ঢাকা, শনিবার   ২৩ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ৯ ১৪৩১

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় প্রথম করোনাভাইরাসের রোগী সনাক্ত

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ০৭:৫৪ পিএম, ১০ এপ্রিল ২০২০ শুক্রবার

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় প্রথম করোনাভাইরাসের রোগী সনাক্ত হয়েছে। শুক্রবার বিকেলে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সিভিল সার্জন ডা. একরাম উল্লাহ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।করোনাভাইরাসে সনাক্ত হওয়া আনুমানিক ৭০ বছর বয়সী ওই ব্যক্তির বাড়ি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর উপজেলার আলমনগর গ্রামের উত্তরপাড়ায়। তিনি বর্তমানে ঢাকার কুয়েত মৈত্রী হাসপাতালের আইসোলেশন ওয়ার্ডে রয়েছেন। 

ওই বৃদ্ধের এক প্রতিবেশি জানান, গত ২ এপ্রিল রাতে নিজ বাড়িতে হৃদরোগে আক্রান্ত হন ওই বৃদ্ধ। তাকে নবীনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়া হলে সেখান থেকে তাকে  কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়। এরপর কুমিল্লা থেকে তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়ার পর কিছু পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হয়। পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর করোনাভাইরাসের লক্ষণ থাকায় তাকে কুয়েত মৈত্রী হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে করোনাভাইরাস পরীক্ষা করা হয়। শুক্রবার কুয়েত মৈত্রী হাসপাতাল থেকে জানানো হয় ওই ব্যক্তি করোনায় আক্রান্ত। 

এ ব্যাপারে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সিভিল সার্জন ডা. মোহাম্মদ একরাম উল্লাহ শুক্রবার বিকেল বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ঢাকার সিভিল সার্জন অফিসে যোগাযোগ করে আমরা নিশ্চিত হয়েছি ওই বৃদ্ধ করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। তিনি এখন কুয়েত মৈত্রী হাসপাতালের আইসোলেশন ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন আছেন। যারা তার সংস্পর্শে এসেছিলেন তাদেরকে কোয়ারেন্টিনে রাখা হবে। 

তিনি আরও বলেন, এ পর্যন্ত জেলায় হোম কোয়ারেন্টাইন থেকে ৩৬৫৬ জনকে ছাড়পত্র দেয়া হয়েছে। বর্তমানে  হোম কোয়ারেন্টাইনে আছে ৬৬ জন এবং জেলার বিজয়নগরে প্রাতিষ্ঠানিক হোম কোয়ারেন্টাইনে আছে ১৮ জন। 

তিনি বলেন, করোনাভাইরাস রোগীদের চিকিৎসার জন্য জেলার বিভিন্ন হাসপাতালে ৮৭টি আইসোলেন বেড প্রস্তুত রাখা হয়েছে। আরও ৫০টি প্রস্তুত করা হচ্ছে। জেলার কয়েকটি উপজেলা থেকে করোনাভাইরাসের উপসর্গ আছে এমন সন্দেহে ৬২ জনের নমুনা সংগ্রহ করে ঢাকায় পাঠানো হয়েছিল। এদের মধ্যে ১৫ জনের নমুনা পরীক্ষা করে তাদের সকলের করোনাভাইরাস পরীক্ষার ফলাফল নেগেটিভ এসেছে। বাকী ৪৭ জনের পরীক্ষার ফলাফল এখনো পাওয়া যায়নি। শুক্রবার ঢাকার কুয়েত মৈত্রী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন নবীনগরের এক বৃদ্ধ করোনায় আক্রান্ত বলে সনাক্ত হয়েছেন।

কেআই/এসি