ফিরোজা’য় খালেদা জিয়া
একুশে টেলিভিশন
প্রকাশিত : ০৬:০১ পিএম, ২৫ মার্চ ২০২০ বুধবার | আপডেট: ০৬:২২ পিএম, ২৫ মার্চ ২০২০ বুধবার
রাজধানীর গুলশানে নিজ বাসভবনে ফিরেছেন বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া। ২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি তিনি এ বাসা থেকে বের হয়ে আদালতে যান। আদালত দুর্নীতি মামলায় তাকে কারাদণ্ড দিলে আর বাসায় ফেরা হয়নি। আদালত থেকে সরাসরি পুরান ঢাকার নাজিমউদ্দিন রোডের পুরোনো কেন্দ্রীয় কারাগার এবং সবশেষ কারান্তরীণ অবস্থায় গত এপ্রিল থেকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) চিকিৎসা নিচ্ছিলেন।
বিশেষ বিবেচনায় শর্তসাপেক্ষে আজ বুধবার সাড়ে ২৫ মাস পর ৬ মাসের জন্য এক নির্বাহী আদেশের মাধ্যমে তাকে মুক্তি দেওয়া হয়। বুধবার বিকেল সোয়া ৫টার দিকে তাকে বহনকারী গাড়ি গুলশানের ৭৯ নম্বর রোডের ১১ নম্বর বাসভবন ‘ফিরোজা’য় পৌঁছায়। এসময় খালেদার বাসভবনের সামনে জড়ো হওয়া নেতাকর্মীরা স্লোগান দিতে থাকেন।
গতকাল মঙ্গলবার (২৪ মার্চ) সরকারের পক্ষ থেকে খালেদার মুক্তির সিদ্ধান্ত জানানো হলে তার বাসভবন ‘ফিরোজা’ পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করা হয়।
মঙ্গলবার বিকেলে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক জরুরি সংবাদ সম্মেলন ডেকে জানান, বর্তমান পরিস্থিতিতে (করোনাভাইরাসের কারণে সৃষ্ট) সরকার তার বয়স বিবেচনায় মানবিক কারণে খালেদা জিয়াকে মুক্তি দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তার সাজা ছয় মাসের জন্য স্থগিত থাকবে। তিনি বাসায় থেকে চিকিৎসা নেবেন এবং বিদেশ যেতে পারবেন না, এমন শর্তে এই সাজা স্থগিত থাকবে।
উল্লেখ্য, জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় ২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি খালেদা জিয়াকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দেন ঢাকার ৫ নম্বর বিশেষ আদালতের বিচারক ড. মো. আখতারুজ্জামান। এরপর ৩০ অক্টোবর এই মামলায় আপিলে তার আরও পাঁচ বছরের সাজা বাড়িয়ে ১০ বছর করেন হাইকোর্ট। একই বছরের ২৯ অক্টোবর জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতির মামলায় খালেদা জিয়াকে ৭ বছরের সশ্রম কারাদণ্ডের আদেশ দেন একই আদালত। রায়ে ৭ বছরের কারাদণ্ড ছাড়াও খালেদা জিয়াকে ১০ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়। জরিমানা অনাদায়ে আরও ৬ মাসের কারাদণ্ডের আদেশ দেন।
এমএস/এসি