নোয়াখালীতে প্রথম করোনা রোগী শনাক্ত
নোয়াখালী প্রতিনিধি
প্রকাশিত : ০৩:১২ পিএম, ১১ এপ্রিল ২০২০ শনিবার
নোয়াখালী জেলায় প্রথম করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছে। সোনাইমুড়ী উপজেলার সোনাপুর ইউনিয়নে জ্বর-শ্বাসকষ্টে মৃত্যু ইতালি প্রবাসী মোরশেদ আলমের (৪৫) মৃতদেহ থেকে সংগৃহীত নমুনায় করোনা শনাক্ত হয়েছে।
প্রবাসী ও তার পরিবার বিষয়টি গোপন রেখে স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা নেওয়ায় এবং বর্তমানে তার করোনা পজেটিভ আসায় এলাকার লোকজনের মধ্যে আতংক বিরাজ করছে। করোনা শনাক্ত হওয়ায় নিহত প্রবাসীর বাড়ীটি লকডাউন ঘোষণা করেছে উপজেলা প্রশাসন এবং একই সাথে ওই বাড়ীর ২৯ জন সদস্যকে হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সেই সাথে পুরো সোনাপুর ইউনিয়নকে বিশেষ লকডাউনের ব্যবস্থা করেছে জেলা প্রশাসন।
শনিবার দুপুর ১টায় জেলা সিভিল সার্জন ডা. মো. মমিনুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, বৃহস্পতিবার ঢাকা কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে নিহতের মৃতদেহ থেকে নমুনা করা হয়। পরে শনিবার আইইডিসিআর থেকে জানানো হয়েছে যে, তার শরীরে করোনা ভাইরাস পজিটিভ।
তিনি আরও জানান,ওই প্রবাসীকে চিকিৎসা সেবা দেওয়া তিন চিকিৎসক, দুই নার্স ও হাসপাতালের দুইজন স্টাফকে কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছে এবং আশপাশের সকল রোগীকে নিরাপদে সরিয়ে রাখা হয়েছে।
নিহতের স্বজন আব্দুর রাজ্জাক বলেন, মোরশেদ আলম উপজেলার সোনাপুর ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ড পশ্চিম চাঁদপুর গ্রামের তাজুল ইসলামের ছেলে। মোরশেদ আলম গত ৬ মাস আগে ইতালী থেকে দেশে ফিরে আসেন তবে গতকিছু দিন আগে ঢাকায় ইতালী ফেরত এক বন্ধুর সাথে দেখা করতে যায়। সেই বন্ধুর সংস্পর্শেই তার শরীরে ভাইরাস সংক্রমিত হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
জেলা প্রশাসক তন্ময় দাস জানান, সোনাপুর ইউনিয়নটিকে বিশেষ লকডাউন ঘোষণা করা হয়েছে। একই সাথে ওই ইউনিয়নকে প্রশাসনের কঠোর নজরদারীতে রাখা হয়েছে।
উল্লেখ্য, গত কয়েকদিন ধরে সর্দি, উচ্চ মাত্রায় জ্বর ও শ্বাস কষ্টে ভুগছিলেন। বুধবার বিকেলে তার শরীরের অবস্থার অবনতি হলে তাকে দ্রুত নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ওই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার শরীরের আরও অবনতি ঘটলে বৃহস্পতিবার ভোরে ঢাকা নেওয়ার পথে মোরশেদ আলমের মৃত্যু হয়।
এমবি//