ঢাকা, শুক্রবার   ২২ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ৮ ১৪৩১

করোনায় মৃত্যু ২৫ হাজার ছাড়াল

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১১:৩৮ পিএম, ২৭ মার্চ ২০২০ শুক্রবার | আপডেট: ১১:৪৮ পিএম, ২৭ মার্চ ২০২০ শুক্রবার

মহামারি করোনাভাইরাস দুইশতাধিক দেশে ছড়িয়ে পড়েছে। প্রতিদিন হাজারো মানুষ মারা যাচ্ছেন কিংবা আক্রান্ত হচ্ছেন। বৈশ্বিক এই মহামারি সামলাতে হিমশিম খাচ্ছে উন্নত, উন্নয়নশীল ও অনুন্নত দেশসমূহ। শুক্রবার রাত ১০টা পর্যন্ত প্রাণঘাতি এ ভাইরাসে প্রাণ হারিয়েছেন প্রায় সাড়ে ২৫ হাজার। একই সঙ্গে আক্রান্ত হয়েছেন সাড়ে ৫ লাখ।  বিশ্বখ্যাত পরিসংখ্যান বিষয়ক ওয়েবসাইট ওয়ার্ল্ডওমিটার এসব তথ্য জানিয়েছে।

পরিসংখ্যানে দেখা যায়, মহামারীতে মৃত্যুর সংখ্যা ২৫ হাজার ৪২২ এবং আক্রান্ত হয়েছেন ৫ লাখ ৫৬ হাজার ৬৪ জন মানুষ। আর সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ১ লাখ ২৯ হাজার ৩৫৩ জন ব্যক্তি।

চীনে প্রাদুর্ভাব শুরু হলেও ভাইরাসটিতে সবচেয়ে বেশি মানুষ আক্রান্ত হয়েছে যুক্তরাষ্ট্রে। সংখ্যাটা ৮৫ হাজার ৯০৬। সেখানে মৃত্যু হয়েছে ১ হাজার ৩০৭ জনের। এদিকে সর্বোচ্চ ৮ হাজার ২১৫ মৃত্যু নিয়ে সবার উপরের স্থানটি ইতালির। সেখানেও আক্রান্তের সংখ্যা ৮০ হাজার ছাড়িয়ে গেছে। 
ইতালির মতো অবস্থা দাঁড়িয়েছে স্পেনের। দেশটিতে গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ৭৬৯ জন মৃত্যুর মিছিলে যুক্ত হয়েছেন। দেশটিতে করোনায় মোট প্রাণহানির সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪ হাজার ৮৫৮ জনে। বৃহস্পতিবার স্পেনে লকডাউনের মেয়াদ বাড়ানোর ঘোষণা দেয়া হয়েছে। লকডাউন চলছে ইতালিতেও। তবুও লাশের লাইন ছোট হচ্ছে না। ফ্রান্সেও চলছে লকডাউন। গত একদিনে সেখানে ৩৬৫ জনের মৃত্যুর পর সংখ্যাটা এখন ১ হাজার ৬৯৬।

ইউরোপের আরেক কেন্দ্র যুক্তরাজ্যও লকডাউন। সেখানেও গত ২৪ ঘণ্টায় ১৮১ নিয়ে মোট মৃত্যু হয়েছেন ৭৫৯ জনের।

ব্যাপকভাবে বিস্তার ছড়ানো দেশগুলোর তালিকায় রয়েছে জার্মানির নামও। দেশটিতে করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা ৫০ হাজার ছুঁই ছুঁই। তবে আক্রান্ত অর্ধলক্ষ হলেও দেশটিতে মৃত্যু হয়েছে ৩০৪ জনের—যা ইউরোপের অন্যান্য দেশের তুলনায় অনেক কম।

এদিকে ইরানে গত ২৪ ঘণ্টায় ১৪৪ জনের প্রাণহানি হয়েছে। নতুন করে আক্রান্ত প্রায় তিন হাজার। দেশটিতে করোনায় মৃত্যুর তালিকায় নাম উঠেছে ২ হাজার ৩৭৮ জনের। 

এছাড়া ইউরোপের অন্যান্য দেশগুলোতেও শত শত মানুষের মৃত্যু হয়েছে। যেমন নেদারল্যান্ডসে ৫৪৬, বেলজিয়ামে ২৮৯, সুইজারল্যান্ডে ২০৭, সুইডেনে ৯২, পর্তুগালে ৭৬, অস্ট্রিয়ায় ৫৮, ডেনমার্কে ৫২ এবং আয়ারল্যান্ডে ১৯, রোমানিয়ায় ২৪ এবং গ্রিসে ২৭ জনের প্রাণ কেড়ে নিয়েছে করোনা।

অস্ট্রেলিয়ায় ১৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। কানাডায় মৃত্যু হয়েছে ৩৯ জনের এবং ব্রাজিলে সেই সংখ্যাটা ৭৭। দক্ষিণ কোরিয়ায় প্রকোপ শুরু হলেও দেশটি তা নিয়ন্ত্রণ করেছে ভালোভাবেই। তবে সেখানেও ১৩৯ জন করোনায় প্রাণ হারিয়েছেন। এছাড়া ইন্দোনেশিয়ায় ৮৭ এবং জাপানে ৪৭ জন করোনায় মারা গেছেন।

 ভারতে করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা ৮০০ ছাড়ানোর পাশপাশি, মৃত্যুর সংখ্যা গিয়ে ঠেকেছে ২০ জনে। দেশটি এখন ২১ দিনের লকডাউনে আছে। এছাড়া পাকিস্তানে আক্রান্তের প্রায় ১৩শ। আক্রান্তদের মধ্যে ৯ জন মারা গেছেন। ফিলিপাইনে করোনায় প্রাণ হারিয়েছেন ৫৪ জন; আক্রান্ত ৮ শতাধিক।

বাংলাদেশে এ পর্যন্ত করোনা ভাইরাসে সংক্রমিত সংখ্যা ৪৮ জনে, যার মধ্যে মারা গেছেন ৫ জন। 

গেল বছরের ডিসেম্বর চীনের হুবেই প্রদেশে উহান শহরে ভাইরাসটির প্রাদুর্ভাব শুরু হয়েছিল। তবে সেখানে বিধি-নিষেধ প্রত্যাহার হচ্ছে ধীরে ধীরে। চীনে নতুন করে স্থানীয়ভাবে করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা টানা কয়েকদিন না থাকলেও আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ায় দ্বিতীয় দফা বিষ্ফোরণের শঙ্কা তৈরি হয়েছে।

এমএস/এসি