ঢাকা, শুক্রবার   ২২ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ৮ ১৪৩১

হ্যাট্রিক করলেন নড়াইলের পুলিশ সুপার 

নড়াইল প্রতিনিধি 

প্রকাশিত : ০২:৪৮ পিএম, ১৬ মার্চ ২০২০ সোমবার

খুলনা রেঞ্জের ১০টি জেলার মধ্যে ওয়ারেন্ট তামিলে হ্যাট্রিক করেছেন নড়াইলের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জসিম উদ্দিন পিপিএম (বার)।

রোববার (১৫ মার্চ) দুপুরে খুলনা রেঞ্জ ডিআইজির কার্যালয়ে মাসিক অপরাধ পর্যালোচনা সভায় নড়াইল জেলা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জসিম উদ্দিনের হাতে এ সম্মাননা স্মারক তুলে দেন খুলনা রেঞ্জের ডিআইজি ডক্টর খ. মহিদ উদ্দিন বিপিএম (বার)।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন, খুলনা রেঞ্জের অতিরিক্ত ডিআইজি (অপারেশন অ্যান্ড ক্রাইম) এ কে এম নাহিদুল ইসলাম বিপিএম, অতিরিক্ত ডিআইজি (প্রশাসন ও অর্থ) হাবিবুর রহমানসহ ১০ জেলার পুলিশ সুপার, র‌্যাব, এপিবিএন, নৌ-পুলিশ, ট্যুরিস্ট পুলিশ, পিবিআই, গোয়েন্দা সংস্থার প্রতিনিধি ও রেঞ্জ কার্যালয়ের অন্যান্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা। 

ওয়ারেন্ট তামিলে ফেব্রুয়ারি মাসে নড়াইল জেলা পুলিশ প্রথম স্থান অধিকার করায় এ সম্মাননা স্মারক তুলে দেয়া হয়। এর আগে জানুয়ারি এবং গত বছরের (২০১৯) ডিসেম্বরেও ওয়ারেন্ট তামিলে প্রথম স্থান অর্জন করেন নড়াইলের পুলিশ সুপার। 

ওয়ারেন্ট তামিলের পাশাপাশি ডিসেম্বরে মামলা নিষ্পত্তিতেও প্রথম স্থান অর্জন করেছিলেন তিনি। এদিকে ওয়ারেন্ট তামিলে পর পর তিনবার পুরস্কৃত ছাড়াও গত বছরের মে মাসে খুলনা রেঞ্জের মধ্যে দু’টি বিভাগেই (ওয়ারেন্ট তামিল ও মামলা নিষ্পত্তি) প্রথম স্থান অর্জন করে নড়াইল জেলা পুলিশ। 

অন্যদিকে পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জসিম উদ্দিন ওয়ারেন্ট তামিলে হ্যাট্রিক করায় বিভিন্ন পেশার মানুষ তাকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়েছেন।  

পুলিশ সুপার জসিম উদ্দিন বলেন, ‘এ সম্মাননা আমার আরও দায়িত্ববোধ বাড়িয়ে দিয়েছে। ভবিষ্যতেও এ ধরণের ভালো কাজের চেষ্টা অব্যাহত থাকবে।’
  
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, গুরুত্বপূর্ণ মামলার রহস্য উদঘাটন, অপরাধ নিয়ন্ত্রণ, কর্তব্যনিষ্ঠা, সততা, দক্ষতা ও শৃঙ্খলামূলক আচরণের জন্য প্রশংসনীয় হয়েছেন নড়াইলের পুলিশ সুপার। এজন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছ থেকেও দুবার ‘রাষ্ট্রপতি পুলিশ পদক’ (পিপিএম) লাভ করেন তিনি। 

২০১৮ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি পুলিশ সুপার হিসেবে যোগদানের পর মোহাম্মদ জসিম উদ্দিন নড়াইলের বিভিন্ন এলাকায় গ্রাম্য বিরোধ নিরসন করে গ্রামে গ্রামে শান্তি-সম্প্রীতি স্থাপন করেছেন। পাশাপাশি জেলা পুলিশ লাইন্সের পতিত জমিতে ধানসহ বিভিন্ন প্রকার শাক-সবজি চাষাবাদ করেছেন। বিভিন্ন প্রজাতির গাছপালা লাগিয়েছেন। 

এদিকে পুলিশ লাইন্স পুকুর, ট্রাফিক অফিস পুকুর ও পুলিশ সুপার কার্যালয়ের পুকুরে রুই, কাতলাসহ বিভিন্ন প্রজাতির মাছের আবাদ করেছেন। এসব মাছ পুলিশ লাইন্স মেসের পুলিশ সদস্যরা বিনামূল্যে খেয়ে থাকেন। 

এছাড়া পুলিশ সুপারের বাসভবনের সামনে ৩০ বছরের নর্দমা পরিষ্কার করে ‘পুলিশ মৎস্য অ্যাকুরিয়াম’ প্রতিষ্ঠা করেছেন পুলিশ সুপার জসিম উদ্দিন।

এআই/