করোনা ভাইরাস ঠেকাতে কুনুতে নাজিলা পড়ুন
একুশে টেলিভিশন
প্রকাশিত : ০২:৩৬ পিএম, ২০ মার্চ ২০২০ শুক্রবার | আপডেট: ০২:৩৭ পিএম, ২০ মার্চ ২০২০ শুক্রবার
প্রাণঘাতী করোনা ভাইরাস দ্রুতবেগে ছড়িয়ে পড়ছে। বাংলাদেশেও করোনা শনাক্ত হওয়ায় সবার মাঝে এক অজানা আতঙ্ক বিরাজ করছে। ওলামা-মাশায়েখ ও ইসলামী চিন্তাবিদরা কোরআন ও সুন্নাহর আলোকে এ ভাইরাস থেকে বাঁচতে কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ পরামর্শ দিয়েছেন। চলুন জেনে নেয়া যাক সেগুলো-
১. রোগ-মহামারী কিংবা দুর্যোগ- বান্দাদের পরীক্ষা করতে বিভিন্ন সময় আল্লাহতায়ালার পক্ষ থেকে আসে (সূরা বাকারা: ১৫৫)। তাই এ সময় সবার উচিত ধৈর্যধারণ করা, আল্লাহতায়ালার ওপর বিশ্বাস আরও সুদৃঢ় করা এবং তার কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করা।
২. বিভিন্ন শতাব্দীতে বিশ্বব্যাপী এমন ভাইরাস ছড়িয়ে পড়েছিল। মহানবী (সা.)-এর সময়েও মহামারী রোগ ছড়িয়েছিল। এ প্রসঙ্গে তিনি ইরশাদ করেছেন, যদি তোমরা মহামারীর কোনো সংবাদ শোন তাহলে সেখানে প্রবেশ থেকে বিরত থাক। আর যদি কোনো শহরে বা নগরে কেউ সেই মহামারীতে আক্রান্ত হয় তাহলে সেখান থেকে তোমরা বের হয়ো না (বুখারি, হাদিস নং ৫৩৯৬)।
৩. পৃথিবীতে যা কিছু ঘটে সবকিছু আল্লাহতায়ালার ইচ্ছাতেই ঘটে। সবকিছুর কারণ ও প্রতিকার বুঝতে আমরা সামর্থ্য রাখি না। তাই এ মুহূর্তে আমাদের উচিত, মসজিদে ও ঘরে সম্মিলিত কিংবা একাকীভাবে দোয়ার আমল করা। করোনা ভাইরাসসহ সব ধরনের রোগ থেকে পরিত্রাণ চাওয়া।
৪. প্রত্যেক মসজিদে ফজর নামাজে ‘কুনুতে নাজেলা’ পড়া। হজরত আবু হোরায়রা (রা.) বলেন, রাসূল (সা.) ফজরের নামাজের সময় কোনো জাতির জন্য দোয়া করতে কুনুতে নাজেলা পড়তেন (তিরমিজি, হাদিস নং ৪০১)।
৫. সর্বদা পরিচ্ছন্ন থাকুন। জীবাণুমুক্ত থাকুন। দু’হাত ধুয়ে নিন। সব সময় অজু অবস্থায় থাকতে চেষ্টা করুন। ময়লা-আবর্জনার মাধ্যমে কোনো ব্যাধি যেন না ছড়ায় সেদিকে খেয়াল রাখুন। কারণ পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা রোগ নিরাময়ে সহযোগী- একটি সুন্নাহসম্মত কাজ।
করোনা নিয়ে আতঙ্কিত না হয়ে আমাদের ব্যক্তিগত হাইপিংটা কন্ট্রোল করতে হবে। কারণ সব হাঁচি-কাশিই করোনা ভাইরাস নয়। তবে একটু নিয়ম মেনে চলতে হবে। কাশি দেয়ার সময় হাতটা মুখ থেকে দূরে রাখতে হবে। সব সময় কাছে টিস্যু পেপার রাখতে হবে।
একে//