ঢাকা, শুক্রবার   ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪,   আশ্বিন ৪ ১৪৩১

‘দাম নিয়ন্ত্রণে অধিকপণ্য কেনা থেকে বিরত থাকুন’

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ০৩:৪৯ পিএম, ২১ মার্চ ২০২০ শনিবার | আপডেট: ০৫:১১ পিএম, ২১ মার্চ ২০২০ শনিবার

বিশ্বের অন্যান্য দেশের ন্যায় বাংলাদেশেও করোনায় সংকট সৃষ্টি হয়েছে চালসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের ওপর। সরকার কর্তৃক খাদ্য মজুদের কথা বারবার ঘোষণা দেয়া হলেও সাধারণ মানুষের মাঝে এর প্রভাব খুব একটা পড়েনি। 

ফলে অনেকে একমাস থেকে তিনমাসের অগ্রিম খাদ্য মজুদ রাখছেন। আর এতে করেই বাড়তে শুরু করেছে চালসহ অন্যান্য জিনিসপত্রের দাম। সংকট দেখা দিতে পারে সরবরাহে। 

থেমে নেই একশ্রেণির অসাধু ব্যবসায়ীও। চাহিদার ধোঁয়া তুলে দাম বাড়িয়ে দিয়েছেন কয়েকগুণ। যা প্রভাব পড়েছে সবচেয়ে বেশি রাজধানীতে। তবে তা নিয়ন্ত্রণে প্রতিনিয়ত অভিযান চালিয়ে যাচ্ছে বাজার নিয়ন্ত্রণকারী প্রতিষ্ঠানগুলো।

আজ শনিবার রাজধানীর কারওয়ান বাজারসহ কয়েকটি বাজার ঘুরে দেখা যায়, গত চারদিন আগে পাইকারি বাজারে মিনিকেট চাল যেখানে ছিল ৫২ টাকা কেজি সেখানে তা বিক্রি হচ্ছে ৫৪ টাকা। আটাশে কেজি প্রতি বেড়েছে ৮ থেকে ১০ টাকা। স্বর্না ৩২ থেকে ৪০ টাকা নেয়া হচ্ছে। আর নাজির বিক্রি হচ্ছে ৮ টাকা বেড়ে ৫৮ টাকায়। 

এতে করে প্রতি ৫০ কেজির বস্তায় বস্তায় ১৫০ থেকে ২০০ টাকা পর্যন্ত বাড়তি দাম রাখা হচ্ছে। এর যথেষ্ঠ প্রভাব পড়েছে খুচরা বাজারে। 

শুধু চাল নয়, দাম বেড়েছে ডাল ও মশলার। খুচরা বিক্রেতা পিয়াস হোসেন বলেন, গত বৃহস্পতিবার মশুরের ডাল ছিল ৯৯ টাকা কেজি। তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১০৭ টাকা। এমনিভাবে দু’দিনের ব্যবধানে লাল চিনি নেয়া হচ্ছে ৬৭ টাকা, সাদা ৭৫ টাকা। মুকডালে কেজিতে ১০ টাকা বেড়ে ১৪০ টাকা। দাম বেড়েছে জিরার। কেজিতে ৪০-৫০ টাকা বেড়েছে এই মশলার। 

এমন অবস্থায় রাজধানীজুড়ে আজও অভিযানে নেমেছে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর। 

কারওয়ান বাজারে অভিযান পরিচালনা করেন সংস্থাটির উপ-পরিচালক মাসুম আরেফিন। 

তিনি একুশে টিভি অনলাইনকে বলেন, ‘কিছু ব্যক্তি করোনায় আতঙ্কিত হয়ে অধিকপণ্য কিনছেন। এতে করে চালসহ কিছু পণ্যের বেড়েছে। তাই, রাজধানী ঢাকাসহ সারাদেশে অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে। আজ ছুটির দিনেও শুধু ঢাকা শহরেই ছয়টি টিম অভিযানে কাজ করছে।’ 

তিনি বলেন, ‘বাজার ঘুরে দেখা যায় চালের দাম কিছুটা বেশি রাখা হচ্ছে। একই অবস্থা শিশু খাদ্যেও। তাই দুটি প্রতিষ্ঠানকে জরিমানা ও সাবধান করা হয়েছে। আইন প্রয়োগের পাশাপাশি সবচেয়ে গুরুত্ব দেয়া হচ্ছে ব্যবসায়ী ও ভোক্তা সাধারণকে সচেতন করার।’

অধিক পণ্য কেনা থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানিয়ে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের এই উপ-পরিচালক বলেন, ‘দেশে পর্যাপ্ত পরিমাণ খাদ্য মজুদ রয়েছে। আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। দাম বাড়বে আশঙ্কা করে অধিক পণ্য কিনে বাজারে কৃত্রিম সংকট তৈরি করবেন না। এতে সরবরাহের চালানে ব্যাহত হবে, যাতে আমরা সবাই ক্ষতিগ্রস্ত হবো।’

এআই/