ঢাকা, শুক্রবার   ২২ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ৭ ১৪৩১

আইয়ামে বীজের রোজা পালনের তাৎপর্য

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ০৯:৩৬ পিএম, ৬ এপ্রিল ২০২০ সোমবার | আপডেট: ১২:০৭ পিএম, ২৩ এপ্রিল ২০২০ বৃহস্পতিবার

ইসলাম এক পূর্ণাঙ্গ, শাশ্বত এবং বিজ্ঞানসম্মত জীবনব্যবস্থার নাম। এর প্রতিটি বিধানের রয়েছে বৈজ্ঞানিক ভিত্তি। মানবতার সর্বশেষ নবী মুহাম্মাদ সা: ছিলেন আল্লাহ প্রেরিত রাসূল। তাঁর যুগে বিজ্ঞান-প্রযুক্তি প্রসার লাভও করেনি। তবুও বর্তমানে বিজ্ঞানের চরম উৎকর্ষতার যুগে তাঁর জীবনের প্রতিটি কর্ম ও নির্দেশনা রহস্যময় এক বৈজ্ঞানিক ভিত্তি। বিভিন্ন যুগের বৈজ্ঞানিকেরা অনুসন্ধিৎসু দৃষ্টিতে তাঁর নির্দেশিত প্রতিটি কাজ, চিন্তাভাবনা, নিয়মনীতি, আইনকানুনের প্রতি মনোনিবেশ করেছেন সেই মহারহস্য উদঘাটন প্রত্যাশায়। কেননা তার জীবন অনুস্মরণেই রয়েছে মানব জীবনের সফলতার মূলমন্ত্র।

আবদুল মালেক বিন কুদামাহ বিন মালহান রা: বলেন : ‘রাসূলুল্লাহ সা: আমাদেরকে আইয়ামে বীজ তথা চন্দ্রমাসের ১৩, ১৪ ও ১৫ তারিখে রোজা রাখার নির্দেশ দিতেন’ (আবু দাউদ)। রাসূলুল্লাহ সা: বলেন : ‘প্রতি মাসে তিনটি রোজা একযুগ রোজার সমতুল্য, মনোরম সে দিন তিনটি হলো ১৩, ১৪ ও ১৫’ (নাসায়ী)। ইবনু আব্বাস রা: বলেন : ‘রাসূলুল্লাহ সা: সফর ও মুকিম অবস্থায় কখনো আইয়ামে বীজের রোজা ভঙ্গ করতেন না’ (নাসায়ী)। রাসূল সা: বলেন : ‘কোনো মাসে তিনটি রোজা রাখলে ১৩, ১৪ ও ১৫ তারিখ রাখবে’ (আহমদ)।

চন্দ্র মাসের ক্যালেন্ডার অনুযায়ী আমরা যারা আইয়ামে বীজের সিয়াম পালন করতে চাই তারা মঙ্গলবার দিবাগত রাতে সাহেরি খেয়ে বুধবার, বৃহস্পতিবার ও শুক্রবার (১৩, ১৪, ১৫ শাবান) অর্থাৎ এপ্রিল মাসের ০৮, ০৯ এবং ১০ তারিখ - এই তিনদিন সিয়াম পালন করবো ইনশাআল্লাহ।

প্রত্যেক চন্দ্র মাসের ১৩, ১৪ ও ১৫ এই দিনগুলোকে “আইয়ামে বীজ” বা আলোকিত দিনসমূহ বলা হয়। কারণ এই দিনগুলোতে চাঁদ সবচাইতে বেশি আলোকিত থাকে। প্রিয় রাসূলুল্লাহ (সা.) আইয়ামে বীজের তিনদিন নিয়মিত সিয়াম পালন করতেন।

□ আবু যর (রা.) থেকে বর্ণিত: রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, "প্রত্যেক মাসে (নফল) সিয়াম পালন করলে শুক্লপক্ষের ১৩, ১৪ ও ১৫ তারিখে পালন করো"  (তিরমিযীঃ ৭৬১, নাসায়ীঃ ২৪২৪)

□ ক্বাতাদাহ ইবনে মিলহান (রা.) হতে বর্ণিতঃ রাসূলুল্লাহ (সা.) আমাদেরকে শুক্লপক্ষের ১৩, ১৪ ও ১৫ তারিখে সিয়াম পালনের জন্য আদেশ করতেন (আবু দাউদঃ ২৪৪৯, নাসায়ীঃ ২৪৩২)

□ আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রা.) থেকে বর্ণিতঃ রাসূলুল্লাহ (সা.) বাড়ীতে থাকা অবস্থায় অথবা সফরে থাকা অবস্থায়, কখনোই আইয়ামে বীজের সিয়াম পালন ছাড়তেন না। (নাসায়ী ২৩৪৫)

প্রত্যেক মাসে ৩টা করে সিয়াম পালন করলে সারা বছর নফল সিয়াম পালনের সমান সওয়াব পাওয়া যায়; সুবহানাআল্লাহ! 
আব্দুল্লাহ ইবনে আ’মর ইবনে আ’স (রা.) হতে বর্ণিত: রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, "প্রতি মাসে তিনটি করে সিয়াম পালন, সারা বছর ধরে সিয়াম পালনের সমান" (বুখারীঃ ১১৫৯, ১৯৭৫)

সেহেরীর ও ইফতারির সময় জানার জন্য লগইন করতে পারেন নিচের এই ওয়েবসাইট লিঙ্কে:
https://www.islamicfinder.org/world/bangladesh/

আরকে//