করোনা আক্রান্ত সন্দেহে যুবককে হাসপাতালে ভর্তি
বাউফল (পটুয়াখালী) সংবাদদাতা
প্রকাশিত : ০৩:৩৩ পিএম, ২৫ মার্চ ২০২০ বুধবার
পটুয়াখালীর বাউফলে করোনা আক্রান্ত সন্দেহে মহিউদ্দন নোমান (২৫) নামে এক যুবককে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ (শেবাচিম) হাসপতালে নেয়া হয়েছে।
মঙ্গলবার (২৪ মার্চ) রাতে উপজেলার ল্যাংড়ামুন্সিরপুল এলাকার ওই যুবকের শশুড়বাড়ি থেকে তাকে উদ্ধার করে উপজেলা প্রশাসন। তিনি নাজিরপুর ইউনিয়নের নিমদী গ্রামের হেমায়েত উদ্দিনের ছেলে।
স্থানীয়রা জানান, ৫-৬ দিন আগে ঢাকা থেকে শরীরে জ্বর নিয়ে এলাকায় এসে নিজ বাড়িতে অবস্থান করছিলেন তিনি। পরে গলাব্যথা ও শ্বাসকষ্ট নিয়ে সোমবার বিকেলে তিনি শ্বশুরবাড়িতে।
মঙ্গলবার সকালে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এসে পরামর্শ নেন এক ডাক্তারের। চিকিৎসক ব্যবস্থাপত্র দিয়ে বাইরে ঘুরাঘুরি না করে ঘরে থাকতে বলেন। বিকেলে কাশির সঙ্গে বমি হলে ফের তিনি স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ডাক্তারের শরণাপন্ন হলে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে (শেবাচিম) করোনা ভাইরাস পরীক্ষার পরামর্শ দেন ওই চিকিৎসক।
কিন্তু তিনি শ্বশুরবাড়িতেই অবস্থান করছিলেন। বিষয়টি জানাজানি হলে স্থানীয় মানুষের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন বলেন, ‘করোনা পজিটিভ হলে, দুই এলাকার মানুষের মধ্যে ভাইরাস ছড়িয়ে পড়তে পারে। হুমকিতে পড়বে নিজ বাড়িসহ শশুড় বাড়ি এলাকার লোকজন।’
বরিশাল চেবাচিম হাসপাতাল থেকে মুঠোফোনে ওই যুবকের সঙ্গে থাকা তার শশুড় (উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স মসজিদের ইমাম) মাও. মো. মহিউদ্দিন বলেন, ‘মানুষ আতঙ্ক ছড়াচ্ছে। বাড়ি আসার পরে বাহিরে ঘুরাঘুরি না করে বাসাতেই ছিল সে। ২২ মার্চ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ডাক্তার দেখিয়ে ওষুধ দেওয়ার পরে তার জ্বর-কাশি কমতে ছিল। হঠাৎ বমি করায় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়া হয় তাকে।
তিনি জানান, ‘বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালে এনে ভর্তি করলে জরুরি বিভাগের চিকিৎসক দেখে আগের ওষুধই চালিয়ে যেতে বলেন। এখন তার (মহিউদ্দিন নোমান) অবস্থা অনেকটা ভাল। জর কিংবা শ্বাসকষ্ট নেই। করোনার লক্ষ্মণ মনে হচ্ছে না।’
এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জাকির হোসেন সাংবাদিকদের বলেন, ‘বিষয়টি জানার পরে ওই যুবককে তার শ্বশুরবাড়ি থেকে উদ্ধার করে রাতেই অ্যাম্বুলেন্সে বরিশালে পাঠানো হয়েছে। তার নিজ বাড়ি ও তার শশুরবাড়ি উভয় স্থানে লাল পতাকা টানানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। হোম কোয়ারেন্টিনে থাকার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে স্বজনদের।’
এ ছাড়া উপজেলার হোম কোয়ারেনটাইনে থাকা ৩৯ জনের বাড়িতেও লাল পতাকা টানানো হবে। দোকানপাট বন্ধে ও বিশেষ সতর্কীকরণে এখনই অভিযান চলছে বলেও জাান তিনি।
এআই/