মুজিববর্ষে তারকাদের প্রত্যাশা
একুশে টেলিভিশন
প্রকাশিত : ০২:০৮ পিএম, ১৬ মার্চ ২০২০ সোমবার | আপডেট: ০২:১১ পিএম, ১৬ মার্চ ২০২০ সোমবার
বাংলাদেশের স্থপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের শততম জন্মদিন ১৭ মার্চ। দিনটিকে স্মরণীয় করে রাখতে দেশব্যাপী চলছে ‘মুজিব শতবর্ষ’ উদযাপনের প্রস্তুতি। যদিও করোনা ভাইরাস মহামারি আকার ধারণ করায় বড় আকারের অনুষ্ঠান ছোট করে আনা হয়েছে। তবে জাতির পিতার জন্মশতবার্ষিকীতে দেশের মানুষের প্রত্যাশা ও অঙ্ঘিকার অন্যবছরের তুলোনায় একটু ভিন্ন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাতে হাত রেখে দেশকে এগিয়ে নিতে এবারের জন্মবার্ষিকীর গুরুত্ব সবার কাছে অনেক বেশি।
দেশের বিজ্ঞজন, রাজনীতিক, ব্যবসায়ি, সাধারণ মানুষের পাশাপাশি শোবিজ অঙ্গনের তারকারাও দিবসটি নিয়ে নিজেরদের মত করে ভিন্ন ভিন্ন আয়োজন করছেন। পাশাপাশি নতুন প্রত্যাশা নিয়ে এগিয়ে যাওয়ার সংকল্প করছেন।
এ বিষয়ে চিত্রনায়ক ও সংসদ সদস্য আকবর হোসেন পাঠান ফারুক বলেন, বঙ্গবন্ধু আমার আত্মার সঙ্গে মিশে আছে। তাঁর ডাকে সাড়া দিয়ে হানাদার বাহিনীর বিরুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েছিলাম। এবার সেই মহান নেতার জন্মদিন বছরব্যাপী পালিত হতে যাচ্ছে- এটা আমার জন্য অন্যরকম আনন্দের। আমি তো চাই, প্রতিদিনই তাঁকে নিয়ে উৎসব হোক। তাঁর বক্তব্য সব জায়গায় ছড়িয়ে দেয়া উচিত। বঙ্গবন্ধু নিয়ে আরও কাজ করতে হবে ও গবেষণা করতে হবে, যাতে নতুন প্রজন্ম শিখতে পারে। অন্যকে শেখাতে পারে। জন্মশতবার্ষিকীতে এটিই আমার প্রত্যাশা।
প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন গীতিকার ও চলচ্চিত্রকার গাজী মাজহারুল আনোয়ার। তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু আজও মানুষের মনে চিরজাগ্রত। তিনি মরেননি- বেঁচে আছেন সবার অন্তরে। বছরজুড়ে তাঁর জন্মদিবস পালিত হবে, এটি অত্যন্ত ভালোলাগার। বঙ্গবন্ধু কোনো দলের নন, তিনি বাংলাদেশের। আমি সঙ্গীতের মানুষ, সঙ্গীতের মধ্যেই তাকে স্মরণে রাখার মতো লিখেছি। তাঁকে নিয়ে এ পর্যন্ত ডজনখানেক গান লেখা হয়ে গেছে। এগুলো বিভিন্ন শিল্পীদের কণ্ঠে ধারণ হবে। তবে একটি প্রত্যাশা আছে- বঙ্গবন্ধু যা চেয়েছিলেন, সেটিই যেন তাঁর জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে সঠিকভাবে মূল্যায়িত এবং প্রতিষ্ঠিত হয়।
মুজিববর্ষে প্রত্যাশা জানিয়ে সঙ্গীতশিল্পী খুরশিদ আলম বলেন, দেশের স্থপতির জন্মবার্ষিকী বছরজুড়ে উদযাপিত হবে এটা আনন্দেরই বটে। মহান এ নেতার জন্মদিন এমন ভাবে হওয়া উচিত, যেন সবার মন ছুঁয়ে যায়। জন্মদিন নিয়ে আমারও প্রত্যাশা আছে। সত্যিকারার্থে বঙ্গবন্ধু যা চেয়েছিলেন তা যেন সম্পন্ন হয়- এ নিয়ে সবার কাজ করতে হবে। কথার চেয়ে কাজ হোক বেশি।
সঙ্গীতশিল্পী ও মুক্তিযোদ্ধা রফিকুল আলম জানিয়েছেন, একজন মুক্তিযোদ্ধা, একজন স্বাধীন বাংলাদেশের নাগরিক এবং একজন সঙ্গীতশিল্পী- এই তিন সত্তায় আমি খুবই আনন্দিত। বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে এ পর্যন্ত ২১টি গান করেছি। আমি জন্মশতবার্ষিকীর নানা আয়োজনের সঙ্গে জড়িত আছি। এ উপলক্ষে আমার প্রত্যাশা অনেক। বঙ্গবন্ধু সারা জীবন মানুষের
