সন্দ্বীপে মালবাহী বোটে শ্বাসকষ্ট নিয়ে মাঝির মৃত্যু
একুশে টেলিভিশন
প্রকাশিত : ০৪:৪৯ পিএম, ১১ এপ্রিল ২০২০ শনিবার | আপডেট: ০৫:২০ পিএম, ১১ এপ্রিল ২০২০ শনিবার
সন্দ্বীপ উপকূলে একটি মালবাহী বোটের মাঝি জ্বর, শ্বাসকষ্ট নিয়ে মারা গেছে। শুক্রবার রাত আড়াইটার দিকে খুলনা থেকে সন্দ্বীপ আসার পথে হাতিয়া উপকুলের কাছাকাছি ওই বোটের মাঝি মোহাম্মদ দিদার (৪৫) মারা যায়। ওই বোটের মাঝিদের সন্দ্বীপ উপকূলে ভিড়তে না দিয়ে চট্টগ্রামের দিকে পাঠিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত দেয় প্রশাসন। পরে উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তার নির্দেশে লাশের নমুনা সংগ্রহ করে চট্টগ্রাম জেলা রোগতত্ত্ব রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা সংস্থার (আইইবিসিআর) নিকট পাঠানো হয়।
পরবর্তী সময়ে বিভিন্ন মহলে যোগাযোগের পর দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করে। লাশটি সন্দ্বীপে দাফন করার অনুমতি দেওয়ার পাশাপাশি ওই বোটের ৭ জন মাঝি এবং খালাসিদের বোটের মধ্যেই কোয়ারেন্টিনের ব্যবস্থা করা হয়েছে।
সন্দ্বীপ উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. ফজলুল করিম বলেন, 'করোনার উপসর্গ নিয়ে মারা যাওয়া ওই মাঝিসহ সবাইকে চট্টগ্রামে পাঠিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। পরে উর্ধতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে মারা যাওয়া ব্যক্তিকে সন্দ্বীপের নিজ বাড়িতে দাফনের পাশাপাশি তার নমুনা সংগ্রহ করে ফৌজদারহাটে অবস্থিত বিআইটিআইডি হাসপাতালে পাঠানো হচ্ছে। অন্য মাঝিদের বোটে কোয়ারেন্টিনে থাকতে হবে।'
ওই বোটের খালাসি মামুন জানান, চট্টগ্রামের বাঁশখালী থেকে লবণ দিয়ে তারা খুলনা গিয়েছিলেন। সেখান থেকে ফেরার পথে হাতিয়ার উপকূলের কাছাকাছি রাত আড়াইটায় মারা যান মাঝি মোহাম্মদ দিদার। লাশ নিয়ে সন্দ্বীপে বোট ভেড়ানোর চেষ্টা করলে প্রশাসন বাধা দেয়। আমরা লাশ নিয়ে প্রায় ১২ ঘন্টা ভাসতে থাকি। শুরুতে লাশসহ সবাইকে চট্টগ্রামে পাঠিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত দেয় প্রশাসন। ওই বোটের সকল মাঝি ও খালাসি সবার বাড়ি সন্দ্বীপ উপজেলায়।
জানা গেছে, গত ১৫ দিন আগে এম.ভি কর্ণফুলী ৮ জন মাঝিমাল্লা নিয়ে সন্দ্বীপ বাংলাবাজার ঘাট ছেড়ে দক্ষিণ চট্টগ্রামের বাশখালীর বাকখালী ঘাটে আসে। ঘাট থেকে লবণ বোঝায় করে নদী পথে খুলনার শিরোমণি আসে। লবন খালাস করে গত বৃহস্পতিবার দুপুরে সন্দ্বীপের উদ্দেশ্যে ছেড়ে আসে। গতকাল শুক্রবার রাতে নদীপথে দিদারের মৃত্যু হয়। শনিবার সকালে জোয়ারের অপেক্ষায় ভাষাণচরের কূলে অবস্থান করে।
কেআই/