ঢাকা, শুক্রবার   ২২ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ৮ ১৪৩১

বঙ্গবন্ধুর খুনি মাজেদের প্রাণভিক্ষার আবেদন খারিজ

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১১:২৩ এএম, ৯ এপ্রিল ২০২০ বৃহস্পতিবার

জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে হত্যার দায়ে ফাঁসির রায় মাথায় নিয়ে মৃত্যুদণ্ডাদেশপ্রাপ্ত আসামি আবদুল মাজেদ প্রাণভিক্ষা চেয়ে যে আবেদন করেছেন, তা নাকচ করে দিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ।

কারাবন্দি মাজেদ বুধবার প্রাণভিক্ষার আবেদন করেন বলে কারা কর্তৃপক্ষ জানিয়েছিল।

অতিরিক্ত কারা মহাপরিদর্শক কর্নেল মো. আবরার হোসেন বুধবার রাত সাড়ে ৮টায় বলেন, ‘তিনি প্রাণভিক্ষার একটি আবেদন দিয়েছেন। আমরা সন্ধ্যার পরপরই স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পাঠিয়ে দিয়েছি। এখন পরবর্তী আদেশের অপেক্ষায় আছি। আদেশ যাই হোক, আমরা সার্বিকভাবে প্রস্তুত আছি।’

রাতে বঙ্গভবনের একটি সূত্র নিশ্চিত করেছেন, প্রাণভিক্ষার ওই আবেদন পৌঁছানোর পর তা খারিজ করে দেন রাষ্ট্রপ্রধান।

জজ আদালতে বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলার রায় এসেছিল ২০০১ সালে। এরপর ২০০৯ সালে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ থেকে চূড়ান্ত রায় আসে।

রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করার সময় বহু বছর আগেই পেরিয়ে যাওয়ায় আবদুল মাজেদ সে সুযোগ পাওয়ার অধিকার রাখেন না বলে এর আগে জানিয়েছিলেন এ মামলার রাষ্ট্রপক্ষের অন্যতম আইনজীবী মোশাররফ হোসেন কাজল।

এর ফলে ফাঁসির দড়ি এড়ানোর একমাত্র সুযোগ বাকি ছিল সাংবিধানিক অধিকার হিসেবে রাষ্ট্রপতির কাছে প্রাণভিক্ষা চাওয়া। সেই চেষ্টাই করেন বিচার এড়িয়ে দুই দশকের বেশি সময় ধরে ভারতে পালিয়ে থাকা মাজেদ।

এখন তার আবেদন প্রত্যাখ্যাত হওয়ায় কারা কর্তৃপক্ষের সামনে দণ্ড কার্যকরে আর কোনো বাধা থাকছে না। তবে দণ্ড কার্যকর করার আগে সাধারণত পরিবারের সদস্যদের শেষবার দেখা করার সুযোগ দেওয়া হয়।

মাজেদের স্ত্রী সালেহা বেগম, চার মেয়ে ও এক ছেলে ঢাকা সেনানিবাসের এক নম্বর রোডের একটি বাসায় থাকেন।

যোগাযোগ করা হলে সালেহা বেগম বুধবার রাত সাড়ে ৯টায় বলেন, কারা কর্তৃপক্ষ তখনও তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করেনি। প্রাণভিক্ষার বিষয়টিও তারা টিভি দেখে জেনেছেন।

মঙ্গলবার (৭ এপ্রিল) রাজধানীর মিরপুর থেকে গ্রেফতার হন বঙ্গবন্ধু হত্যায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত অন্যতম আসামি আবদুল মাজেদ। দীর্ঘদিন তিনি ভারতে আত্মগোপনে ছিলেন।

আবদুল মাজেদ গ্রেফতার হওয়ার পর আরও পলাতক আছেন পাঁচ জন। তারা হলেন–খন্দকার আবদুর রশীদ, শরিফুল হক ডালিম, এসএইচএমবি নূর চৌধুরী, এএম রাশেদ চৌধুরী ও মোসলেম উদ্দিন।

এমবি//