যুক্তরাষ্ট্রে একদিনে মৃত্যুর রেকর্ড
একুশে টেলিভিশন
প্রকাশিত : ১০:০৪ এএম, ৮ এপ্রিল ২০২০ বুধবার | আপডেট: ১০:১৩ এএম, ৮ এপ্রিল ২০২০ বুধবার
যুক্তরাষ্ট্রে করোনা ভাইরাসে এখন পর্যন্ত কোনো একদিনে রেকর্ড সংখ্যক মৃত্যু হয়েছে। যা ইতিপূর্বে কোনো দেশে একদিনে এতো মৃত্যুর ঘটনা ঘটেনি। দেশটিতে একদিনে মৃত্যু হয়েছে ১৮৫৮ জনের। জনস হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের বরাত দিয়ে সিএনএন এ তথ্য জানিয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রে সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যা নিউ ইয়র্কে। এদিন সেখানেও একদিনে মৃত্যুর নতুন রেকর্ড হয়েছে। মঙ্গলবার নিউ ইয়র্কে এ ভাইরাসে আক্রান্ত ৮০৬ জনের মৃত্যু হয়েছে।
কভিড-১৯ মহামারি ইউরোপের পর এবার রুদ্রমূর্তি ধারণ করেছে যুক্তরাষ্ট্রে। ইতালি, স্পেন, ফ্রান্স, বেলজিয়াম ও নেদারল্যান্ডসসহ মহাদেশটির বিভিন্ন দেশে অসংখ্য প্রাণ কাড়ছে প্রতিদিন। এর মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রেও হু হু করে বাড়ছে প্রাণহানির ঘটনা।
এদিকে কারাগারে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে বন্দির মৃত্যুর ঘটনায় নিউ ইয়র্ক কর্তৃপক্ষ সমালোচনার মুখে পড়েছেন। সোমবার পর্যন্ত নিউ ইয়র্কের কারাগার থাকা ২৮৬ বন্দি ও ৩৩১ কারা কর্মকর্তা ভাইরাসটিতে আক্রান্ত হয়েছেন। এদের মধ্যে মাইকেল টাইসন (৫৩) নামের এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে।
গভর্নর অ্যান্ড্রিউ কৌমো জানান, যুক্তরাষ্ট্রে করোনা মহামারির কেন্দ্রস্থলে পরিণত হয়েছে নিউ ইয়র্ক।
নিউ ইয়র্কে টানা দুই দিন আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যা নিম্নগামী হওয়ার পর মঙ্গলবার ফের সর্বোচ্চ মৃত্যুর রেকর্ড তৈরি হলো। তবে গভর্নর জানিয়েছেন, টানা তিন দিন গড় আক্রান্তের সংখ্যা কমছে।
জনগণকে ঘরে থাকা ও সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার বিষয়ে সতর্ক করে গভর্নর বলেন, আমাদের দৃঢ়ভাবে স্বাস্থ্য নির্দেশিকা মেনে চলতে হবে। এর ওপরই নিজেদের বেঁচে থাকা নির্ভর করছে।
ধর্মীয় উৎসবে নিউ ইয়র্কবাসীকে বড় ধরনের জমায়েত এড়িয়ে চলার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।
জন হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের তথ্য অনুযায়ী, এর আগে ৪ এপ্রিল দেশটিতে করোনা ভাইরাসে ১৩৪৪ জনের মৃত্যু হয়েছিল। যা ছিল চীনের হুবেই প্রদেশের উহান থেকে বিশ্বের প্রায় সব দেশে ছড়িয়ে যাওয়া রোগটিতে সর্বোচ্চ মৃত্যুর ঘটনা।
যুক্তরাষ্ট্রে এ পর্যন্ত করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়েছে ৩ লাখ ৯৮ হাজার ৮০৯ জন। মোট মৃত্যু হয়েছে ১২ হাজার ৮৪১ জনের। ১৮৪ দেশ ও অঞ্চলে ছড়িয়ে যাওয়া কভিড-১৯ রোগে বিশ্বজুড়ে শনাক্ত রোগীর সংখ্যা ১৪ লাখ ৩১ হাজার। এতে প্রাণ গেছে ৮২ হাজার মানুষের। আর চিকিৎসা নিয়ে সুস্থ হয়েছে ৩ লাখ ২ হাজার।
এমবি