ঢাকা, শনিবার   ২৩ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ৮ ১৪৩১

করোনায় বিকেএমইএর সব কারখানা বন্ধ ঘোষণা

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ০৫:৫৯ পিএম, ২৭ মার্চ ২০২০ শুক্রবার

করোনার ভয়াবহতা রোধে তৈরি পোশাক উদ্যোক্ত সংগঠন বিজিএমই এর পর এবার সাধারণ ছুটি ঘোষণা করেছে রপ্তানিমুখী নিট পোশাক প্রস্তুতকারীদের সংগঠন বিকেএমইএ।

আজ শুক্রবার দুপুরে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে সংগঠনের সভাপতি এ কে এম সেলিম ওসমান বিকেএমইএর সদস্যভুক্ত সব খারখানায় সাধারণ ছুটি ঘোষণার কথা জানান।

পাশাপাশি ছুটিতে শ্রমিকরা যেন চলমান অবস্থা উপেক্ষা করে গ্রামের বাড়িতে না যান সে বিষয়েও নির্দেশনা দেওয়া হয়। 

দেশে বিকেএমইএর অধীনে দুই হাজার ২৮৩টি কারখানা রয়েছে। এসব কারখানায় অন্তত ২৫ লাখ শ্রমিক কাজ করে থাকেন। সরকারি সিদ্ধান্ত অনুসরণ করে আগামী ৪ এপ্রিল পর্যন্ত ছুটি দিতে বলেছে বিকেএমইএ।

কারখানার মালিকদের উদ্দেশে সেলিম ওসমান বলেন, ‘করোনাভাইরাসের সংক্রমণ থেকে দেশ ও দেশের মানুষকে বাঁচাতে নিট পোশাক কারখানা আপাতত ৪ এপ্রিল পর্যন্ত বন্ধ রাখুন। বিশ্বব্যাপী করোনাভাইরাস সংক্রমণে যে ক্ষতিকর প্রভাব বাংলাদেশে পড়েছে, তা থেকে দেশ ও দেশের মানুষকে বাঁচানোই এ মুহূর্তে আমাদের সবার লক্ষ্য। মানুষ বাঁচলে শিল্প বাঁচবে এবং শিল্প বাঁচলে দেশ সমৃদ্ধ হবে।’

এর আগে আরেক চিঠিতে ২৬ মার্চ স্বাধীনতা দিবস ও পরের দিন শুক্রবার কারখানা বন্ধ রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল বিকেএমইএর পক্ষ থেকে। তখন বলা হয়েছিল, প্রধানমন্ত্রীর জাতির উদ্দেশ্যে ভাষণের দৃষ্টিভঙ্গি অনুসরণ করে পরবর্তীতে কারখানা বন্ধের বিষয়ে আরও বিশদ সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।

এর আগে গতকাল রাতে এক ভিডিওবার্তায় বিজিএমইএর সভাপতি ড. রুবানা হক স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে সবাইকে সুনির্দিষ্ট দিক নির্দেশনা দিয়েছেন বলে জানান। 

তিনি সবার সুরক্ষা এবং সুস্বাস্থ্যের জন্য কিছু সচেতনতামূলক পদক্ষেপ নিতে বলেছেন। তাকে অনুসরণ করে সর্ববৃহৎ শিল্প হিসেবে দৃষ্টান্ত স্থাপন করা উচিত। এ অবস্থায় মালিকরা কারখানা বন্ধ রাখবেন বলে আশা করেন রুবানা। 

তবে যেসব কারখানায় পিপিই এবং মাস্ক তৈরি হচ্ছে, সেসব কারখানা খোলা রাখা হবে। এসব কারখানা যাতে শ্রমিকদের পর্যাপ্ত নিরাপত্তার ব্যবস্থা নেয়, সে ব্যাপারে মালিকদের পরামর্শ দেন রুবানা হক।

এআই/এসি