ঢাকা, বুধবার   ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪,   আশ্বিন ১০ ১৪৩১

রাজাপুরে ভ্রাম্যমান আদালতে ১১ জনকে জরিমানা

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ০৫:৩৯ পিএম, ২০ মার্চ ২০২০ শুক্রবার

ঝালকাঠির রাজাপুরে ডাক্তার পরিচয়ে প্রেসার মাপাসহ বিভিন্ন রোগের অনুমোদনহীন ওষুধ বিক্রির দায়ে তিন ভুয়া ডাক্তার, অতিরিক্তমূল্যে বিক্রির অভিযোগে দুই পেঁয়াজ ব্যবসায়ী এবং নিন্মমানের খাদ্যপণ্য ও ভেজাল প্রসাধনী বিক্রয়ের দায়ে ৬ জনসহ মোট ১১ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে দণ্ড দিয়েছে ভ্রাম্যমান আদালত।

বৃহস্পতিবার রাতে পৃথক অভিযান চালিয়ে উপজেলার মনোহরপুর ও সদরের বাইপাস মোড় এলাকা থেকে এদের আটকের পর ভ্রাম্যমান আদালতে সোপর্দ করার পর উক্ত ১১ জনকে ৯০ হাজার টাকা অর্থদন্ড প্রদান করা হয়েছে ।
 
রাজাপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্র জানায়, ইউএনও মো. সোহাগ হাওলাদারের নেতৃত্বে পরিচালিত ভ্রাম্যমান আদালতে তিন ভুয়া ডাক্তারের জনপ্রতি ১০ হাজার টাকা করে ৩০ হাজার, দুই পিয়াজ ব্যবসায়ীকে জনপ্রতি ৫ হাজার করে ১০ হাজার টাকা অর্থদন্ড প্রদান করেন। অন্যদিকে একই রাতে রাজাপুর থানা পুলিশের হাতে আটককৃত নিন্মমানের খাদ্যপণ্য ও প্রসাধনী বিক্রিকারী ৬ ব্যক্তিকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে শুক্রবার সকালে ভ্রাম্যমান আদালতের কাছে সোপর্দ করলে ভোক্তা অধিকার আইনে তাদেরকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানাসহ লিখিত অঙ্গীকারনামা রেখে ছেড়ে দেয়া হয়। 

ভুয়া ডাক্তাররা ও অনুমোদনহীন ওষুধ বিক্রির দায়ে দন্ডিতরা হলেন, নীলফামারি জেলা সদরের আ. কাদের এর ছেলে ওসমান খান, শাহ জামালের ছেলে মানিক মন্ডল ও আ. ছত্তার এর ছেলে মো: আসলাম এবং দন্ডিত পিয়াজ ব্যবসায়ীরা হলেন রাজাপুরের আ: সালাম ও লোকমান হোসেন। অন্যদিকে দন্ডিত নিন্মমানের খাদ্যপণ্য ও প্রসাধনী বিক্রয়কারীরা হলেন, দিনাজপুরের শহিদুল ইসলাম, বোরহানউদ্দিনের বায়েজিদ ও মহিবুল্লাহ, চাপাইনবাবগঞ্জের রাফি হোসেন, কক্সবাজারের মো. সুমন ও নেত্রকোনার হাফিজ মুহাম্মদ মামুন। 

এব্যাপারে রাজাপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. সোহাগ হাওলাদার জানায়, ডাক্তার পরিচয় দিয়ে বাড়ি বাড়ি গিয়ে অনুমোদনহীন ওষুধ বিক্রয়ের দায়ে তিনজনকে ত্রিশ হাজার টাকা, অতিরিক্ত দামে পিয়াজ বিক্রয়ের দায়ে দু’জনকে দশ হাজার টাকা এবং ভোক্তা অধিকার আইন লংঘন করে নিন্মমানের খাদ্যপণ্য ও প্রসাধনী বিক্রয়ের দায়ে ছয়জনকে পঞ্চাশ হাজার টাকা অর্থদন্ড করা হয়।

কেআই/আরকে