ঢাকা, রবিবার   ২৪ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ৯ ১৪৩১

ঢাবিতে তৈরি হচ্ছে হ্যান্ড স্যানিটাইজার, মিলবে বিনামূল্যে

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১০:৫৫ পিএম, ২০ মার্চ ২০২০ শুক্রবার

প্রাণঘাতী করোনা ভাইরাস থেকে সুরক্ষায় নিজস্ব অর্থায়নে ‘হ্যান্ড স্যানিটাইজার’ তৈরি করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) বায়োমেডিক্যাল রিসার্চ সেন্টার ও ফার্মেসি অনুষদের শিক্ষার্থীরা। প্রাথমিকভাবে ঝুঁকিতে থাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৮টি আবাসিক হল, অনুষদ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মধ্যে তা বিনামূল্যে বিতরণ করা হবে।

শুক্রবার বিশ্ববিদ্যালয়ের বায়োমেডিক্যাল রিসার্চ সেন্টারে প্রাথমিকভাবে জীবণুনাশকটি তৈরি করা হয়। এ কাজে শিক্ষার্থীদের সহায়তা করেন ফার্মেসি অনুষদের শিক্ষকরা।

কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, শুরুতে ৫০০ বোতল হ্যান্ড স্যানিটাইজার তৈরির পরিকল্পনা থাকলেও পরে এটি বেড়ে গিয়ে প্রায় ১ হাজারের মতো বোতল উত্পাদন করতে সক্ষম হয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের এ রিসার্চ সেন্টারটি। এসব হ্যান্ড স্যানিটাইজার শিক্ষার্থীদের মধ্যে বিতরণও করা হচ্ছে।

ফার্মেসি বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. সীতেশ চন্দ্র বাছার বলেন, বিভাগের নিজস্ব অর্থায়নে প্রাথমিকভাবে ৫০০ বোতল হ্যান্ড স্যানিটাইজার তৈরির পরিকল্পনা নেওয়া হয়। পরবর্তীতে ভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের কথা চিন্তা করে এর পরিমাণ বাড়ানো হয়। এখন পর্যন্ত ১ হাজার বোতল প্রস্তুত করা হয়েছে। আমাদের প্রত্যাশা মজুত থাকা কেমিক্যাল দিয়ে আড়াই হাজার বোতল পর্যন্ত আমরা তৈরি করতে পারব। এ উদ্যোগে নেতৃত্ব দিচ্ছেন বিভাগের শিক্ষক মো. আবদুল মুহিত।

তিনি বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভাগ ও হলগুলোতে আমরা বিতরণ শুরু করব। হল প্রশাসন ও হল সংসদের মাধ্যমে এটি বিতরণ করা হবে। বিনা মূল্যে বিতরণের জন্য ব্যাপকভাবে হ্যান্ড স্যানিটাইজার তৈরির দরকার হলে আমরা তা করতে রাজি আছি। আবদুল মুহিত বলেন, বায়োমেডিক্যাল রিসার্স সেন্টারের পরিচালক অধ্যাপক আ ব ম ফারুক এবং ফার্মেসি অনুষদের ডিন অধ্যাপক এস এম আব্দুর রহমানের পরামর্শ এবং সহযোগিতায় শিক্ষার্থীদের নিয়ে এসব হ্যান্ড স্যানিটাইজার তৈরি করেছি।

উপাচার্য অধ্যাপক মো. আখতারুজ্জামান বলেন, জাতির এই ক্রান্তিলগ্নে সব ধরনের গবেষণার জন্য প্রস্তুত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়। এ ধরনের প্রকল্পে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের সর্বাত্মক সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে। শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্য নিরাপত্তায় অগ্রাধিকার ভিত্তিতে যে কোনো প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে প্রশাসন।