ঢাকা, শুক্রবার   ১৫ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ১ ১৪৩১

সাংবাদিক আরিফুলকে নির্যাতনের প্রতিবাদ জানিয়েছে শেরপুর প্রেসক্লাব

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ০৮:২৭ পিএম, ১৬ মার্চ ২০২০ সোমবার

কুড়িগ্রাম জেলায় কর্মরত বাংলা ট্রিবিউন এর কুড়িগ্রাম জেলা প্রতিনিধি আরিফুল ইসলাম রিগ্যানকে গত ১৩ মার্চ শুক্রবার মধ্যরাতে তার বাড়ী থেকে কুড়িগ্রাম জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের আরডিসি নাজিম উদ্দিনের নেতৃত্বে অন্যান্য কর্মকর্তা কর্মচারীরা তাকে সন্ত্রাসী কায়দায় তুলে নিয়ে গিয়ে অমানুষিক নির্যাতন এবং মাদক দিয়ে মিথ্যা মামলায় কারাগারে প্রেরণের প্রতিবাদে ১৬ মার্চ সোমবার দুপুরে শেরপুর প্রেসক্লাবের আয়োজনে শেরপুর জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের (ডিসি) গেইটে এক মানববন্ধন কর্মসূচি ও প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। 

শেরপুর প্রেসক্লাবের সভাপতি মোঃ শরিফুর রহমানের সভাপতিত্বে ও সদস্য জাহিদুল খান সৌরভ এর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত ঘণ্টাব্যাপী মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সভায় অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, শেরপুর প্রেসক্লাব প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি এডভোকেট জাকীর হোসেন, প্রেসক্লাব সাধারণ সম্পাদক মোঃ মেরাজ উদ্দিন, সিনিয়র সহ-সভাপতি জিএম আজফার বাবুল, সহ-সভাপতি মো. শহিদুল ইসলাম, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আদিল মাহমুদ উজ্জল, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক জিএইচ হান্নান, দপ্তর সম্পাদক মোঃ আছাদুজ্জামান মোরাদ, ক্রীড়া সম্পাদক মহিউদ্দিন সোহেল, সিনিয়র সাংবাদিক সুশীল মালাকার, প্রেসক্লাব সাবেক সভাপতি রফিকুল ইসলাম আধার, সাবেক সাধারণ সম্পাদক কাকন রেজা, আমাদের আইন শেরপুর জেলা শাখার সভাপতি নূর-ই-আলম চঞ্চল প্রমুখ।
 
এসময় সাংবাদিক নেতৃবৃন্দরা বলেন, শুক্রবার মধ্যরাতে আরিফুল ইসলামকে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে গিয়ে নির্যাতন করার পর মদ ও গাঁজা রাখার মিথ্যা ও বানোয়াট অভিযোগ সাজিয়ে মধ্যরাতে ভ্রাম্যমাণ আদালত বসিয়ে তাঁকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা ও এক বছরের কারাদণ্ডে দণ্ডিত করে কারাগারে পাঠানো ঘটনায় আমাদের মনে  হচ্ছে শুধু আইন ভঙ্গ নয়, আরিফুল ইসলাম ও তাঁর পরিবারের সদস্যদের ওপর গুরুতর অন্যায় করা হয়েছে। সাত বছর ও দুই বছরের শিশু সন্তান ও তাদের মায়ের সামনে বাবাকে পেটানো হয়েছে; তুলে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। তারপর তাঁকে আরও পেটানো হয়েছে এটা অমানবিক এবং মানবাধিকার লঙ্ঘন। রোববার সকালে আরিফুল ইসলাম জামিনে মুক্তি পাওয়ার পর কারাগার থেকে তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করাতে হয়েছে- এতে করেই বোঝা যায়, তাঁর ওপর এমন নির্যাতন চালানো হয়েছে যে তাঁর হাসপাতালে চিকিৎসার প্রয়োজন হয়েছে। 

নেতৃবৃন্দরা আরো বলেন, ‘মাদকবিরোধী অভিযানে' আরিফুল ইসলামকে মধ্যরাতে তুলে নিয়ে গিয়ে যে সাজা দেওয়া হয়েছে, তাঁর পরিবারের দাবি, সেই অভিযোগ মিথ্যা। কিন্তু তা যদি সত্য হতোও, তবু কি তাঁর ওপর এই নির্যাতন চালানোর অধিকার আইন প্রয়োগকারীদের আছে? না নেই। বরং এটা অপরাধ। এ বর্বর ঘটনায় শেরপুরের সাংবাদিক মহল স্থম্ভিত। তাই মাননীয় প্রধান মন্ত্রী, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রীর কাছে দোষীদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য জোর দাবি জানানো হয়। 

এসময় অন্যান্যদের মধ্যে প্রেসক্লাব সাংগঠনিক সম্পাদক মানিক দত্ত, প্রচার সম্পাদক সোহেল রানা, সিনিয়র সাংবাদিক সঞ্জিব চন্দ বিল্টু, হাকিম বাবুল, জেলা সদর সহ পাঁচ উপজেলায় কর্মরত প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকগণ উপস্থিত ছিলেন।

কেআই/আরকে