ঢাকা, শুক্রবার   ২২ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ৮ ১৪৩১

কোয়ারেন্টাইনের জন্য প্রস্তুত রাজেন্দ্রপুর ইকো রিসোর্ট

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ০৫:০০ পিএম, ২৯ মার্চ ২০২০ রবিবার

রাজেন্দ্রপুর ইকো রিসোর্ট

রাজেন্দ্রপুর ইকো রিসোর্ট

বিশ্বব্যাপী মহামারীতে রূপ নেয়া করোনা ভাইরাসের তাণ্ডবে বিপর্যস্ত মানব সভ্যতা। প্রতিদিনই ঝরছে হাজার হাজার প্রাণ। বাংলাদেশেও হানা দিয়েছে ভাইরাসটি। যে কারণে হোম কোয়ারেন্টাইনে বন্দি মানুষ। এ অবস্থায় রাজেন্দ্রপুর ইকো রিসোর্টটি হোম কোয়ারেন্টাইনের জন্য দিতে প্রস্তুত এর চেয়ারম্যান ও ভোলার সাবেক এমপি হাফিজ ইব্রাহিম। 

প্রধানমন্ত্রী, স্বাস্থমন্ত্রীসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করে তিনি বলেন, “গাজীপুরে আমাদের রাজেন্দ্র ইকো রিসোর্ট লি: নামে একটি রিসোর্ট আছে, সেখানে ১০০টির বেশি সুসজ্জিত রুম আছে। সরকার যদি ইচ্ছা পোষণ করেন, বিনা মূল্যে আমরা কোয়ারেন্টাইন সেন্টারের জন্য রিসোর্টটি দিতে প্রস্তত।”

রাজেন্দ্রপুর রিসোর্ট এন্ড ভিলেজ নামের ইকো রিসোর্টটি তৈরি হয় ২০০৯ সালে। এটির অবস্থান গাজীপুর জেলার রাজেন্দ্রপুর ক্যান্টনমেন্ট থেকে ৮ কিলোমিটার দূরে শালবনের ভেতরে। প্রায় ৮০ বিঘা জমি নিয়ে যৌথ মালিকানায় গড়ে তোলা হয়েছে রাজেন্দ্র ইকো রিসোর্ট। বনের স্বাভাবিক সৌন্দর্য্যকে অক্ষুন্ন রাখতে এখানে পরিকল্পিতভাবে আরও বনায়ন করা হয়েছে। রাজেন্দ্র ইকো রিসোর্টে ৫৭টি কটেজের মধ্যে ১৪টি ইতোমধ্যে তৈরি হয়েছে, যাতে মোট ১০০টির অধিক সুসজ্জিত রুম আছে।

এছাড়াও রয়েছে বেশ কয়েকটি মাটির ঘর। এখানে আগত অতিথিরা চাইলে রিসোর্টের লেকে মাছ ধরা, নৌকা ও সাইকেল চালানো কিংবা শাক-সবজি ও ফার্ম ঘুরে দেখতে পারেন। 

রাজেন্দ্র ইকো রিসোর্টে আরো রয়েছে- একটি সুইমিং পুল ও ক্যাফেটেরিয়া। রয়েছে ২০০ লোকের ধারন ক্ষমতা সম্পন্ন মিলনায়তন। মানবসৃষ্ট কাঠামো ও প্রাকৃতিক পরিবেশের এক অপরুপ মেলবন্ধন রয়েছে রাজেন্দ্রপুর রিসোর্ট এন্ড ভিলেজ-এ।

এদিকে, ইতোমধ্যে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে সরকারের উচ্চ মহলের একটি টিম রেসোর্টটি ভিজিট করার জন্য আজ বিকেলে যাওয়ার কথা রয়েছে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন রিসোর্টের পরিচালক যসোদা জীবন দেবনাথ ও পরিচালক এজাজুল।

রাজেন্দ্র ইকো রিসোর্ট লিঃ-এর চেয়ারম্যান জনাব হাফিজ ইব্রাহিম বলেন, দেশের জনগণের প্রয়োজনের সকলকেই এগিয়ে আসা প্রয়োজন। আসুন আমরা সকলে মিলে একসাথে এই দুর্যোগ মুহূর্ত মোকাবেলা করি। আল্লাহর কাছে আমাদের ভুল ত্রুটির জন্য তওবা করি, আল্লাহ সর্বদাই ক্ষমাশীল।

এনএস/