কাশির শিষ্টাচার
একুশে টেলিভিশন
প্রকাশিত : ০৬:০১ পিএম, ১৫ মার্চ ২০২০ রবিবার | আপডেট: ০৬:১৪ পিএম, ১৫ মার্চ ২০২০ রবিবার
নভেল করোনা ভাইরাস মানুষের আচরণের ত্রুটিগুলো স্পষ্ট করে সামনে নিয়ে এসেছে। মানুষের কিছু আচরণ যা তাকে সভ্য ও সামাজিক জীবনে সহনীয় করে তুলে –সেই আচরণগুলোর ঘাটতি আজ আমাদের এক ভয়াবহ মহামারীর মুখে দাঁড় করিয়ে দিয়েছে। কীভাবে হাত ধুতে হয়, কীভাবে কাশি দিতে হয়, কীভাবে জীবাণু ছড়ায় –তার পদ্ধতি নিয়ে অনেক আলোচনা হচ্ছে। এই লেখা সেটা নিয়ে নয়। এই লেখা আমাদের দেশে সামাজিক জীবনে স্বাভাবিক শিষ্টাচারের অভাবের প্রকটতা নিয়ে।
মানুষের মেধা ও মানবিকতা তাকে প্রাণীদের থেকে উন্নত ও পৃথক করেছে। সামাজিক প্রাণী হিসেবে মানুষ তার বন্য অতীত পিছনে ফেলে আজ সভ্যতার শিখরে উঠেছে। সবকিছুর পাশাপাশি সামাজিক জীবনে এমন কিছু আচরণ আছে যা তার সভ্যতার বহিঃপ্রকাশ এবং সামাজিক প্রাণী হিসেবে তাকে সহনীয় করেছে। এই আচরণগুলো সে পরিবার, সমাজ ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে শেখে। বলছি ব্যক্তিগত ও সামাজিক শিষ্টাচারের কথা। বিদেশের অনেক দেশে এগুলো প্রাইমারি স্কুলে শেখানো হয়। খাবার টেবিলের কিছু আচরণ যাকে টেবিল ম্যানারস বলে, শৌচাগার ব্যবহারের ভব্যতা, সামাজিক পরিবেশে হাঁচি-কাশির কিছু ভদ্রতা, যেখানে প্রয়োজন সেখানে ‘ধন্যবাদ‘ অথবা ‘স্যরি‘ বা ‘দুঃখিত‘ অথবা ‘এক্সকিউস মি’ বা ‘কিছু মনে করবেন না‘ বলা, শিশু, বৃদ্ধ, নারীদের প্রতি যত্নশীল আচরণ ইত্যাদি।
বাংলাদেশের মানুষের ক্ষেত্রে এই ভদ্রতার শিক্ষাগুলোর মারাত্মক ঘাটতি আছে। না পরিবারে না শিক্ষা ক্ষেত্রে – কোথাও এই বিষয়গুলো প্রাধান্য পায় না। আমরা যেখানে সেখানে বর্জ্য ফেলি, কফ-থুতু-পানের পিক যত্রতত্র ফেলা খুব স্বাভাবিক ঘটনা। আমরা যারা বাংলাদেশের সরকারি হাসপাতালে কাজ করি তারা জানি, এই কফ-থুতু-পানের পিক ফেলা আমাদের হাসপাতালগুলোর জন্য কত বড় সমস্যা। আমি এমন করতে দেখলেই আমার চাকরি ক্ষেত্রে প্রতিবাদ করি এবং বোঝানোর চেষ্টা করি যে আপনার থুতুতে যে জীবাণু আছে তা আশেপাশের মানুষের ক্ষতির কারণ হবে। খুব কম ক্ষেত্রেই আমি কাউকে দুঃখিত হতে দেখি। বরং তারা অবাক হয়ে আমার দিকে এমনভাবে তাকান যেন আমি শুধু শুধুই গায়ে পড়ে ঝগড়া করছি। আবার অনেকে উল্টো তেড়ে আসেন। একবার একজন দাঁত-মুখ জিজ্ঞেস করল, ‘থুতু আসলে কি করব? গিলে ফেলব?’ কি অদ্ভুত! সেটাও বলে দিতে হবে। সামনে আসছে রোজার মাস। এই থুতু ফেলার বিষয়টা আরও বাড়বে। কেন এমন করেন তারা, কোন শিক্ষায় – আমার জানা নাই।
