ঢাকা, শনিবার   ২৩ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ৯ ১৪৩১

করোনায় ই-কমার্সে বাড়ছে কাজের সুযোগ

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ০৫:০৯ পিএম, ৩০ মার্চ ২০২০ সোমবার

ই-কমার্স শপ

ই-কমার্স শপ

করোনায় সারাদেশ যখন লকডাউন তখন সবাইকে সহযোগিতা করতে কাজ করে যাচ্ছে দেশের নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের অনলাইন শপ বা ই-কমার্স শপগুলো। এ সময়টাতেই বেড়েছে তাদের অর্ডার। যে কারণে বেড়েছে ডেলিভারি কর্মীর চাহিদাও। প্রতিষ্ঠানগুলো এখন খুঁজছে তাদের নতুন সহকর্মী, সহযোদ্ধা। তাই এবার মিলছে নতুন কাজের সুযোগ।

দেশে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য সামগ্রী নিয়ে কাজ করছে এমন ই-কমার্স শপগুলোর মধ্যে রয়েছে- চালডাল ডটকম, আজকের ডিল, দারাজ, বাগডুম প্রভৃতি। এ সাইটগুলো অন্যান্য পণ্যের পাশাপাশি নিত্যপণ্য কেনাকাটার সুযোগ তৈরি করে দিয়েছে।

বর্তমান করোনা সংকটে লোকজন যেমন ঘর থেকে বের হতে পারছেন না, তেমনি তাদের নিত্য পণ্যের চাহিদাও বাড়ছে। এ ক্ষেত্রে মানুষের এসব চাহিদা পূরণ করতে নিরলস কাজ করে যাচ্ছে এসব ই-কমার্স শপগুলো। যাতে বাড়ছে তাদের লোকবলও। 

এ বিষয়ে চালডাল ডটকমের (www.chaldal.com) হেড অব গ্রোথ ওমর শরিফ ইবনে হাই বলেন, ‘করোনায় লকডাউন হওয়ায় প্রচুর অর্ডার বেড়েছে। তবে আমরা অর্ডার নিচ্ছি আমাদের ক্যাপাসিটি অনুযায়ী। যতটুকু ডেলিভারি দেয়া সম্ভব ততটুকুই অর্ডার প্রতিদিন নেয়া হচ্ছে। কারণ একটাই সব ক্রেতাই যেন পণ্যগুলো দ্রুত বুঝে পায়। আর বাড়তি চাপের কথা মাথায় রেখে চালডাল ডটকমে বর্তমানে প্রচুর কর্মী বা সহযোদ্ধা দরকার। তাই নিয়োগ দেবার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। এ কারণে সবার কাছে সহযোগিতা চাইছি। দরকার সহকর্মী বা পরিবারের নতুন সদস্য। যাদের এই মুহূর্তে কাজ প্রয়োজন, চাকরি নেই বা পার্টটাইম কাজ খুঁজছেন কিংবা স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে কাজ করতে চান তারা চালডালে সঙ্গে যোগাযোগ করুন। করোনার এই গুরুত্বপূর্ণ সময়ে কিভাবে আরো বেশি সহযোদ্ধা খুঁজে পাওয়া যাবে কারো কোনো পরামর্শ থাকলেও জানাতে পারেন বা ফেসবুকে কমেন্ট অথবা ইনবক্স করতে পারেন। আরো তথ্যের জন্য ০১৪০১১১০৭৫১, ০৯৬৪৩২১০০০৪ ও ০৯৬৪৩২১০০০৭ নম্বরে ফোন দিয়েও বিস্তারিত জানা যাবে।’

তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের ডেলিভারি টাইম ১/২ ঘন্টা থেকে বেড়ে ২/৩ দিনে গিয়েছে। তবে পণ্য পাচ্ছেন সব গ্রাহকই। করোনা বিপর্যয়ে চালডালের বেশি চাপের কারণে প্রতিষ্ঠানটির সিইও, সিওও, ডিরেক্টররাও অক্লান্ত পরিশ্রম করছেন। কারণ গ্রাহকরা যেন কম সময়ে পণ্য হাতে পায়। সাপ্লাইচেইনের উপর বিশেষভাবে গুরুত্ব দেয়া হচ্ছে ভবিষ্যতে গ্রাহকদের পণ্যের কোনো অভাব এবং সমস্যাও যেন না হয়। এ ছাড়াও আগামী এক/দেড় মাসের মধ্যে আরো দশটি ওয়্যারহাউজ করার পরিকল্পনা রয়েছে। ফলে ঢাকার আরো অনেক এলাকায় পণ্য পৌঁছে দেয়া সম্ভব হবে দ্রুত। তখন ডেলিভারির সময়ও লাগবে কম। করোনার এ পরিস্থিতিতে চালডাল সব সময় জনগনের প্রয়োজনে সহযোগিতায় কাজ করবে।’ 

ওমর শরিফ ইবনে হাই বলেন, ‘হোম ডেলিভারির ওপর চাপ বাড়ায় বাইকার, সাইক্লিস্ট, ডেলিভারি এক্সিকিউটিভ ও পণ্য বাছাইকারী প্রয়োজন। যাদের বেতন দেয়া হবে সাড়ে ১০ থেকে সাড়ে ১৬ হাজার টাকা। এ ছাড়াও ৩ দিন পর একদিন ছুটি এবং আকর্ষণীয় বোনাস দেয়া হবে। আগ্রহীরা অনলাইনে আবেদনের পাশাপাশি বনশ্রীর ব্যাংক কলোনি অফিসে যোগাযোগ করতে পারেন। এ ছাড়াও করোনার বর্তমান সময়ে প্যাকেজিংয়ের ক্ষেত্রে যথাযথ সাবধানতা অবলম্বন এবং সুরক্ষা দেবার চেষ্টা করা হচ্ছে। ডেলিভারির কাজে নিয়োজিতদের সেফটি উপকরণ নিশ্চিত করা হচ্ছে। যখন ডেলিভারি করতে যায় তখন সেফটি কিটস ব্যবহার করছে কিনা তা চেক করা হয়। ডেলিভারি পর কাস্টমারকেও কলসেন্টার থেকে ফোন দিয়ে ডেলিভারিতে কোনো সমস্যা বা ডেলিভারিম্যান গ্লাস এবং মাস্ক পড়ে ছিল কি না তা জানতে চাওয়া হচ্ছে।’

এদিকে, দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে আরও একজনের দেহে নভেল করোনা ভাইরাস বা কোভিড-১৯ রোগের সংক্রমণ শনাক্ত করা হয়েছে। এ নিয়ে দেশে করোনা ভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ালো ৪৯ জনে। তবে নতুন করে মৃত্যুর কোনও তথ্য নেই।

অন্যদিকে, আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমগুলোর দেয়া তথ্যানুযায়ী, ভাইরাসটিতে গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন ৫৮ হাজার ৩৪৮ জন। আর প্রাণহানি হয়েছে ৩ হাজার ৯৭ জনের। 

যাতে করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে ৭ লাখ ২৪ হাজার ২৭৮ জনে পৌঁছেছে। মৃতের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ৩৪ হাজার ৭ জন। একইসঙ্গে এখন পর্যন্ত সুস্থ হয়ে ঘরের ফেরার সংখ্যা ১ লাখ ৫২ হাজারেরও বেশি। আক্রান্তে যুক্তরাষ্ট্র ও মৃতের সংখ্যায় ইতালি সবার শীর্ষে। 

এনএস/