ঢাকা, রবিবার   ২৪ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ১০ ১৪৩১

প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে সম্প্রীতি বাংলাদেশের অভিনন্দন

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ০৫:৪৮ পিএম, ১৮ মার্চ ২০২০ বুধবার | আপডেট: ০৫:৫১ পিএম, ১৮ মার্চ ২০২০ বুধবার

বাংলাদেশের জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকীর প্রাক্কালে বাংলাদেশের জনগনকে ভিডিও বার্তার মাধ্যমে অভিনন্দন জানিয়েছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।

মঙ্গলবার (১৭ মার্চ) জাতির পিতার জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত ‘মুক্তির মহানায়ক’ শীর্ষক অনুষ্ঠানে নরেন্দ্র মোদীর এই ভিডিও বার্তাটি প্রচার করা হয়।

ভারতের প্রধানমন্ত্রীর এই ভিডিও বার্তাকে স্বাগত জানিয়েছে সম্প্রীতি বাংলাদেশ। সংগঠনটির আহবায়ক পীযুষ বন্দোপাধ্যায় ও সদস্য সচিব অধ্যাপক ডাঃ মামুন আল মাহতাব (স্বপ্নীল) এক বিবৃতিতে শ্রী নরেন্দ্র মোদীকে এ জন্য ধন্যবাদ জানিয়ে আশাবাদ ব্যক্ত করেন যে, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদীর সুযোগ্য ও দুরদর্শী নেতৃত্ব বাংলাদেশ ও ভারতের বন্ধুত্বপূর্ণ ও সহযোগীতামূলক সম্পর্ক আগামীতে বিশ্ববাসীর সামনে এক অনন্য নজির হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হবে।

বার্তার শুরুতেই নরেন্দ্র মোদী জাতির পিতার জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে সমগ্র বাংলাদেশকে ১৩০ কোটি ভারতীয় ভাই-বন্ধুদের পক্ষ থেকে অভিনন্দন জানান। বঙ্গবন্ধুর এই জন্মশতবার্ষিকী উদযাপনে তাকে আমন্ত্রণ জানানোয় তিনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ধন্যবাদ জানান। করোনা ভাইরাসজনিত পরিস্থিতির কারণে ব্যাক্তিগতভাবে ঢাকায় আসতে না পারলেও, তাকে ভিডিও-র মাধ্যমে যুক্ত হওয়ার সুযোগ করে দেওয়ায় তিনি তার সন্তুষ্টি প্রকাশ করেন।

শ্রী মোদী তার বক্তব্যে বঙ্গবন্ধুকে একজন সাহসী নেতা, দৃঢ়চেতা মানুষ, ঋষিতুল্য শান্তিদূত, সাম্যের রক্ষক ও জোড়-জুলুমের বিরুদ্ধে ঢাল হিসেবে আখ্যায়িত করেন। বাংলাদেশের তরুণরা আজ তাদের প্রিয় নেতার আদর্শে অনুপ্রানিত হয়ে দেশকে যেভাবে ‘বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলায়’রূপান্তরিত করার জন্য দিন-রাত কাজ করে চলেছেন তিনি তার প্রশংসা করেন। একাত্তরের ধ্বংসলীলা ও গণহত্যা থেকে বের করে এনে বাংলাদেশকে একটি ইতিবাচক ও প্রগতিশীল সমাজে পরিণত করায় বঙ্গবন্ধুর অবদানকে স্মরণ করে শ্রী মোদী তার বানীতে উল্লেখ করেন যে ঘৃনা ও নেতিবাচকতা কখনই কোন দেশের উন্নয়নের ভিত্তি হতে পারেনা। পঁচাত্তরের নির্মম হত্যাকাণ্ড থেকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানাকে ঈশ্বর রক্ষা করায় তিনি নিজেকে এবং বাংলাদেশকে ভাগ্যবান মনে করেন বলে জানান।

আতংক ও সহিংসতাকে রাজনীতি ও কুটনীতির হাতিয়ার করে একটি সমাজ ও জাতি যেখানে ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে উপনীত, সেখানে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ আজ যেভাবে অন্তর্ভুক্তিকরণ ও উন্নয়নমূখী নীতিমালা অনুসরণ করে এগিয়ে চলেছে তা বিশ্ববাসী দেখতে পাচ্ছে বলে উল্লেখ করে নানা সামাজিক সূচকে অভূতপূর্ব উন্নতি করায় তিনি বাংলাদেশের প্রশংসা করেন। বাংলাদেশকে দক্ষিণ এশিয়ায় ভারতের বৃহত্তম বানিজ্য ও উন্নয়ন অংশিদার হিসেবে আখ্যায়িত করে নরেন্দ্র মোদী গত পাঁচ-ছয় বছরে দু দেশের সম্পর্কের ক্ষেত্রে যে নানামূখী উন্নতি হচ্ছে তার একটি বৃত্তান্ত তুলে ধরেন। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, কাজী নজরুল ইসলাম, ওস্তাদ আলাউদ্দিন খাঁ, লালন শাহ, জীবনানন্দ দাশ ও ইশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের মত মনীষিরা ভারত ও বাংলাদেশের গভীর সম্পর্কের ক্ষেত্রে অভিন্ন ঐতিহ্যের ভিত্তি বলে শ্রী মোদী তার বক্তব্যে জানান।

আগামী বছর বাংলাদেশের স্বাধীনতার পঞ্চাশতম আর তার পরের বছর ভারতের স্বাধীনতার পঁচাত্তরতম বার্ষিকীতে এই দু’দেশের মধ্যে বিরাজমান বন্ধুত্ব্যপূর্ন সম্পর্ক এক অনন্য উচ্চতায় উন্নিত হবে বলেও তিনি তার বক্তব্যে আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

এসি