এই মারমুখী, কিছুতেই ভাল কিছু শিখবো না, নিজের ভুল মানবো না টাইপের আচরণ আমাদের মধ্যে খুব বেশি। আমার এক প্রথিতযশা সাংবাদিক বন্ধু দুঃখ করে একটা ঘটনা বলছিলেন। তিনি তার অফিস থেকে সেদিন তার আরেক সাংবাদিক কলিগকে বের করে দিতে বাধ্য হয়েছেন, তাই তার মন খারাপ ছিল। ঘটনাটি হল, তার অফিস কক্ষে তিনজন অতিথি ছিলেন, দুজন মহিলা আর এক জন পুরুষ। পুরুষটি জোরে জোরে কাশছিলেন। কিন্তু একটি টিস্যু দিয়ে মুখটি যে ঢাকবেন, নিদেনপক্ষে মাথাটি সরিয়ে অন্যদিকে কাশবেন তা করছিলেন না। এখন করোনাভাইরাসের ব্যাপক ভীতি সবার। এখন বলা হচ্ছে তাৎক্ষণিক টিস্যু না থাকলে বা আচমকা কাশি আসলে, নিজের কনুইয়ের কাছে মুখ নিয়ে কাশতে যেন কাশি ছড়িয়ে না যায়। আমার সাংবাদিক বন্ধু তা মনে করিয়ে দিলে পুরুষটি তাচ্ছিল্যের সাথে বললেন যে, তিনি প্রান্তিক মানুষ, এগুলো তারা জানেনও না, মানেনও না। প্রান্তিক মানুষ হলেই সামাজিক সভ্যতা থাকবে না – এটাই যেন নিয়ম। এটা মেনে নেয়া যায় না। সহস্র বছরের সভ্যতার ইতিহাস পেরিয়ে যে মানব সন্তান বিংশ শতাব্দীর সম্মুখে যাত্রা করেছে, তার বেসিক পরিচ্ছন্নতা ও আচরণের সভ্যতা থাকবে এটাই স্বাভাবিক – তা তিনি শহরেই থাকুন অথবা গ্রামেই থাকুন।
মধ্যপ্রাচ্য থেকে আসা বিমানগুলোর টয়লেটের দুরবস্থা যারা দেখেছেন তারা জানেন আমাদের দেশবাসীর শৌচাগার ব্যবহারের শিষ্টাচারের কি অভাব। আপনি শৌচাগার ব্যবহারের পরে এমন ভাবে রেখে আসবেন যেন আপনার পরবর্তী ব্যক্তি আপনার উপর বিরক্ত না হয়। এক্ষেত্রে তারা প্রান্তিক মানুষ এই যুক্তি আমি মনে করি না সমর্থনযোগ্য। যিনি ভিসা করে, টিকেট কেটে বিমানে চড়ে বিদেশে যেতে পারেন, তার কাছ থেকে অন্তত শৌচাগার ব্যবহারের শিষ্টাচার অন্যরা আশা করতেই পারেন। অনুধাবন করি যে, তারা হয়তো উন্নত প্রযুক্তির কিছু বিষয়ের সাথে পরিচিত নন। এক্ষেত্রে তাদের কিছু বেসিক ট্রেনিং আগে দিয়ে নেয়া যায় কিনা সে ব্যাপারে আমি সংশ্লিষ্ট সরকারি সংস্থার দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।
