কক্সবাজার শহরে মাদক সম্রাজ্ঞী নাহিদা মদসহ গ্রেপ্তার
একুশে টেলিভিশন
প্রকাশিত : ১১:১৮ পিএম, ৫ এপ্রিল ২০২০ রবিবার
বিপুল পরিমাণ চোলাই মদসহ অবশেষে কক্সবাজার শহরের বৈদ্যঘোনা এলাকার মাদক ব্যবসায়ী নাহিদ আলম (২৭) ওরফে নাহিদাকে গ্রেপ্তার করেছে সদর থানা পুলিশ। রোববার (৫ এপ্রিল) সকালে বৈদ্যঘোনাস্থ নিজ বাড়ি ফরিদ আলমের বিল্ডিং থেকে মদসহ এই মহিলাকে আটক করা হয়।
আটক মহিলাকে রোববার বিকালে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে প্রেরণ করে পুলিশ। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কক্সবাজার সদর থানার ওসি (অপারেশন) মাসুম খাঁন। নাহিদা ওই এলাকার মৃত মোহাম্মদ রুবেলের স্ত্রী।
পুলিশ জানিয়েছে, নাহিদা নামে ওই মহিলার বিরুদ্ধে মাদক ব্যবসা করার জনশ্রুতি রয়েছে এলাকায়। এলাকার সবাই মাদক কারবারি হিসেবে চেনেন তাকে।
সর্বশেষ রোববার (৫ এপ্রিল) ভোরে নাহিদার বাড়িতে চোলাই মদ মজুদের খবর পেয়ে সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) সৈয়দ আবু মো. শাহজাহান কবির, পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মোহাম্মদ খায়রুজ্জামান, পুলিশ পরিদর্শক (অপারেশনস্) মো. মাসুম খাঁন ও পরিদর্শক (ইন্টিলিজেন্স) মোহাম্মদ মহিদুল আলমসহ একদল পুলিশ বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে তার বাড়িতে থেকে বিপুল পরিমান চোলাই মদ উদ্ধার করেন।
মদ উদ্ধারের ঘটনায় কক্সবাজার সদর মডেল থানার এফ আই আর নং-০৯(০৪)২০২০ ইং ধারা-২০১৮ সনের মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রন আইনের ৩৬ (১) এর ২৪ (গ)/৪১ সংক্রান্ত মামলা দায়ের করে তাকে কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে।
মাদক সম্রাজ্ঞী নাহিদার মা পারভিন ও বোন হয়তুরীও শীর্ষ মাদক কারবারী। মাদকের পাশাপাশি পতিতাবৃত্তিতেও জড়িত এই পরিবার। বৈদ্যঘোনার নিজের বাসায় পতিতা মজুদ করে শহরের হোটেল মোটেল জোনে সাপ্লাই দেয়। নাহিদার বোন হয়তুরীর স্বামী হাসান তালিকাভুক্ত ইয়াবা ব্যবসায়ী। ইয়াবাসহ গ্রেপ্তার হয়ে দীর্ঘদিন কারাগারে ছিলেন তিনি।
নাহিদার মামা রফিকুল ইসলাম ছিলেন আরেক শীর্ষ ইয়াবা ব্যবসায়ী। তার বিরুদ্ধে মাদকের ডজনাধিক মামলা ছিল। কয়েক মাস আগে ঈদগাঁও- ঈদগড় সড়কের পাশে জঙ্গল থেকে ইয়াবা ব্যবসায়ী রফিকের গুলিবিদ্ধ লাশ উদ্ধার করা হয়। এসময় লাশের পাশ থেকে ইয়াবা ও অস্ত্র উদ্ধার করা হয়।
মাদক ও পতিতা সম্রাজ্ঞী নাহিদার অন্যতম পার্টনার খাজামঞ্জিল এলাকার তাহেরা। তাহেরা তালিকাভুক্ত ইয়াবা কারবারী।
এসি