ঢাকা, রবিবার   ২৪ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ১০ ১৪৩১

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব

মো. শরিফুল ইসলাম আকন্দ

প্রকাশিত : ০৯:২৪ পিএম, ১৮ মার্চ ২০২০ বুধবার | আপডেট: ০৯:২৯ পিএম, ১৮ মার্চ ২০২০ বুধবার

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব তুমি সাড়া জাগানো নাম
হৃদ স্পন্দন শিহরিত শুনে তোমার ভাষণ।
তুমি অগ্নি পুরুষ, ফায়ারি তোমার কন্ঠস্বর,
তোমার ডাকে ছুটে অগণিত বীর সেনাদল।
শুধু বাংলায় নয় সারাবিশ্বে তোমার পরিচয়
তুমি বরং বঙ্গবন্ধু নও তুমি তো বিশ্ববন্ধুও।
দলমত নির্বিশেষে তোমার নেতৃত্বে সবাই মুখরিত।
তুমি পৃথিবীতে খোদার এক বিশেষ দান।
তুমি উল্কাপিন্ড নও, তুমি ধূমকেতু সমান।
 বিকরিত সূর্যের বিচ্ছুরণের ন্যায় তোমার অবদান,
তুমি মহাশুন্যে ভাসমান, সাগর, নদীতে চলমান।
তুমি স্থলে বহু কোটি বাঙালির প্রাণের স্পন্দন,
তুমি সারাবিশ্বে শত কোটি মানুষের আলোড়ন।
তুমি বাংলার রেনেসাঁ, তুমি বাংলার টর্চ বেয়ারার,
তুমি বাংলার সক্রেটিস, তুমি প্লেটো ও এরিস্টটল, 
কারণ তোমারও আছে তাঁদের মত ফিলসফি দর্শন।
তুমি মার্শাল টিটু, মাওসেতুং কিংবা বাবর এর মত মহান।
তুমি হিমালয় অদ্রি, আল্পস, কিলিমানঞ্জারো, বাংলার বিজয়।
তুমি আমাজান কিংবা সাহারা মরুভূমির মত প্রসারিত সুদূর।
তুমি টোবা আগ্নেয়গিরির মত টগবগিয়ে উৎগিরণ,
তুমি নীল নদ, মহাদেশ ও মহাসাগরের উদার মন।
তুমি হাটে-ঘাটে, মাঠে, রাস্তায়, নদী, শহর বন্দরে 
গুনগান তোমার আলোচিত হয় আর্ন্তজাতিক অঙ্গনে।
তুমি টর্পেডো, তোমার আর্টিলারিতে নিয়েজী ধ্বংস ।
স্বাধীন দেশের স্বীকৃতি দিয়েছে বহুজাতি ও সঙ্ঘ,
সারাবিশ্বে বাংলাদেশ রাষ্ট্র আজ এক আশ্চর্য।

