ঢাকা, শনিবার   ২৩ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ৮ ১৪৩১

খালেদা জিয়ার মুক্তি যে কোনো সময়

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ০৬:১৬ পিএম, ২৪ মার্চ ২০২০ মঙ্গলবার | আপডেট: ০৭:৫২ পিএম, ২৪ মার্চ ২০২০ মঙ্গলবার

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল

যে কোনও সময় মুক্তি পেয়ে বাসায় ফিরতে পারেন কারাবন্দি বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া। মঙ্গলবার (২৪ মার্চ) বিকেলে গণমাধ্যমকে এমনটাই জানালেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল।

তিনি বলেন, এ সংক্রান্ত ফাইল স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে এসে পৌঁছালেই তার মুক্তির বিষয়ে ব্যবস্থা নেয়া হবে। এর আগে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সুপারিশটি গ্রহণ করলেই খালেদা জিয়া যে কোনও সময় মুক্তি পাবেন বলেই জানিয়েছিলেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক। 

এ বিষয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, খালেদা জিয়ার মুক্তির ব্যাপারে প্রধানমন্ত্রীর অনুমতি নিতে কিছু প্রক্রিয়া আছে। প্রধানমন্ত্রী মৌখিকভাবে অনুমতি দিলেও এখনও ফাইল (আনুষ্ঠানিক) অনুমোদন দেননি। সেটা আসা পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে। তারপরই খালেদা জিয়াকে মুক্তি দেয়া হবে।

এর আগে এদিন বিকেল ৪টায় গুলশানস্থ নিজ বাসভবনে এক জরুরি সংবাদ সম্মেলন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক জানান, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশেই কারাবন্দি বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।

তিনি বলেন, মানবিক দিক বিবেচনায় খালেদা জিয়াকে শর্তসাপেক্ষে মুক্তি দেয়ার নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এ ব্যাপারে ইতোমধ্যে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সুপারিশ করা হয়েছে।

আইনমন্ত্রী বলেন, আইনি প্রক্রিয়ায় দুই শর্তে বেগম জিয়ার দণ্ডাদেশ স্থগিত রেখে তাকে মুক্তি দেয়া হবে। ফৌজদারি দণ্ডবিধি ধারা-১০১ এবং উপধারা-০১ মোতাবেক আগামী ৬ মাসের জন্য বেগম খালেদা জিয়ার সাজা স্থগিত করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।

তবে এই সময়ের মধ্যে তিনি বিদেশে যেতে পারবেন না উল্লেখ করে আনিসুল হক বলেন, দেশে থেকেই সব ধরনের চিকিৎসা সেবা গ্রহণ করতে হবে। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সুপারিশ গ্রহণ করলেই যে কোনও সময় তিনি মুক্তি পাবেন।

মন্ত্রী বলেন, আগামী ৬ মাস খালেদা জিয়ার সব দণ্ডাদেশ স্থগিত থাকবে। পরবর্তীতে এই মেয়াদ বাড়বে কিনা তা পরিস্থিতির ওপর নির্ভর করে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে। আপাতত তিনি দেশের বাইরে যেতে পারবে না এবং বাসায় থেকে চিকিৎসা নিতে পারবেন।

উল্লেখ্য, গত দুই বছরের বেশি সময় ধরে কারাবন্দি খালেদা জিয়া। তার মধ্যে গত ১১ মাস ধরে তিনি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। 

২০০৮ সালে বিএনপি চেয়ারপার্সনের বিরুদ্ধে জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্টের অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ মামলা দায়ের হয়। দশ বছর পর ২০১৮ সালের ফেব্রুয়ারীতে মামলার রায়ে তার পাঁচ বছরের কারাদণ্ড হয়। তবে পরে হাইকোর্ট সেই সাজা বাড়িয়ে দশ বছরের কারাদণ্ডের আদেশ দেন।

এনএস/