ঢাকা, শনিবার   ২৩ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ৮ ১৪৩১

ফেনীতে সেনাবাহিনীর ডাকে ইতিবাচক সাড়া 

ফেনী প্রতিনিধি

প্রকাশিত : ১১:১৯ পিএম, ২৮ মার্চ ২০২০ শনিবার

করোনাভাইরাস (কোভিট-১৯) বিস্তাররোধে ফেনীতে জেলা প্রশাসনের সহায়তায় মাঠে কাজ করছে সেনাবাহিনী। বৃহস্পতিবার থেকে শুরু করে শনিবার (২৮ মার্চ)  শহরের বিভিন্নস্থানে টহল দিতে দেখা গেছে সেনাসদস্যদের। টহলের পাশাপাশি সেনা সদস্যরা মাইকিং করে বিদেশ ফেরতদের হোম কোয়ারেন্টিনে থাকতে এবং সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে জনসাধারণকে রাস্তায় বের না হয়ে ঘরে অবস্থান করতে আহবান জানায়। 

সেনাবাহিনীর এসব আহবানে ইতিবাচক সাড়া মিলেছে ফেনীতে। খুব বেশী প্রয়োজন ছাড়া মানুষ রাস্তায় বের হচ্ছেন না। যার ফলে বদলে গেছে ফেনীর চিরচেনা চিত্র। শহরের ব্যস্ততম ট্রাংক রোড়টি প্রায় ফাঁকা, নেই তেমন পরিবহন ও লোক সমাগম। শহরের সদর হাসপাতাল মোড়, জেল রোড়, মিজান রোড়ের মাথা, মহিফালসহ অন্য ব্যস্ততম এলাকাগুলোর চিত্রও প্রায় একই রকম।

শহরের বড় বড় বিপনী বিতানগুলো বন্ধ রয়েছে। বড় বাজার, পৌর হকার্স মার্কেট, মুক্তবাজারসহ বিভিন্ন বাজারেও আগের চাইতে লোক সমাগম কমেছে অনেকাংশে। অতিপ্রয়োজনীয় খাবার ও ঔষধ দোকান ছাড়া তেমন দোকান পাঠ খোলা নেই।

শহরের কয়েকজন সচেতন নাগরিকের সাথে কথা বলে জানা যায়,করোনা বিস্তাররোধে  সাধারণ ছুটি ঘোষণা করেছে সরকার। একই সাথে গণপরিবহন লকডাউন করা হয়েছে। সরকারের পক্ষ হতে নাগরিকদের ঘরে থাকার অনুরোধ জানানো হয়েছে। সামাজিক দুরত্ব বজায় চলতে কঠোর নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। ফেনী শহরের জনগন তা অক্ষরে অক্ষরে পালন করছে।

বৃহস্পতিবার (২৬মার্চ) সেনাবাহিনীর টহল শুরু হওয়ার পর থেকে রাস্তাঘাট ফাঁকা ও বাজারে নেই অহেতুক জনসমাগম। শহরের প্রধান প্রধান সড়কে ব্যবসায়ী ও পথচারীদের আগামবার্তা প্রদানে সেনাসদস্যদের মাইকিংয়ে সাড়া দিয়ে দোকান-পাট বন্ধ করে দিয়েছে ব্যবসায়ীরা। 

এ প্রসঙ্গে ফেনীতে কর্তব্যরত লে. কর্নেল আসিফ আজমিন জানান, বর্তমান পরিস্থিতিতে আমরা সবাই যেন যেকোনো ভেদাভেদ ভুলে একসাথে কাজ করি, এটিই সবার কাছে কাম্য। তিনি বলেন, সেনাবাহিনী সকল পরিস্থিতিতে জনগনের পাশে আছে এবং থাকবে। বতর্মান করোনা পরিস্থিতিতে সামাজিক দুরত্ব পালনে সরকারে যে নিদের্শনা সেনাবাহিনী কঠোরভাবে তা নিশ্চিত করবে।
সেনাবাহিনীর টহল জনসমাবেশ এবং জনসমাগম কঠোরভাবে নিরুৎসাহিত করছে। সবাইকে নিতান্ত প্রয়োজন ব্যতীত বাসায় থাকার জন্য সেনাবাহিনী অনুরোধ জানাচ্ছে। বাজার ও জরুরী সেবামূলক এলাকায় সামাজিক দুরত্ব নিশ্চিত করতে বলা হচ্ছে।

জেলা প্রশাসনের সহায়তায় সেনাবাহিনী ও পুলিশের কার্যক্রমে ফেনীতে বজায় রয়েছে সামাজিক দূরত্ব। এ প্রসঙ্গে ফেনী জেলা প্রশাসক মো: ওয়াহিদুজজামান বলেন, করোনা পরিস্থিতিতে সরকার ঘোষিত সকল কমসূচী পালন করতে চেষ্টা করে যাচ্ছি আমরা। অনেক উদ্যোগ গ্রহন করেছি। মানুষ যেন অতি প্রয়োজন ছাড়া ঘর থেকে বের হতে না পারে সেটি নিশ্চিত করতে রাস্তায় পুলিশি টহল থাকবে। অতি প্রয়োজন ছাড়া কাউকে রাস্তায় পাওয়া গেলে জেল-জরিমানা করা হবে। সেনাবাহিনীর সঙ্গে মাঠে আছে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট।

জেলা প্রশাসক আরো বলেন, যেসব খেটে খাওয়া নিম্ন আয়ের মানুষ রয়েছে তাদের জন্য জেলা প্রশাসনের বরাদ্ধ রয়েছে। তিনি বলেন করোনা পরিস্থিতিতে বরাদ্ধ এসেছে ১’শ টন চাল ও সাত লাখ টাকা। আগের রয়েছে আরো ৬৪৮ টন চাল ও ১৪ লাখ টাকা। জেলা প্রশাসক আরো বলেন সরকার থেকে বলা আছে আমরা চাইলে নিম্ন আয়ের মানুষের জন্য আরো সহায়তা আসবে।

আরকে//