ঢাকা, রবিবার   ০৩ নভেম্বর ২০২৪,   কার্তিক ১৮ ১৪৩১

স্বপ্নের পদ্মা সেতুর পিয়ারের শতভাগ কাজ শেষ

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ০৮:৫৫ এএম, ১ এপ্রিল ২০২০ বুধবার

মহামারি করোনা ভাইরাসের কারণে বাংলাদেশসহ গোটা বিশ্ব প্রায় অচল। অথচ কোটি মানুষের কাঙ্ক্ষিত স্বপ্নের পদ্মা সেতুর কাজের অগ্রগতি অনেকটাই আশা জাগানিয়া। এই অচলাবস্থার মধ্যেই চলছে সেতুটির কাজ। পিয়ার-২৬ এর শেষ কংক্রিটিংয়ের মধ্য দিয়ে শেষ হয়েছে পদ্মা সেতুর ৪২তম পিয়ার তৈরির কাজ। মূল সেতুর সবগুলো অর্থাৎ ৪২টি পিয়ারই এখন প্রস্তুত।

৪২তম পিয়ার ‘পিয়ার-২৬’ এর কংক্রিটিংয়ের কাজ শেষ হয় গতকাল মঙ্গলবার রাত ৯টা ১৫ মিনিটে। পদ্মা সেতু প্রকল্পের (মূল সেতু) নির্বাহী প্রকৌশলী দেওয়ান মো. আব্দুল কাদের এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

নির্বাহী প্রকৌশলী জানান, মঙ্গলবার দুপুর ১২টায় পিয়ার-২৬ এর শেষ কংক্রিটিংয়ের কাজ শুরু হয়। সংশ্লিষ্ট প্রকৌশলী ও নির্মাণ শ্রমিকদের প্রচেষ্টায় রাত ৯টা ১৫ মিনিটে কাজ শেষ হয়।

এর আগে গত ১৬ মার্চ রাত ১২টার দিকে ৪১তম পিয়ার ‘পিয়ার-২৭’ এর কাজ শেষ হয়।

এদিকে ইতিমধ্যে পদ্মা সেতুর ২৭টি স্প্যান বসানোর মধ্য দিয়ে চার হাজার ৫০ মিটার দৃশ্যমান হয়েছে। করোনা ভাইরাসের কারণে দেশ যখন অঘোষিত লকডাউনে এর মধ্যেই গত ২৮ মার্চ সেতুর ২৭ ও ২৮নং পিয়ারে বসানো হয়েছে ২৭তম স্প্যান ‘৫-সি’।

উল্লেখ্য, ২০১৪ সালের ডিসেম্বরে পদ্মা সেতুর নির্মাণ কাজ শুরু হয়। ২০১৭ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর ৩৭ ও ৩৮ নম্বর খুঁটিতে প্রথম স্প্যানটি বসানোর মধ্য দিয়ে দৃশ্যমান হয় পদ্মা সেতু। এরপর একে একে বসানো হয় ২৭টি স্প্যান আর ৪২টি পিয়ার। প্রতিটি স্পেনের দৈর্ঘ্য ১৫০ মিটার। ৪২টি পিলারের ওপর ৪১টি স্প্যান বসিয়ে ৬ দশমিক ১৫ কিলোমিটার দীর্ঘ পদ্মা সেতু নির্মাণ করা হবে।

এর মধ্যে সবকটি পিয়ার দৃশ্যমান হয়েছে। মূল সেতু নির্মাণের জন্য কাজ করছে চীনের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান চায়না মেজর ব্রিজ ইঞ্জিনিয়ারিং কোম্পানি (এমবিইসি) ও নদীশাসনের কাজ করছে দেশটির আরেকটি প্রতিষ্ঠান সিনো হাইড্রো করপোরেশন। দুটি সংযোগ সড়ক ও অবকাঠামো নির্মাণ করেছে বাংলাদেশের আবদুল মোমেন লিমিটেড।

৬ দশমিক ১৫ কিলোমিটার দীর্ঘ এ বহুমুখী সেতুর মূল আকৃতি হবে দোতলা। কংক্রিট ও স্টিল দিয়ে নির্মিত হচ্ছে এ সেতুর কাঠামো। পদ্মা সেতুর নির্মাণ কাজ সম্পূর্ণ হওয়ার পর আগামী ২০২১ সালেই খুলে দেয়া হবে। বহুল কাঙ্ক্ষিত এই সেতুটি চালু হলে পাল্টে যাবে দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের চেহারা। চাঙ্গা হবে গোটা দেশের অর্থনীতি।
এসএ/