সামাজিক শিষ্টাচারের শিক্ষা প্রাতিষ্ঠানিক করার দাবি করছি। জাপানে প্রথম কয়েকটি বছর শিশুদের মানবিক ও সামাজিক আচরণের শিক্ষা দেয়া হয় বলে শুনেছি। আমাদের দেশে মানবিক শিক্ষা দেবার আলাদা কোনো সিলেবাস নেই। আর সামাজিক আচরণের শিক্ষা সিলেবাসে অন্তর্ভুক্ত করার চিন্তাও আমাদের মাথায় আসে নাই বলেই প্রতীয়মান হয়। মানবিক শিক্ষা বলতে আমরা ধর্মীয় শিক্ষা বুঝি। দুটো বস্তুত এক নয়। নারীকে সম্মান জানিয়ে বাসের সিটটি ছেড়ে দেয়া, বৃদ্ধদের হাত থেকে ভারী বোঝাটি নিয়ে তাকে এগিয়ে দেয়া, অন্ধকে রাস্তা পার হতে সহায়তা করা – এ ধরণের সামাজিক সভ্যতা আমরা কোন বিষয়ের অন্তর্ভুক্ত করে কীভাবে বাচ্চাদের পড়াতে পারি – তা ভেবে দেখতে হবে। না হলে আমরা সামাজিক জীবনে সেই অভদ্রতা করে যাব যা এখন করে চলছি। নারীদের দেখলে সিটি মারা, গর্ভবতী নারীকে ধাক্কা মেরে লাইন ভেঙ্গে বাসে উঠে পড়া, বৃদ্ধদের অসম্মান করা, পুরুষ হয়ে নারীদের সিটে বসে যাওয়া আর কেউ কিছু বললে সমঅধিকার নিয়ে মুখ খিচড়ে যুক্তিহীন কুতর্ক করা – এসব সামাজিক শিষ্টাচারবিরোধী ব্যবহার আমাদের দেশে সাধারণ ঘটনা। এখনও এদেশে কিছু পুরুষ রাস্তায় দাঁড়িয়ে মুত্রত্যাগ করেন! এমন নিম্নবর্গের অসামাজিক প্রাণী থেকে মানবিক বোধসম্পন্ন রুচিশীল মানুষ হিসেবে জাতিগতভাবে আমরা যদি উন্নত হতে চাই, তবে প্রাইমারি লেভেলের শিক্ষার সিলেবাসে সুচিন্তিতভাবে এই বিষয়গুলো ঢুকাতে হবে। ফেইসবুকে একটা ভিডিও দেখেছিলাম সেখানে ২-৩ বছরের শিশুদের জাপানি এক শিক্ষিকা দুটা বেলুনের মাধ্যমে শৌচকর্মের পরে টিস্যু পেপার দিয়ে কীভাবে পরিচ্ছন্ন হতে হয়, তা দেখাচ্ছিলেন। কি ভাল পদক্ষেপ! আমাদের দেশে শৌচাগারের শিষ্টাচার কোনো শিক্ষক প্রাইমারি স্কুলে বলে দিলে কি আর দুবাই ফেরত বিমানের টয়লেটের এই দুর্দশা থাকত? কিন্তু আমাদের সামাজিক আচরণের পরিবর্তন হয় না কেন জানেন? জাপানের ঐ ভিডিওটা শেয়ার হয়েছিল আমাদের দেশে ঠাট্টা-তামাশার এক পেইজে এবং তার নীচে কুরুচিকর সব মন্তব্য দিয়ে ভরা ছিল। এদের কিভাবে মানুষ করবেন বলুন তো? চলুন না, মানুষের সামাজিক প্রয়োজনগুলোকে স্বাভাবিকভাবে নিয়ে তাকে শিক্ষার অংশ করে তুলে আমাদের পরবর্তী প্রজন্মকে আমাদের চেয়ে রুচিশীল মানবিক সভ্য মানুষ করে গড়ে তুলি।
