হ্যান্ড স্যানিটাইজার তৈরি করল ঢাকা কলেজ
ঢাকা কলেজ সংবাদদাতা
প্রকাশিত : ০১:১৪ পিএম, ২৩ মার্চ ২০২০ সোমবার
মরণঘাতি ভাইরাস করোনার ভয়াল প্রাদুর্ভাব থেকে বাঁচতে এবং জীবাণুমুক্ত থাকতে হ্যান্ড স্যানিটাইজার তৈরি করেছে ঢাকা কলেজের রসায়ন বিভাগ। যা বিনামূল্যে বিতরণ করা হবে।
রোববার (২২ মার্চ) কলেজের রসায়ন বিভাগের বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক লায়লা মুস্তারীনের নেতৃত্বে রসায়ন বিভাগের পরীক্ষাগারে নিজস্ব অর্থায়নে এ প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়।
স্যানিটাইজার তৈরির প্রাথমিক পর্যায়ে স্যানিটাইজার প্রস্তুত করে পরীক্ষামূলকভাবে বেশ কয়েকটি বোতলে হ্যান্ড স্যানিটাইজার বোতলজাতও করা হয়। পুরো প্রক্রিয়া সম্পন্ন হবার পর আগামীকাল কমপক্ষে ৫০০ বোতল হ্যান্ড স্যানিটাইজার বোতলজাত করা হবে যা কলেজের সাধারণ শিক্ষার্থী, শিক্ষক, কর্মকর্তা কর্মচারী এবং আশেপাশের সাধারণ মানুষের মাঝে বিনামূল্যে বিতরণ করা হবে।
রসায়ন বিভাগের প্রভাষক আসলাম হুসাইন জানান, ‘চলমান সংকট মুহূর্তে দায়িত্বানুভূতির জায়গা থেকে রসায়ন বিভাগের বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক লায়লা মুস্তারীনের নেতৃত্বে ১০ সদস্যের একটি দলের দীর্ঘ প্রচেষ্টায় জীবাণুনাশক হ্যান্ড স্যানিটাইজার প্রস্তুত করা হয়।’
স্যানিটাইজার প্রস্তুতকারী দলের অন্যান্য সদস্যরা হলেন- রসায়ন বিভাগের তিন সহযোগী অধ্যাপক বি.এম মুহিবুর রহমান, সৈয়দ আনোয়ার হোসেন, শাহীন আফরোজ, তিন সহকারী অধ্যাপক মো. আব্দুল হামিদ, ড. নাজমুল কবীর চৌধুরী, নকুল চন্দ্র পাল। আর তিন প্রভাষক আসলাম হোসেন, মাহমুদুল হাসান এবং ত্রিনাথ সিংহ।
এছাড়াও এ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে বিভাগের অন্যান্য কর্মকর্তা কর্মচারী, কলেজ প্রশাসন এবং কিছু শিক্ষার্থী সার্বিক সহায়তা করেন বলেও জানান তিনি।
কলেজের রসায়ন বিভাগের বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক লায়লা মুস্তারীন বলেন, ‘বর্তমান পরিস্থিতিতে হ্যান্ড স্যানিটাইজার উৎপাদন করা আমাদের দায়িত্বের একটি অংশ। আমরা আপাতত স্বল্প পরিসরে এটা করেছি। কলেজ বন্ধ থাকায় যেহেতু শিক্ষার্থীরা নেই তাই আপাতত শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারী এবং আশেপাশের সাধারণ মানুষদের মাঝে বিনামূল্যে এই স্যানিটাইজার বিতরণ করা হবে।’
এ বিষয়ে ঢাকা কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক নেহাল আহমেদ বলেন, ‘চলমান সংকটাবস্থায় হ্যান্ড স্যানিটাইজার উৎপাদন খুবই ভালো একটি উদ্যোগ। আমরা এ ধরণের উদ্যোগকে সাধুবাদ জানাই। এমন কর্মকাণ্ডের সাথে কলেজ প্রশাসন সর্বাত্মক সহায়তা করতে সর্বদা প্রস্তুত।’
এ উদ্যোগ সাধারণ মানুষের উপকারে আসবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘আশা করছি ধীরে ধীরে এর উৎপাদন এবং ব্যাপ্তি বৃদ্ধি করা হবে। এজন্য প্রশাসন থেকে প্রয়োজনীয় আর্থিক সহায়তা অব্যাহত থাকবে।’
এআই/