এখন ঘনবসতিপূর্ণ হয়ে গেছে। এমন অবস্থায় যদি কেউ আক্রান্ত হয় তাহলে সকল শিক্ষার্থীদের সমস্যায় পড়তে হবে। তাই এ বিষয়ে ক্যাম্পাস অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ রাখতে প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।
বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের সবচেয়ে বড় ফেসবুক গ্রুপ ‘সাউ ফ্যামিলি’তে চলমান অনলাইন জরিপে জানা যায়, ৯৬ শতাংশের বেশি শিক্ষার্থী সাময়িকভাবে বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ চায়। ঐ জরিপে তিন ঘন্টায় ১১৪২ জন শিক্ষর্থী অংশগ্রহণ করে।
শেকৃবির চীফ মেডিক্যাল অফিসার ডা. খন্দকার মো. শহীদুল ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন, করোনা ছড়িয়ে যাওয়ার আগেই বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধের বিষয়ে প্রশাসনের ভেবে দেখা উচিৎ।
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপচার্য ড. কামাল উদ্দিন আহাম্মদ জানান, আলোচনা সাপেক্ষে আগামীকাল রবিবার বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধের বিষয়ে সিদ্ধান্ত জানানো হবে।
কেআই/আরকে