চট্টগ্রাম বন্দরের চেয়ারম্যান হলেন একে আজাদ
একুশে টেলিভিশন
প্রকাশিত : ১০:৪০ পিএম, ২৩ মার্চ ২০২০ সোমবার | আপডেট: ১০:৪৪ পিএম, ২৩ মার্চ ২০২০ সোমবার
রিয়ার অ্যাডমিরাল শেখ আবুল কালাম আজাদ
চট্টগ্রাম বন্দরের চেয়ারম্যান নিযুক্ত হয়েছেন সাবেক নৌ গোয়েন্দা প্রধান রিয়ার অ্যাডমিরাল শেখ আবুল কালাম আজাদ। সম্প্রতি তিনি মোংলা বন্দরের চেয়ারম্যান হিসেবে নিযুক্ত ছিলেন। এক মাসের মাথায় একে আজাদের নতুন পদায়ন ঘটলো।
এদিকে, শেখ আজাদের আগে চট্টগ্রাম বন্দরের চেয়ারম্যান ছিলেন রিয়ার এডমিরাল জুলফিকার আজিজ। এই নিয়োগের ফলে যিনি বাংলাদেশ নৌবাহিনীতে ফিরে এসেছেন।
দায়িত্ব গ্রহণের পর একে আজাদ একুশে টেলিভিশনকে বলেন, নানা কারণেই বিশ্বের কাছে চট্টগ্রাম বন্দর প্রণিধানযোগ্য। বাংলাদেশের ব্যবসায় বাণিজ্য সচল রাখতে এই বন্দরের ভূমিকা অগ্রগণ্য। তাই তাই সবদিক বিবেচনা করে মর্যাদার সঙ্গে কাজ করে যাব।
বন্দরকে নতুন রূপে সাজানোর প্রত্যয় ব্যক্ত করে আবুল কালাম আজাদ বলেন, আমি আগেও চট্টগ্রামে চাকরি করেছি। ইশা খাঁ’র দায়িত্বে ছিলাম। যে কারণে এখানকার অনেক কিছুই আমার চেনা জানার মধ্যে।
নৌবাহিনীর চৌকস কর্মকর্তা আজাদ নৌগোয়েন্দা প্রধানের দায়িত্ব পালনের আগে ইশা খাঁর দায়িত্বে ছিলেন। তারও আগে তিনি রাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়নের আইন ও গণমাধ্যম শাখার প্রধান ছিলেন। মিডিয়াবন্ধু হিসেবে সুপরিচিত আবুল কালাম আজাদের গুরুত্বপূর্ণ কর্মকাণ্ড সে সময় যারপরনাই প্রশংসিত ছিল। দেশজুড়ে র্যাবের সাফল্যমণ্ডিত কর্মকাণ্ড তখন মিডিয়ার মাধ্যমে জনগণের কাছে পৌঁছে গিয়েছিল। এমনকি সাধারণ মানুষকে সচেতন করতেও একে আজাদ ও তার মিডিয়া টিম সাংবাদিকদের মাধ্যমে যৌথভাবে কাজ করেছেন শহর থেকে প্রত্যন্ত এলাকায়। বিশেষকরে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে সর্বহারার নামে বিভিন্ন সন্ত্রাসীবাহিনীর দাপট দমনে তাঁর ভূমিকা র্যাব সদস্যদের কাছেও প্রশংসা পেয়েছিল।
শেখ আবুল কালাম আজাদ ১৯৬৭ সালের ৩০ এপ্রিল কুষ্টিয়া জেলার কুমারখালী উপজেলার মহেন্দ্রপুর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারের সন্তান আজাদের পরিবার ও নিকটাত্মীয়দের মধ্যে অন্তত শতাধিক মুক্তিযোদ্ধা রয়েছেন। যাঁদের অবদান শুধু কুমারখালী থানাতেই নয়, পুরো কুষ্টিয়া জেলাতেও সর্বজনবিদিত।
বাংলাদেশ নৌবাহিনীর কর্মকর্তা হিসেবে রিয়ার অ্যাডমিরাল শেখ আবুল কালাম আজাদ দেশে এবং বিদেশে কৃতিত্বের স্বাক্ষর রেখেছেন। তিনি যুক্তরাষ্ট্রের ব্রিটানিয়া রয়্যাল নেভাল কলেজ থেকে আন্তর্জাতিক সাব লেফটেনেন্ট কোর্স করেন।
এমনকি লন্ডনের রয়্যাল নেভাল কলেজ থেকে প্রাইমারি স্টাফ কোর্স, তুরস্ক থেকে তার্কি ভাষার স্পেশাল কোর্স এবং গানারি স্পেশালাইজেশন কোর্স, ভারত থেকে ইন্টারন্যাশনাল হিউমেনিটেরিয়ান ল, আমেরিকা থেকে এক্সিকিউটিভ ডিসিশন ম্যাকিং কোর্স ছাড়াও প্রসিদ্ধ অন্যান্য প্রতিষ্ঠান থেকে উল্লেখযোগ্য কোর্স সম্পন্ন করে সার্টিফিকেট লাভ করেন। ন্যাশনাল ডিফেন্স কলেজ থেকে এনডিসি কোর্স সম্পন্ন করা আবুল কালাম আজাদ চেয়ারম্যান হিসেবে যোগদান করে মোংলা বন্দরের প্রতি ইঞ্চি মাটি ব্যবহারযোগী করার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।
পাবনা ক্যাডেট কলেজ থেকে পাশ করে ১৯৮৫ সালের জানুয়ারি মাসে নৌবাহিনীতে যোগ দিয়ে এক্সিকিউটিভ শাখায় কমিশন লাভ করেছিলেন একে আজাদ।
রাজনীতিক পরিবারে বেড়ে ওঠা আজাদের বাবা শেখ ওসমান গনি এলাকার বিশিষ্ট সমাজকর্মী। আজাদ এবং তার অন্য ভাইদের কৃতিত্বপূর্ণ কর্মকাণ্ডের কারণে তার মাতা খোদেজা বেগম এলাকায় রত্নগর্ভা হিসেবে পরিচিত। তার মামা আব্দুল মান্নান খান বহুদিন ধরে কুমারখালি উপজেলার চেয়ারম্যান ও জনদরদী হিসেবে সুপরিচিত।তিনি আওয়ামী লীগেরও সভাপতি। এমনকি তার মামাত ও খালাত ভাইয়েরাও বহুদিন ধরে ইউনিয়ন পরিষদে প্রতিনিধিত্ব করছেন। গণমানুষের কাছে পরিবারটি গ্রহণযোগ্যতা আকাশচুম্বি।
এনএস/