মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উদযাপিত
একুশে টেলিভিশন
প্রকাশিত : ১২:২৫ পিএম, ২৭ মার্চ ২০২০ শুক্রবার | আপডেট: ১২:৩৪ পিএম, ২৭ মার্চ ২০২০ শুক্রবার
বিশ্বব্যাপী মহামারি আকারে ছড়িয়ে পড়া করোনা ভাইরাস পরিস্থিতির মধ্যদিয়ে যথাযোগ্য মর্যাদায় গতকাল বৃহস্পতিবার রাজধানীসহ সারাদেশে মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উদযাপিত হয়েছে।
পাকিস্তানের শোষণ-বঞ্চনার অবসান ঘটিয়ে বিশ্ব মানচিত্রে জায়গা করে নেওয়ার ৪৯তম বার্ষিকীতে স্বাধীনতা দিবস ভিন্ন আঙ্গিকে পালোনের কথা থাকলেও করোনা ভাইরাস পরিস্থিতির কারণে সব কর্মসুচি বাতিল করা হয়। যদিও জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী তথা মুজিববর্ষে এবার স্বাধীনতা দিবসের উদযাপন আরো আড়ম্বরভাবে পালন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল সরকার।
কিন্তু গত ৮ মার্চ দেশে প্রথম করোনা ভাইরাস সংক্রমণ শনাক্তের পর দ্রুত পালটায় পরিস্থিতি, বদলাতে হয় পরিকল্পনা। উৎসব আয়োজনের পরিবর্তে শুরু হয় অন্যরকম যুদ্ধ প্রস্তুতি।
ভয়াবহ সংক্রামক ব্যাধি কোভিড-১৯ এর বিস্তার রোধে একে একে আসা নানা ঘোষণার মধ্যে স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠানের আকার সীমিত করার ঘোষণাও আসে৷
২৬ মার্চ মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষে রাষ্টপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পৃথক বাণী দিয়েছেন। এছাড়া এ দিবস উপলক্ষে মুক্তিযোদ্ধা ও মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সদস্যদের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক।
এদিন প্রথম প্রহরে ৩১ বার তোপধ্বনির মাধ্যমে দিবসটির সূচনা হয়। সকালে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে ন্যূনতম সংখ্যক উপস্থিতিতে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়।
২৬ মার্চ উপলক্ষে গুরুত্বপূর্ণ ভবন ও স্থাপনাসমূহ আলোকসজ্জায় সজ্জিত করা হয়। ঢাকা ও দেশের বিভিন্ন শহরের প্রধান সড়ক ও সড়ক দ্বীপসমূহ জাতীয় পতাকা ও অন্যান্য পতাকায় সজ্জিত করা হয়।
দিবসের তাৎপর্য তুলে ধরে এই দিন সংবাদপত্রসমূহ বিশেষ ক্রোড়পত্র প্রকাশ করে। এ উপলক্ষে ইলেকট্রনিক মিডিয়াসমূহ মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক বিভিন্ন অনুষ্ঠানমালা প্রচার করে।
ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানসমূহে দেশের শান্তি, সমৃদ্ধি ও অগ্রগতি কামনা করে ন্যূনতম উপস্থিতিতে বিশেষ দোয়া ও উপাসনার আয়োজন করা হয়। এছাড়া দেশের সব হাসপাতাল, জেলখানা, শিশু পরিবার, বৃদ্ধাশ্রমে উন্নতমানের খাবার ও মিষ্টি পরিবেশন করা হয়।
প্রসঙ্গত, এর আগে গত ১৭ মার্চ মুজিব বর্ষের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানও সীমিত আকারে পালন করা হয়। গত ২১ মার্চ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদের সঙ্গে বৈঠক করে জনস্বাস্থ্যের নিরাপত্তায় স্বাধীনতা দিবসে জাতীয় স্মৃতিসৌধে শ্রদ্ধা নিবেদন এবং বঙ্গভবনে সংবর্ধনা অনুষ্ঠান বাতিল ঘোষণা করেন। স্বাধীনতা পদক বিতরণ অনুষ্ঠানও বাতিল করা হয়৷
একে//