আমি অবাক হই, বিস্ময়ে তাকিয়ে রই,
ধানমন্ডির ৩২ রোডের বাড়িতে ভিজিটে গিয়ে
একটি ছবির দিকে ক্ষণিক অপলক নয়নে নীরবে দাঁড়িয়ে।
ভিজিটরের লোচনও নিবন্ধিত হয় লিজেন্ড ফ্রেমটিতে।
তিনি সুপুরুষ, সুন্দর অবয়ব কি তার মোহনি শক্তি, 
জীবনভর সংগ্রাম জেল জুলুম আর কারাগারে বন্দী ।
‘কারাগারের রোজনামচা’, ‘অসমাপ্ত আত্ম জীবনী’, 
এদেশের মানুষ আর সংবিধান তাঁরই চিরসাক্ষী।
 ‘শেখ মুজিব আমার পিতা’ শেখ হাসিনাতেও জানি।
মুজিব কখনো ভাবেনি নিয়ে আপনারে
কামাল বলেছে বড় বোন হাসিনারে,
হাচু আপা, হাচু আপা তোর আব্বাকে
আমি একটু ডাকি আব্বু বলে ।
কোলে তুলে রাসেলেরে আমি তোমারও আব্বা যে।
ওতো দেখে না বাবাকে বাসায় থাকতে।
তোমার নীতি ‘বন্ধুত্ব সবার সাথে, বৈরিতা নয়’
তোমার শক্তি বাংলার আপামর জনগন। 
আন্দোলনের ঝনঝটা পদে পদে শত কাঁটা
৩৮এ যাত্রা ৪৮-৫২ টানা চলা, জিন্নাহ খেয়ালীপনা
৭১এ সংগ্রাম অবশেষে বিজয়, ৭২ এ প্রাপ্তির পূর্ণতা।
ছেষট্টির ছয় দফা বাংলার মেগনাকাটা,
তোমার ৭ ই মার্চের কাব্যিক ভাষণ অগ্নি ঝরা।
তুমি মহা নায়ক, তুমি মহাকবি, তুমি মহানেতা।
শোষিতের অধিকার আদায়ে ভাষণ দিল যাঁরা
মার্টিন লুথার কিং, গান্ধীজী আরো লিংকন, মেন্ডেলা ।
তোমার অলিখিত ভাষণ ইতিহাস সেরা।
তুমি দিয়েছো বাংলাদেশের স্বাধীনতা ।
আমাদের আছে লাল-সবুজের পতাকা।
তুমি তো আমাদের অবিসংবাদী নেতা। 
৫৪ ও ৭০ এর নির্বাচনে বিজয়ী হয়ে
জয়ের মালা গলায় পরতে দেয়নি তারা।
আলোচনার নামে কালক্ষেপণে নরপিচাশ
‘অপারেশন সার্চ লাইটে’ নারকীয় নীলা তান্ডবে
হত্যা যজ্ঞ, ধর্ষণ, শীলতাহানীও জেনোসইড চলে।
মাস্টার, ডাক্টার, ইঞ্জিনিয়ার, কারিগর সহ 
৩০ লাখ শহিদের বাতি নেভে ঝড়ে।
আমি বাঙালি, বাংলা আমার ভাষা
বাংলাদেশ আমার মাটি যা সোনা ভরা।
আমি এ স্বাধীন সার্বভৌম ভূখন্ডের বাসিন্ধা,
আমি গর্বিত, বাংলাদেশী আমার জাতীয়তা।
সোহরাওয়ার্দী, শের-এ-বাংলা, ভাসানী
 ও মোদের ত্যাজী ত্যাগী জাতীয় চার নেতা। 
তাঁদের অবদানে এই রুপান্তরিত রুপসী বাংলা,
মুজিব যিনি এই স্বাধীন জাতির পিতা।
তোমার গৌরবে বাংলাদেশ বিশ্বে মেলেছে পাখা।
মুজিব তোমার জন্ম ধন্য, ধন্য করেছ দেশ মাতা
যেদেশের অর্থনীতি তোমারই কয় কথা ।
এদেশে পরতে পরতে ছড়িয়ে আছে 
তোমার জীবন গাঁথা।

আমি সঙ্কিত, আমি হত বিহ্বল
আবার আমি অবাক তাকিয়ে রই
নিথর দেহ সেই ছবিটির দিকে।
 ভাবতে ভাবতে অবাক লাগে
যাঁর অবদানে লাল-সবুজের বাংলাদেশ
তাঁরই গায়ে বুলেট, পরিবার হলো শেষ।
ঘাতকের কখনো কি কাঁেপনি হাত
আমার বুলেট বিদ্ধ তাঁর গায়?
ক্ষমতার কুহকে অন্ধ হল যারা
ভাবেনি কখনো তা চিরকাল রয় না।
ওদের হৃদয় এত পাষাণ কিভাবে
রেহাই দেয়নি নিস্পাপ শিশুকে  
রাসেল বলেছে যাব মার কাছে
ঘুরে ঘুরে দেখিয়ে খুন করে তাঁকে। 
বঙ্গবন্ধু বন্দী মেওয়ালী কারাগারে 
জীবন নিতে পারত ইয়াহিয়া-ভুট্টো মিলে
ছেড়েছে টোপ হজম হবে না বলে।
স্বজাতি এত নিমর্ম নির্দয় হতে পারে
স্বাধীনতার সূর্য যাঁর হাতে তাঁকে খুন করে।
নশ্বর জীবনে ইতি টেনেছে ঘাতক নিষ্ঠুর
কিন্তু তোমার কর্ম অমর অক্ষয়ও চিরভাস্বর ।
তুমি তো রয়েছ স্বর্গের করিডোরে সুন্দর,
তোমার অবদানে বাংলাদেশ ইসলামী ফাউন্ডেশন ।
তুমি চেয়েছিলে গড়তে যে সোনার দেশ,
শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সে পথেই বাংলাদেশ।

আরকে//