পাঁচটি নিকৃষ্ট কাজ
একুশে টেলিভিশন
প্রকাশিত : ১১:৩৫ এএম, ১৮ মার্চ ২০২০ বুধবার | আপডেট: ১২:১৪ পিএম, ১৮ মার্চ ২০২০ বুধবার
ইসলাম শুধু একটি ধর্মই নয়। এটি একটি পরিপূর্ণ শাশ্বত জীবন বিধান। মানুষের ব্যত্তিগত, পারিবারিক, সামাজিক, অর্থনৈতিক, রাজনৈতিক, আন্তর্জাতিক বিষয়সহ মানুষের সার্বিক জীবনের সব সমস্যার সমাধান রয়েছে মহান রাব্বুল আলামীনের ঐশি পবিত্র মহাগ্রন্থ আল-কোর আনুল কারীমের মধ্যে।
এ শাশ্বত জীবন বিধান মানব সমাজে বাস্তব অনুসরণ ও অনুকরণের জন্য সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ মহামানব, মানবতার মহান মুক্তির দিশারী হযরত মুহাম্মদ (সা:)কে আল্লাহ ছোবাহানাহু তায়ালা বিশ্ববাসীর জন্য রহমত স্বরূপ এ পৃথিবীতে পাঠিয়েছেন। আল্লাহ তায়ালা পবিত্র কুরআনে বলেছেন- তোমাদের জন্য রাসুলের জীবনীর মধ্যে রয়েছে উত্তম আদর্শ। তার প্রতিটি কথা, কাজ, অনুমোদন, নির্দেশনা, আদেশ, নিষেধ ও উপদেশ দুনিয়া ও আখেরাতের কল্যাণের বার্তাবাহী। তাকে সমগ্র মানব জাতির শিক্ষক রূপে এ ধরাধমে প্রেরণ করা হয়েছে। তাঁর সে কালজ্বয়ী আদর্শ ও অমিয় বাণীর দ্যুতি ছড়িয়ে পথপদর্শন করেছে যুগ যুগান্তরে। তাঁর পরশে আলোকিত হয়েছে বর্বর জাহিলি সমাজ। ঘন ঘোর অন্ধকারে নিমজ্জিত জাতি পরিণত হয়েছে গোটা বিশ্বের অনুকরণীয় আদর্শে।
আব্দুল্লাহ ইবনে উমর রাদিয়া আল্লাহু তা’আলা আনহু বর্ণনা করেছেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মুজাহিরদের উদ্দেশ্য করে বলেন, হে মুহাজিরা! পাঁচটি মন্দ কাজ এমন আছে, যেগুলোতে জড়িয়ে পড়লে তোমাদের পরিণাম খুবই খারাপ হবে। আমি আল্লাহর কাছে আশ্রয় চাচ্ছি, যেনো এই পাঁচটি মন্দ কাজ তোমাদের মধ্যে জন্ম না নেয়। সেগুলো হলো-
(১) ব্যভিচার
এ পাপ যদি কোন সম্প্রদায়ের মধ্যে ছড়িয়ে পড়ে, তবে তাদের মধ্যে এমন এমন রোগ দেখা দেবে যা আগে ছিল না ।
(২) মাপ ও ওজনে কম করা
এই মন্দ কাজ যদি কোন জাতির মধ্যে জন্ম নেয়, তবে আল্লাহ তাআলা তাদের ওপর দুর্ভিক্ষ ও অনাবৃষ্টি চাপিয়ে দেন এবং তারা অত্যাচারী শাসকের শিকারে পরিণত হয়।
(৩) যাকাত না দেওয়া
এই মন্দ কাজ যাদের মধ্যে দেখা দেয়, তাদের ওপর আকাশ থেকে বৃষ্টি হওয়া বন্ধ হয়ে যায়। আর ওই অঞ্চলে যদি পশু বা পাখি না থাকে তবে আদৌ বৃষ্টি হয় না ।
(৪) আল্লাহ এবং রাসূলের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করা
এই মন্দ কাজ যখন কোথাও দেখা দেয়, তখন আল্লাহ তাদের ওপর অমুসলিম শত্রুদের চাপিয়ে দেন যারা তাদের অনেক কিছু কেড়ে নিয়ে যায়।
(৫) মুসলমান শাসক আল্লাহর কিতাব অনুযায়ী শাসন না করা
যদি মুসলমান শাসক আল্লাহর কিতাব অনুযায়ী শাসন না করে, তবে আল্লাহ তা’আলা মুসলিম সমাজে ভাঙ্গন সৃষ্টি করে দেন এবং তারা পরস্পরের সঙ্গে লড়াই খুনখারাবি করতে শুরু করে দেন।
--- (বাইহাকী ও ইবনে মাজাহ)
এই কথা মুজাজিরদের সামনে রাসুল (স:) এইজন্য বলেছিলেন, যেহেতু ইসলামী শাসনের ভার তাদেরই হাতে আসার কথা ছিল এবং আনসারদের তুলনায় তারাই কিতাব ও সুন্নাতের অধিক জ্ঞান রাখতো। শাসন ও ব্যবস্থাপনার যোগ্যতা সবই তাদেরই বেশি ছিল। তারাই আরব গোত্রসমূহের শাসক ছিল। এই হিদায়াত সমগ্র উম্মতের জন্য প্রযোজ্য ছিল।
(আল্লামা জলীল আহসান নদভী কর্তৃক রচিত ও নিযামুদ্দিন মোল্লা অনুদিত বিখ্যাত হাদীস গ্রন্থ যাদে রাহ্ থেকে সংকলিত)
গ্রন্থনা: মো. আনোয়ারুল কাইয়ুম কাজল
একে//