করোনায় পর্যটনে ক্ষতি ৫৭০০ কোটি টাকা
একুশে টেলিভিশন
প্রকাশিত : ০৩:৩৭ পিএম, ৮ এপ্রিল ২০২০ বুধবার | আপডেট: ০৩:৩৭ পিএম, ৮ এপ্রিল ২০২০ বুধবার
নভেল করোনা ভাইরাসের (কভিড-১৯) ছোবলে বিপর্যস্ত পর্যটন খাতে প্রায় পাঁচ হাজার ৭০০ কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে। এ খাতের সুরক্ষায় আগামী তিন অর্থবছরের বাজেটে সুনির্দিষ্ট বরাদ্দ রাখার পাশাপাশি আরো একগুচ্ছ দাবি জানিয়েছে দেশের পর্যটন খাতের শীর্ষ সংগঠন ট্যুর অপারেটরস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (টোয়াব)।
সংগঠনটি বলেছে, করোনা ভাইরাসে এ খাত পঙ্গু হয়ে গেছে। এই খাতকে বাঁচাতে আগামী তিন অর্থবছরের (২০২১, ২০২২ ও ২০২৩) বাজেটে যথেষ্ট বরাদ্দ রাখা জরুরি।
দেশের পর্যটন খাতে করোনা ভাইরাসের প্রভাব তুলে ধরে টোয়াব বলেছে, করোনা ভাইরাসের প্রভাবে ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে বাংলাদেশের পর্যটন খাত। এ ভাইরাসের কারণে বিদেশগামী, বিদেশ থেকে বাংলাদেশে আসা ও দেশের অভ্যন্তরীণ পর্যটনের শতভাগ বুকিং বাতিল হয়েছে। এ কারণে শুধু ট্যুর অপারেটররা নয়; বরং এ শিল্পসংশ্লিষ্ট সবাই ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। জীবিকা নিয়ে গভীর অনিশ্চয়তায় রয়েছে ট্যুর অপারেটর, ট্রাভেল এজেন্ট, হোটেল, মোটেল, রিসোর্ট, রেস্তোরাঁ, এয়ারলাইনস, পর্যটক পরিবহন, ক্রুজিং ও গাইডিং সংশ্লিষ্ট অন্তত ৪০ লাখ পেশাজীবী।
দ্য ওয়ার্ল্ড ট্রাভেল অ্যান্ড ট্যুরিজম কাউন্সিলের তথ্য অনুযায়ী, করোনাভাইরাস মহামারিতে বিশ্বজুড়ে পাঁচ কোটি মানুষ কাজ হারানোর ঝুঁকিতে আছে। বাংলাদেশের পর্যটন খাতে প্রায় পাঁচ হাজার ৭০০ কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে। এ অবস্থা যদি আরো দীর্ঘস্থায়ী হয় ক্ষতির পরিমাণ আরো বাড়বে। করোনাভাইরাস দুর্যোগ কেটে গেলেও এর ধকল সামলে উঠতে পর্যটন খাতের অন্তত দুই বছর লেগে যেতে পারে।
৫০০ কোটি টাকার তহবিল গঠনের দাবি জানিয়ে টোয়াব সভাপতি রাফেউজ্জামান বলেন, ‘ক্ষতিগ্রস্ত পর্যটন খাত টিকিয়ে রাখার স্বার্থে টোয়াবের প্রস্তাবগুলো বিবেচনার জন্য আমরা সরকারের কাছে অনুরোধ জানিয়েছি। সরকারের সহযোগিতা পেলে এই খাত আবারও ঘুরে দাঁড়াবে এবং বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।’
সম্প্রতি বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ে এসংক্রান্ত একটি প্রস্তাব পাঠিয়েছেন টোয়াবের সভাপতি মো. রাফেউজ্জামান। এতে তিনি সরকারের পক্ষ থেকে টোয়াবের সদস্যদের আপৎকালীন আর্থিক সহায়তা দেওয়ার দাবি জানিয়েছেন। প্রস্তাবে বলা হয়েছে, প্রধানমন্ত্রী ঘোষিত আর্থিক সহায়তা প্যাকেজ-১-এর অন্তর্ভুক্ত ক্ষতিগ্রস্ত শিল্প ও সার্ভিস সেক্টরের প্রতিষ্ঠানগুলোকে দ্রুত ঋণের ব্যবস্থা করা প্রয়োজন।
এ ছাড়া টোয়াবের সদস্যদের এআইটি এবং ট্রেড লাইসেন্স ও ফি, পজ মেশিন ট্রানজেকশন ফি ও ইউটিলিটি বিল, টোয়াবের সহযোগী সদস্যদের যাদের হোটেল, মোটেল ও রিসোর্ট আছে, সেগুলো পরিচালনার ক্ষেত্রে আরোপিত ভ্যাট মওকুফ করা এবং সংশ্লিষ্টদের ব্যাংকঋণের কিস্তি আগামী ডিসেম্বর পর্যন্ত স্থগিত করার দাবি জানানো হয়েছে।
টোয়াবের প্রস্তাবে আরো বলা হয়েছে, কক্সবাজার, সুন্দরবন, পার্বত্য চট্টগ্রাম, উত্তরবঙ্গ, সিলেট, বরিশাল ও অন্যান্য অঞ্চলের পর্যটনসংশ্লিষ্ট স্বল্প আয়ের পেশাজীবীদের অবিলম্বে আপৎকালীন আর্থিক অনুদান নিশ্চিত করতে হবে।
এমবি//