আচরণের সভ্যতা দেখলেই আমরা ধরে নেই তিনি ভাল পরিবার থেকে এসেছেন, ভাল শিক্ষা পেয়েছেন। কিন্তু তাও যেন কোনো কোনো ক্ষেত্রে ব্যর্থ। দুঃখ মনে নিয়েই স্মরণ করছি আমার এক শিক্ষিকা ছিলেন যিনি ক্লাস নিতে নিতে অনবরত নাক খুঁটতেন। আমার বিভীষিকার মত এই স্মৃতি মস্তিস্কে রয়ে গেছে কারণ, আমি তার ঐ আচরণের জন্য ক্লাসে মনোযোগ দিতে পারতাম না। আমার খালি ভয় হতো, কখন তিনি আমার বেঞ্চের সামনে চলে আসবেন, আর আমার বেঞ্চটা ছুঁয়ে দেবেন ঐ হাত দিয়েই। ভাবতে আমার এখনও গা গুলিয়ে আসে। ভাবুন তো, আপনার কোনো আচরণের জন্য যদি আপনাকে এভাবে কেউ মনে রাখে! কি দুঃখজনক, তাই না? তেমনি, আমি অনেক শিক্ষিত মানুষ, বড় বড় অফিসার দেখেছি যারা মুখের উপর কাশি দেন। করোনাভাইরাসের কারণে এই ব্যাপারটা খুব আলোচিত হচ্ছে। সরকারি ব্রিফিং-এ কাশির শিষ্টাচার বজায় রাখার কথা বলা হয়েছে। ‘কাশির শিষ্টাচার’ – এই কথাটি আমার খুব ভাল লেগেছে। আসলেই কাশির শিষ্টাচার আমাদের দেশে বিরাট বড় একটি সামাজিক প্রয়োজন। শুধু এখন এই করোনা মহামারী প্রতিরোধেই নয়, অন্য মানুষকে সম্মান করে তার পরিচ্ছন্নতার বাধা যেন আমি না হই, আমার আচরণের জন্য অন্য মানুষ যেন রোগাক্রান্ত না হন, আমি যেন কারো বিরক্তির কারণ না হই – এ রকম দায়িত্বশীলর সাথে ভাবাটাই সভ্যতা, ভদ্রতা, শিষ্টাচার। এটা যেন সবাই হৃদয় দিয়ে অনুধাবন করে তার জন্যও ‘কাশির শিষ্টাচার’-এর কথা বার বার বলা দরকার ও অভ্যাস করা দরকার। করোনাভাইরাসের এই দুঃখজনক পরিস্থিতির মধ্যে থেকে বাংলাদেশীরা যদি ‘কাশির শিষ্টাচার’-টুকু অন্তত শেখে তো সেটাও অনেক বড় অর্জন হবে। দুঃখজনক যে, যা আমাদের শিক্ষা ব্যবস্থায় থাকা উচিৎ ছিল, তা আমাদের শিখতে হচ্ছে মৃত্যুর ভীতির মধ্য দিয়ে।
আমাদের নিজেদের সামাজিক আচরণ নিয়ে দুঃখবোধটা আসলে বহুবিধ। সেদিন বিদেশী এক চ্যানেল দেখছি। সেখানে একটি কলেজ ক্যাম্পাসের বিভিন্ন ছাত্রের সাক্ষাৎকার নিয়ে করোনাভাইরাসের মহামারীর বিষয়ে তাদের মন্তব্য শুনছিলাম। মাস্ক পরা এক ছাত্র বলছিল, তার সবচেয়ে বড় চাওয়া, সে নিজে যেন অন্য কারো ক্ষতির কারণ না হয়। সে কারণেই সে মাস্ক পরেছে। এবং অনেকেই এই মনোভাব ব্যক্ত করছিল। আমার খুব ভাল লেগেছে তাদের চিন্তার ধারাটি। আমরা নিজেদের মৃত্যু