করোনা আক্রান্তদের চিহ্নিত করতে অভিনব পদক্ষেপ ‘স্ট্যাম্প’!
একুশে টেলিভিশন
প্রকাশিত : ০৩:১৯ পিএম, ১৭ মার্চ ২০২০ মঙ্গলবার | আপডেট: ০৩:২০ পিএম, ১৭ মার্চ ২০২০ মঙ্গলবার
যাদের শরীরে করোনা ভাইরাস সংক্রমণের লক্ষণ দেখা দিয়েছে তাদের আপাতত 'হোম কোয়ারান্টাইন' করে রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ভারতের মহারাষ্ট্র রাজ্য সরকার। শুধু তাই নয়, এই ব্যক্তিদের আলাদা করে চিহ্নিত করে রাখতে তাদের বাঁ হাতে একটি বিশেষ ‘স্ট্যাম্প’ দেওয়ার মতো অভিনব সিদ্ধান্ত নিল ওই রাজ্যের প্রশাসন। খবর এনডিটিভি’র।
ভারতে এ পর্যন্ত ১২৯ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। দেশটির মহারাষ্ট্র রাজ্যে আক্রান্তের সংখ্যা সবচেয়ে বেশি। এ পর্যন্ত ৩৯ জন করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়েছে ওই রাজ্যে। আজ এই রাজ্যের কস্তুরবা হাসপাতালে ৬৪ বছর বয়সের এক নারী করোনা আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন।
এই পরিস্থিতি মোকাবিলায় রাজ্যের শীর্ষ আধিকারিকদের নিয়ে এক বিশেষ বৈঠক করেন মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরে। করোনা সংক্রমণ রুখতে আক্রান্তদের চিহ্নিত করে রাখার সিদ্ধান্ত নিল মহারাষ্ট্র সরকার। কেননা গত কয়েকদিনে প্রায় ৭ জন করোনা লক্ষণ যুক্ত রোগী চিকিৎসা কেন্দ্র থেকে পালিয়ে গেছে।
মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরে বলেন, ‘কেউ যদি করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হন, তবে সেটা তার অপরাধ নয়। তাদের অবশ্যই যথাযথ চিকিৎসা এবং মনস্তাত্ত্বিক সহায়তা দেওয়া প্রয়োজন। রাজ্যের জনগণের স্বার্থেই মহামারী নিরোধক আইন তৈরি করা হয়েছে এবং জেলা প্রশাসনকে এই রোগটি সম্পর্কে সচেতন থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।’
স্বাস্থ্যমন্ত্রী রাজেশ টোপ জানিয়েছেন, ভোট দেওয়ার পর ভোটারদের হাতে যে কালি লাগানো হয়, ওই কালি দিয়েই করোনা লক্ষণযুক্ত ব্যক্তিদের বাঁ হাতে একটি ‘স্ট্যাম্প’ করে দেওয়া হবে। যাতে সহজেই তাকে চিহ্নিত করা যায়। কারণ অনেক ক্ষেত্রেই দেখা যাচ্ছে, করোনা আক্রান্ত সন্দেহে কোন ব্যক্তিকে তার নিজের বাড়িতে কোয়ারান্টাইন বা পৃথকীকরণ অবস্থায় থাকার পরামর্শ দেওয়া হলেও তারা তা অমান্য করে বাড়ি থেকে বেরিয়ে অন্যান্য মানুষজনের সঙ্গে মিশছেন। তার ফলে আরও বেশি করে করোনা সংক্রমণ বাড়ছে রাজ্যটিতে।
পাশাপাশি মহারাষ্ট্র সরকারের তরফ থেকে আরও জানানো হয়েছে, কেউ করোনা সংক্রমণের লক্ষণ শরীরে থাকা সত্ত্বেও ঘর থেকে বেরিয়ে সাধারণের সঙ্গে মিলে তার বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
এদিকে করোনা সংক্রমণ রুখতে মহারাষ্ট্রের আসন্ন সমস্ত স্থানীয় ও পুর নির্বাচন আগামী তিন মাসের জন্যে স্থগিত করা হয়েছে, শহর ও গ্রামাঞ্চলের সমস্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখা হয়েছে।
এএইচ/