জন্য কাজ করে গেছেন। তিনি সব মানুষের, আমাদেরও একইভাবে মানুষের জন্য কাজ করতে হবে। সবশ্রেণির মানুষ তাদের নির্দিষ্ট অবস্থান থেকে নিজেদের দায়িত্ব ও কর্তব্য পালন করে যাবেন- এটিই কামনা করি।
সঙ্গীত শিল্পী ফরিদা পারভীন প্রত্যাশায় বলেন, বঙ্গবন্ধুর জন্মদিন উপলক্ষে একটি থিম সঙ্গীত হচ্ছে- সেখানে কণ্ঠ দেয়ার জন্য আমি আমন্ত্রণ পেয়েছি। এই আয়োজনে যে শামিল হতে পেরেছি, এটা আমার জন্য অনেক বড় পাওয়া। কেউ ডাকুক কিংবা না ডাকুক সেটি বড় কথা নয়, বঙ্গবন্ধুর জন্মবার্ষিকীর আয়োজনে সবার সম্পৃক্ত হওয়া উচিত বলে আমি মনে করি।
জাতির পিতার জন্মশতবার্ষিকীতে প্রত্যাশা ব্যক্ত করে চিত্রনায়ক রিয়াজ বলেন, জাতির পিতার জন্মদিন বছরজুড়ে পালিত হতে যাচ্ছে- এটি যেমন আনন্দের, তেমনই আনন্দের তাঁর স্বপ্নগুলো দিন দিন পূরণ হচ্ছে। অর্থনৈতিক উন্নয়ন, পদ্মা সেতু নির্মাণ ও শহরে উড়াল সেতুসহ বহুমুখী উন্নয়ন হচ্ছে। এ উন্নয়নমূলক কাজগুলো আগামী দিনগুলোতেও অব্যাহত রাখবেন আমাদের জননেত্রী শেখ হাসিন- মহান নেতার জন্মদিনে এটিই আমি প্রত্যাশা করি।
চিত্রনায়ক শাকিল খানের প্রত্যাশা, মহান নেতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মোৎসব বছরজুড়ে পালন করা হচ্ছে, এটা অবশ্যই খুশির বিষয়। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার এমন সিদ্ধান্তটি বঙ্গবন্ধুকে এ প্রজন্মের কাছে তুলে ধরার সর্বোকৃষ্ট একটি প্রয়াস। তবে এ জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে আমার একটি চাওয়া ও প্রত্যাশা রয়েছে। তাহলো আমাদের নেতা দেশের জন্যই কাজ করেছেন, একইভাবে আমাদের জননেত্রী শেখ হাসিনাও দেশের উন্নয়নের স্বার্থে কাজ করছেন। আমরা যারা কর্মী আছি তারা যেন সব সময় আমাদের জননেত্রীর পাশে থেকে তার হাতকে শক্ত করি।
চিত্রনায়িকা মাহিয়া মাহি জানান, বঙ্গবন্ধু শেখ মজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী পালিত হতে যাচ্ছে এটা অনেক আনন্দের। তাকে নিয়ে বায়োগ্রাফি, নাটক, টেলিফিল্ম বানানো হচ্ছে, এর মাধ্যমে নতুন প্রজন্ম মহান এ নেতা সম্পর্কে অনেক অজানা বিষয় জানতে পারবেন। বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে আমরা বছরব্যাপী জন্মবার্ষিকী উদযাপন করব, এটা ভালোলাগার এবং প্রেরণার।
বঙ্গবন্ধুর আদর্শে দেশ আরও এগিয়ে যাবে প্রত্যাশা রেখে চিত্রনায়িকা বিদ্যা সিনহা মিম বলেন, বঙ্গবন্ধুক তরুণ প্রজন্মের জন্য আইডল। তাঁর জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে সিনেমা, শর্টফিল্ম ও নাটক হচ্ছে- সামনেও হবে। এর ফলে বঙ্গবন্ধুকে সবাই আরও বেশি করে জানতে পারবেন। আমাদের দেশ এগিয়ে যাচ্ছে, সামনে আরও এগিয়ে যাবে- জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে এটিই আমার প্রত্যাশা।
চিত্রনায়ক নিরবের প্রত্যাশা, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান আমাদের মহান নেতা। তাকে অনেক জানার আছে, বুঝার আছে। তাকে নিয়ে চলচ্চিত্র, নাটক, গান তৈরি হচ্ছে বিষয়টি অনেক আনন্দের। তাকে নিয়ে আরও অনেক কাজ করা উচিত। নেতার জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে আমার চাওয়া, সবাই যেন একসঙ্গে একতাবদ্ধ হয়ে দেশের স্বার্থে কাজ করেন। সবাই যেন দুর্নীতিকে না বলে, কল্যাণের পথে আসেন।
এএইচ/