1. প্রচ্ছদ
2. করোনা সংকট

প্রতীকী ছবি

মহামারী রূপ নেয়া করোনা ভাইরাস বর্তমানে ছড়িয়ে পড়েছে বিশ্বের ১৯৫টি দেশে। প্রাণঘাতী ভাইরাসটিতে এখন পর্যন্ত আক্রান্ত হয়েছে প্রায় ৪ লক্ষ মানুষ। কেড়ে নিয়েছে ১৭ হাজার ১৪৬ জনের প্রাণ।

এদিকে, ভাইরাসটি মহামারিতে রূপ নেয়ার অন্যতম কারণ হচ্ছে- এখনও পর্যন্ত এর এর প্রতিষেধক আবিষ্কার না হওয়া। যারা আক্রান্ত হয়েছেন তাদের বিভিন্ন ওষুধ দিয়ে বাঁচানোর চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন চিকিৎসকরা। কখনও বা এইচআইভি, কখনও ইবোলা কিংবা ম্যালেরিয়ার ওষুধ ব্যবহার করছেন তারা। 

বিশ্বের বিভিন্ন স্থানে রোগীদের ওপর পরীক্ষা-নিরীক্ষা চালানো এমন চারটি ওষুধ নিয়ে কাজ করছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)।

সম্প্রতি তথ্যটি নিশ্চিত করে ডব্লিউএইচও জানায়, এর মধ্যে দুটি ওষুধ হলো- ককটেল। যার প্রথমটি ইবোলা ও এইচআইভির প্রতিষেধকের সংমিশ্রমণ। এতে আছে ইবোলার ওষুধ রেমডেসিভির ও এইচআইভির ওষুধ লোপিনাভি। 

আর দ্বিতিয়টি- এইচআইভির ওষুধ লোপিনাভির ও রিটোনাভির প্লাস ইন্টারফেরন বিটা-এর ককটেল। তৃতীয়টি- অ্যান্টিম্যালেরিয়া ড্রাগ ক্লোরোকুইন। চতুর্থটি- ইবোলার ওষুধ রেমডেসিভির।

সংস্থাটি আরও জানায়, এসব ওষুধ আক্রান্তদের ওপর ব্যবহারের আগে ক্লিনিকাল ট্রায়ালের প্রয়োজন আছে। কারণ, এর আগে ইবোলা রোগের ওষুধ ব্যবহারে লিভারের বিষাক্ত প্রতিক্রিয়া লক্ষ্য করা গেছে।

এদিকে, প্রাণঘাতী করোনা ভাইরাসের সংক্রমণে মৃত্যুর মিছিলে প্রতিদিন যোগ দিচ্ছেন শত শত মানুষ। এখন পর্যন্ত বিশ্বজুড়ে এ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে ৩ লাখ ৯২ হাজার ৩৩৬ জন। যার মধ্যে মৃত্যু হয়েছে ১৭ হাজার ১৪৬ জনের। 

এনএস/