দোহারে মুয়াজ্জিনসহ সাত মুসল্লীকে কুপিয়ে জখম
দোহার-নবাবগঞ্জ (ঢাকা) সংবাদদাতা:
প্রকাশিত : ০৭:৫১ পিএম, ১০ এপ্রিল ২০২০ শুক্রবার
করোনা সংক্রমন রোধে মসজিদে সরকারের নির্দেশনা মোতাবেক নামাজ আদায়কে কেন্দ্র করে ঢাকার দোহার উপজেলার কার্তিকপুর বাজার মসজিদের মুয়াজ্জিন সহ সাত মুসল্লীকে পিটিয়ে ও কুপিয়ে জখম করা হয়েছে।
অভিযোগ উঠেছে, উপজেলার কুসুমহাটি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ফরহাদ হোসেন, তার ভাই সাবেক চেয়ারম্যান পান্নু মাদবর, চুন্নু মাদবর ও তাদের সহযোগীরা এ ঘটনা ঘটিয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সরকারের নির্দেশনা অনুযায়ী শুক্রবার জুম্মার নামাজে সর্বোচ্চ দশজন জামাত আদায় করতে পারবে। কিন্তু ওই মসজিদে আনুমানিক ১৫/১৬ জন মুসল্লী উপস্থিত হন। আগে থেকেই কার্তিকপুর বাজার মসজিদের ঈমাম ও মুয়জ্জিনরা সরকারের নীতিমালা অনুযায়ী মুসল্লীদের জানিয়ে দেন বেশি লোক না আসার জন্য। তারপরেও ৫/৬ জন লোক বেশি হওয়ায় মুয়াজ্জিন আবু সাঈদের কাছে বেশি লোক হওয়ার কারণ জানতে চায় চুন্নু মাদবর সহ তার সাথে থাকা কয়েকজন।
এ নিয়ে বাকবিতন্ডার একপর্যায়ে চুন্নু মাদবরের ভাই আওয়ামী লীগ নেতা ফরহাদ হোসেন ও তার আরেক ভাই ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান পান্নু সহ বেশ কয়েকজন মসজিদে ছুটে এসে মসজিদের মুয়াজ্জিন আবু সাঈদ, মুসল্লী আনোয়ার হোসেন, তার ভাই আবুল হোসেন, জিন্নত, এজাজ আহমেদ মন্টু সহ অন্তত সাতজনকে পিটিয়ে ও কুপিয়ে আহত করে। আহতদের মধ্যে আবুল হোসেন নামে এক মুসল্লী মসজিদের ভেতর কুরআন শরীফ পড়ছিলেন বলে জানান প্রত্যক্ষদর্শীরা। সেও এ হামলা থেকে বাদ যায়নি।
ঘটনার পরপর ঘটনাস্থলে ছুটে আসেন চর মাহমুদপুর পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ মো. শাহ্ আলম সহ পুলিশের একটি দল। এ নিয়ে ওই এলাকায় সাধারণ মানুষের মধ্যে চরম ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।
এ বিষয়ে মাহমুদপুর পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ মো. শাহ আলম বলেন, ঘটনাটি অত্যন্ত দুঃখজনক, ঘটনা যাই হয়েছে কিন্তু মুসল্লীদের মারার অধিকার তাদের নেই। এ বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।
আরকে//