ভীতিতে মাস্ক পরে, হ্যান্ড স্যানিটাইজার নিয়ে ঘুরছি। আমার যেন কিছু না হয় – এই শুধু আমাদের চিন্তা। আমাদের থেকে অন্য কারো যেন না হয় কিছু ক্ষতি না হয়, তা কিন্তু আমরা ভাবছি না। যদি তাই ভাবতাম, তাহলে আমরা অন্য সময় রাস্তায়, বারান্দায় থুতু ফেলি কী করে? সেই তো একই জিনিস, থুতু থেকে জীবাণু চারপাশে ছড়াবে। একবার যদি সকলে ভাবত, তবে রাস্তায় আর কেউ থুতু ফেলত না। তেমনি ভাবে রাস্তা-ঘাটে যত্রতত্র ময়লা বর্জ্য ফেলত না। ছোটো-খাটো অনেক হাসপাতাল আছে যাদের বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে বর্জ্য নিষ্কাশনের ব্যবস্থা নেই। হাসপাতালের বর্জ্য খুবই ক্ষতিকর। ভাবতেই অবাক লাগে, আমাদের অন্যদের বিষয়ে কোনো দায়িত্ববোধই নাই। এ সেই দেশ যেখানে প্যান্ট-শার্ট পরিহিত আপাত ভদ্র মানুষও রাস্তায় দাঁড়িয়ে প্রস্রাব করতে কুণ্ঠিত হন না। এ আচরণ শুধু অসভ্যতা ও লজ্জাস্করই নয় – এ কাজ পরিবেশ নষ্ট করে, অন্য মানুষের স্বাস্থ্যের ঝুঁকি তৈরি করে। একথা অনুধাবন করা কি এতই কঠিন? এই দায়িত্বজ্ঞানহীন স্বার্থপর কীটদের বিরুদ্ধে শক্ত আইনগত ব্যবস্থা নেয়া কি যায় না? এত স্বার্থপর হয়ে আমরা কত দিন ভাল থাকব? একা কি ভাল থাকা সম্ভব? কখনোই না।
খুব বড় একটি বিপর্যয়ের মুখোমুখি দাঁড়িয়ে আছি সকলে। চলুন না, এর থেকে বড় একটি শিক্ষা নিয়ে নিজেদের পূর্বের চেয়ে উন্নত করে তুলি। করোনাভাইরাস বিশ্বব্যাপী মৃত্যুর ঘণ্টা বাজিয়ে এসেছে দেখে আমাদের টনক নড়েছে। এ ছাড়াও আরও কত ভাইরাস আছে, জীবন সংহারী কত ব্যাকটেরিয়া আছে। আমাদের দায়িত্বজ্ঞান বিবর্জিত, স্বার্থপর, অপরিশীলিত, অসভ্য আচরণ আমাদের পুরো সমাজকে সর্বক্ষণই ঝুঁকির মুখে ঠেলে দিচ্ছে। করোনার মহামারীর মত সব সময় তা স্পষ্টভাবে প্রতীয়মান না হলেও, অনেক ক্ষেত্রেই তার ঝুঁকি কম কিছু নয় – আমাদের নিজেদের জন্য, অন্যদের জন্য। সহস্র বছর পার করে, আজকে সময়ের আধুনিক মানুষের কাছ থেকে আরেকটু পরিশীলিত, রুচিকর, সভ্য আচরণ কি আশা করা স্বাভাবিক না? পরিচ্ছন্নতা ও সামাজিক শিষ্টাচারগুলোর প্রয়োজনীয়তা চিরকালই রয়ে যাবে। চলুন, সবসময় সেই শিষ্টাচারের চর্চা করি, নিজেদের সভ্য মানুষ হিসেবে তুলি।
লেখকঃ সহযোগী অধ্যাপক, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়।