ঢাকা, শুক্রবার   ২২ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ৭ ১৪৩১

করোনা প্রতিরোধে বাংলাদেশকে ডব্লিউএইচও’র পরামর্শ

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ০৫:৫৮ পিএম, ১৮ মার্চ ২০২০ বুধবার | আপডেট: ০৬:০৩ পিএম, ১৮ মার্চ ২০২০ বুধবার

বাংলাদেশসহ দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশগুলোতে করোনাভাইরাস মারাত্মক হয়ে উঠতে পারে বলে সতর্ক করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)। ভয়াবহ সেই পরিস্থিতি ঠেকাতে সীমান্ত, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, গণজমায়েত বন্ধ করে দেয়াসহ দ্রুত কঠোর পদক্ষেপ অনুরোধ করেছে সংস্থাটি। খবর বিবিসি’র।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া অঞ্চলের পরিচালক ড. পুনাম ক্ষেত্রপাল সিং গত মঙ্গলবার এ আহবান জানান। বাংলাদেশ, শ্রীলংকা, ইন্দোনেশিয়া, থাইল্যান্ড ও উত্তর কোরিয়াসহ দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার ১১টি দেশের প্রায় সবগুলোতেই করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়ছে। এ পরিস্থিতি মোকাবিলায় খুব দ্রুত কঠোর পদক্ষেপ নিতে হবে এসব দেশের সরকারগুলোকে। ড. পুনাম ক্ষেত্রপাল সিং বলেন, ‘এ অঞ্চলে দিন দিন আরও বেশি করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়ছে। আমাদের এ ভাইরাস মোকাবিলায় আরও জোরালো পদক্ষেপ নিতে হবে, এবং তা করতে হবে দ্রুত।’

ডব্লিউএইচও জানায়, দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বেড়েই চলেছে। কিছু কিছু দেশ সামাজিক মেলামেশার মাধ্যমে বড় মাত্রায় করোনাভাইরাস সংক্রমণের দিকে এগিয়ে চলেছে। লাগাতার করোনাভাইরাস আক্রান্ত নিশ্চিত হতে পরীক্ষা, আক্রান্তকে চিহ্নিত করা, চিকিৎসা দেয়া, কোয়ারেন্টাইন করা ও তারা কাদের সঙ্গে মিশেছে তা খুঁজে বের করার কাজ চালিয়ে যেতে হবে বলে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশগুলোকে জোর পরামর্শ দিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা।

মানুষের মধ্যে সামাজিক মেলামেশা বন্ধ করতে হবে। এই ব্যাপারে আরও জোর দিতে হবে। এটি করতে পারলেই করোনার সংক্রমণ বহু মাত্রায় কমানো সম্ভব। আমাদের এই মুহূর্তেই কাজ শুরু করতে হবে বলে উল্লেখ করেন ক্ষেত্রপাল সিং।

রয়টার্স জানিয়েছে, বিশ্বজুড়ে ছড়িয়ে পড়া করোনাভাইরাসে এখন পর্যন্ত মৃত্যু হয়েছে ৮ হাজার ৪১৮ জনের। আক্রান্তের সংখ্যা ১ লাখ ৯৮ হাজার ৩৬৩। সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ৮২ হাজার ২২৬ জন। মৃত্যুর হার ৪ দশমিক ২ শতাংশ। সুস্থ হওয়ার হার ৪১ দশমিক ৫ শতাংশ।

গেল বছরের ডিসেম্বরে চীনের হুবেই প্রদেশে উহানে প্রথম করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়। বর্তমানে দেশটিতে ভাইরাসে আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যা একদমই নিচে। এখন পর্যন্ত দেশটিতে করোনায় প্রাণহানি হয়েছে মোট ৩ হাজার ২২৬ জনের। আক্রান্ত হয়েছেন ৮২ হাজার ৭ জন মানুষ।

চীনের পরে ইউরোপের দেশ ইতালিতে করোনায় সংক্রমণ বেশি হয়েছে। ইতালিতে করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩১ হাজার ৫০৬ জনে। ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে এখন পর্যন্ত মারা গেছেন ২ হাজার ৫০৩। ইরানেও করোনার সংক্রমণ বাড়ছে। ভারতে কয়েকজন মারা গেছেন। বেশ কয়েকটি দেশের রাষ্ট্রপ্রধান ও মন্ত্রী কোয়ারেন্টাইনে রয়েছেন।

বাংলাদেশেও আজ বুধবার করোনায় প্রথমবারের মতো মারা গেছেন একজন। আক্রান্ত হয়েছেন ১৪ জন।

এমএস/এসি