এ যেন দূষণমুক্ত অন্য এক ঢাকা
একুশে টেলিভিশন
প্রকাশিত : ০৭:৪৪ পিএম, ১৩ এপ্রিল ২০২০ সোমবার
করোনা সংক্রমণ এড়াতে সাধারণ ছুটিতে জরুরী সেবা ছাড়া সব কিছু বন্ধ থাকায় কমেছে বায়ূ দূষণ, সেই সাথে কমেছে নদ-নদী দূষণের মাত্রাও। বুড়িগঙ্গা, তুরাগ, শীতলক্ষ্য যেনো প্রাণ ফিরে পাচ্ছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, নিরাপদ পৃথিবী গড়তে পরিকল্পিত ও পরিবেশ বান্ধব শিল্পায়ন জরুরী।
নগরীতে নেই সকালের ব্যস্ততা। নেই দুপুরের কোলাহল। বিকল বা সন্ধ্যায় বাড়ি ফেরার তাড়াও নেই কারো। অদৃশ্য শত্রু করোনার সাথে যুদ্ধ। যার মূল অস্ত্র ঘরে থাকা।
গাড়ির হর্ন নেই, কল কারখানার আওয়াজ নেই, নেই চোখ জালা করা কালো ধোওয়া। তাইতেো জেগে উঠেছে সবুজ পাতারা। সবুজের মাঝে থেকে থেকে ডেক উঠছে কোকিল। গাছে বেয়ে খেলছে কাঠড়িালী।
এক কথায় রাজধানীতে নেই বায়ূ দূষণ, নেই শব্দ দূষণও। পরিবেশ বাঁচাও আন্দোলনের চেয়ারম্যন জানালেন, করেনার মত দুর্যোগ কেউই চায় না। কলকারখানা এবং যানবাহন বন্ধ থাকার কারণেই কমেছে দূষণ।
ঢাকার নদ-নদী দূষণও কমেছে। বুড়িগঙ্গা, শীতলক্ষ্য, তুরাগে মিশছে না কলকারখানার দূষিত কেমিক্যাল। পানিতে অক্সিজেনের মাত্রা অনেকটাই বেড়েছে।
এ অবস্থায় বাসযোগ্য ঢাকা গড়তে নদী দূষণ বন্ধ করার বিষয়টি নতুন করে ভাবাচ্ছে বলেই জানালেন পরিবেশবিদরা। পরিবেশ বাঁচাও আন্দোলন (পবা) সাধারণ সম্পাদক ইঞ্জিনিয়র মোহাম্মদ আব্দুস সোবাহান বলেন, রাজধানীতে বায়ু দূষণ অনেকটাই কমে গেছে। নদী দুষণ কমে আসায় স্বস্তিতে আছেন নদীপাড়ের বাসিন্দারাও।
আরকে//