ঢাকা, শুক্রবার   ২২ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ৮ ১৪৩১

করোনা মোকাবেলায় এখনই যা জরুরী

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ০১:৪৫ পিএম, ২১ মার্চ ২০২০ শনিবার

উন্নত বিশ্বের মত বাংলাদেশেও করোনা ভাইরাস আতঙ্কের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। সরকারের পক্ষ থেকে বিভিন্ন ধরণের পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে। কিন্তু বিভিন্নভাবে আলোচনায় উঠে আসছে যতটুকু সতর্কতা বা পদক্ষেপ জরুরী তা নেওয়া হচ্ছে না। ফলে যে যার অবস্থান থেকে এ বিষয়ে পরামর্শ ও প্রতিরোধে করণীয় সম্পর্কে সাধারণ জনগণকে অবগত করছেন।

সেই ধারাবাহিকতায় সেন্টার ফর মেডিকেল এডুকেশন ও জনস্বাস্থ্য প্রতিষ্ঠানের সাবেক পরিচালক, ইউনেস্কোর মাস্টার ট্রেইনার এবং ওয়ার্ল্ড ফেডারেশন ফর মেডিকেল এডুকেশনের সাবেক সিনিয়র অ্যাডভাইজার ডা. মোজাহেরুল হক করোনা ভাইরাস নিয়ে দেশের বর্তমান অবস্থা ও করণীয় সম্পর্কে গণমাধ্যমে কিছু পরামর্শ প্রদান করেছেন। যা নিচে দেওয়া হলো-

- প্রথমত ভাইরাসটি যাতে ছড়াতে না পারে, সে বিষয়ে কঠোর ব্যবস্থা নিতে হবে। 

- সীমান্তসহ আন্তর্জাতিক ও অভ্যন্তরীণ এয়ারপোর্টগুলোয় যথাযথ মানসম্মত স্ত্রিনিং ব্যবস্থা চালু করতে হবে।

- টোটাল কোয়ালিটি ম্যানেজমেন্ট থাকতে হবে। শুধু একটি ভালো স্ক্রিনিং মেশিন বসিয়ে দিলেই চলবে না। মেশিনের পেছনে মানুষগুলো থেকে শুরু করে সামগ্রিক সব ক্ষেত্রে মান বজায় রাখতে হবে।

- স্ক্রিনিং-পরবর্তী যখনই কোনো রোগী পাওয়া যাবে তখনই আমাদের চিহ্নিত করতে হবে যে ওই রোগী কীভাবে কোন পথে এখানে এসেছে, তার স্পর্শ স্থানগুলোকে জীবাণুমুক্ত করতে হবে। রোগীটি যদি বিমানে আসে তাহলে তার সঙ্গের সব যাত্রীকে কোয়ারেন্টিনে নিতে হবে।

- সংক্রমিত কোনো দেশ থেকে বিমানে করে যাত্রী আনার আগে-পরে স্ক্রিনিং বাধ্যতামূলক করতে হবে। তাদের বিস্তার রোধ করতে হবে। তাদের জন্য নির্দিষ্ট জায়গা বেছে নিতে হবে। প্রয়োজনে স্টেডিয়াম, জিমনেশিয়ামে অস্থায়ী হাসপাতাল করতে হবে। 

- করোনা আক্রান্ত দেশগুলো থেকে মানুষ আনা বন্ধ করতে হবে। আক্রান্ত দেশগুলো থেকে প্রবাসীদের আসাকে নিরুৎসাহিত করতে হবে। বিদেশীদেরও আসতে নিরুৎসাহিত করতে হবে। সেই সঙ্গে সামনে যা করার তা ত্বরিতগতিতে শুরু করতে হবে।

- লক্ষণ দেখা দিলে অবশ্যই আইইডিসিআরে যোগাযোগ করবে অথবা ডাক্তারের শরণাপন্ন হবে।

- যারা চিকিৎসা প্রদান করবেন তাদের ইমার্জেন্সি প্রশিক্ষণ প্রয়োজন। 

- কোয়ারেন্টিনের জায়গা আলাদা রাখতে হবে। আক্রান্ত হলে করোনার জন্য বিশেষায়িত হাসপাতালে চিকিৎসা করতে হবে। বিভিন্ন হাসপাতালে পাঁচ কিংবা ১০টি বেড আলাদা করে চিকিৎসা দেয়াটা মারাত্মক বিপর্যয় ডেকে আনবে। 

- করোনা রোগীর জন্য আলাদা অ্যাম্বুলেন্স, ট্রলি থেকে শুরু করে যাবতীয় উপকরণ রাখতে হবে। চিকিৎসক, নার্সদের বিষয়টিও জরুরি। 

- মূলকথা হলেও করোনাভাইরাস চিকিৎসার জন্য চিহ্নিত হাসপাতাল থাকতে হবে। সেখানে শুধু করোনাভাইরাসে আক্রান্তদের চিকিৎসা হবে এবং প্রশিক্ষিত স্বাস্থ্য জনবল থাকবে। সেখানে অন্য কোনো রোগী দেখা বা ভর্তি করা যাবে না।

- জনস্বার্থে প্রয়োজনীয় কিট ও সরঞ্জাম সরবরাহ করে এবং উন্নত ও আধুনিক হাসপাতালগুলোর ল্যাব ব্যবহার করে করোনাভাইরাস মোকাবেলায় কার্যকরী ভূমিকা রাখা যেতে পারে। 

এসএ/