ঢাকা, বৃহস্পতিবার   ২৮ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ১৩ ১৪৩১

দৈনন্দিন জরুরী সব লেনদেন এখন বিকাশে

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১০:৫১ পিএম, ১৩ এপ্রিল ২০২০ সোমবার

করোনা ভাইরাস সংক্রমন ঠেকাতে বাংলাদেশ সরকার ঘোষিত বিশেষ পরিস্থিতিতে ঘরে আটকা পড়া সাধারণ মানুষ দৈনন্দিন ও জরুরী লেনদেনে মোবাইল ফিনান্সিয়াল সার্ভিসে আস্থা রাখছেন। 

বিকাশ সূত্রে জানা যায়, গত সপ্তাহে প্রতিদিন গড়ে প্রায় ৬৫ থেকে ৭০ লক্ষ লেনদেন সম্পন্ন হয়েছে বিকাশ এ, টাকার অংকে যার পরিমান ছিল ৭০০ থেকে ৯০০ কোটি টাকা। অর্থ্যাৎ সারাদেশের সীমিত অর্থনৈতিক কর্মকান্ডের মধ্যেও ডিজিটাল লেনদেনকে জরুরী প্রয়োজনে ব্যবহার করছেন গ্রাহক। 

সেই সঙ্গে এই বিশেষ সময়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্দেশনা প্রতিপালন করে নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যাদি ও ঔষধ কেনার ক্ষেত্রে নির্দিষ্ট অংকের পি-টু-পি লেনদেনে চার্জ নিচ্ছে না বিকাশ এবং মাসিক লেনদেন সীমা ৭৫ হাজার থেকে বাড়িয়ে ২লাখ টাকা করা হয়েছে এবং মাসে প্রথমবার ১ হাজার টাকা পর্যন্ত ক্যাশ আউটেও কোন চার্জ নিচ্ছে না বিকাশ। 

এই বিশেষ পরিস্থিতিতেও জরুরী সেবা হিসেবে বিকাশের সকল সেবা নিরবিছিন্ন, নির্বিঘ্ন এবং নিরাপদ রাখতে সার্বক্ষণিক কাজ করে যাচ্ছেন প্রতিষ্ঠানটির সকল কর্মীরা। সীমিত ব্যাংকিং সময়, বিভিন্ন বিপনী বিতান বন্ধ, যানবহন সংকটের মত চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করে এজেন্ট পয়েন্টগুলোতে নগদ টাকা এবং ডিজিটাল মানি সরবরাহও নিশ্চিত করা হয়েছে। গ্রাহকরাও এই বিশেষ সময়ে সেন্ডমানি, ক্যাশ আউট, মোবাইল রিচার্জ, বিদ্যুৎ, গ্যাস এর বিল প্রদান, অ্যাডমানি, পেমেন্ট, রেমিট্যান্স গ্রহণ এর মত সেবাগুলো বেশী ব্যবহার করছেন। 

কেন্দ্রিয় ব্যাংকের নির্দেশনা অনুসারে বিকাশ গ্রাহকরা এই জরুরী সময়ে যে কোন ধরনের সমস্যা সমাধানে যেন ‘কাস্টমার সার্ভিস’ সেবা পান এবং লেনদেন অব্যাহত রাখতে পারেন তাও নিশ্চিত করা হয়েছে। ১৬২৪৭ নম্বর, বিকাশের ফেসবুক পেজ, লাইভ চ্যাট এবং ইমেইলের মাধ্যমে সার্বক্ষণিক ভাবে গ্রাহকদের সেবা নিশ্চিত করা হচ্ছে।
বিকাশের মত বহুল ব্যবহৃত মোবাইল অ্যাপ ব্যবহার করে করোনা ভাইরাস সম্পর্কে সাধারণকে জানাতে এবং এর প্রতিরোধে সহায়তা করতে উদ্যোগ নিয়েছে এটুআই সহ সরকারের কয়েকটি সংস্থা। এজন্য তথ্যপ্রযুক্তিকে কাজে লাগিয়ে প্রয়োজনীয় তথ্য ও করণীয় বিষয়ে সাধারণ মানুষের অংশগ্রহণের সুযোগ তৈরি করতে বিকাশ অ্যাপ এর মেনুতে যোগ হল ‘করোনা ইনফো’।

বিকাশ অ্যাপ ব্যবহারকারীরা এখন বিকাশ অ্যাপের হোমস্ক্রিনের উপরের মেনুবারে পাচ্ছেন নতুন এই আইকনটি। এতে ক্লিক করলেই -সর্বশেষ আপডেট, হটলাইন নম্বর, করোনা ভাইরাসের ঝুঁকি নির্ণয় করুন, সম্ভাব্য করোনা আক্রান্তের তথ্য দিন এবং স্বেচ্ছাসেবক হোন শিরোনামে সাব-মেনু পাচ্ছেন গ্রাহক। সাব-মেনু থেকে প্রয়োজনীয় মেনুতে ক্লিক করেই সরসারি এটুআই ওয়েবসাইট থেকে সেবা নিশ্চিত করতে পারছেন যেকোন বিকাশ গ্রাহক। 

বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্দেশনা প্রতিপালনের পাশাপাশি জনস্বার্থে আরো পদক্ষেপ নিয়েছে বিকাশ। বিদ্যানন্দ ফাউন্ডেশন করোনা পরিস্থিতিতে নানান রকম কার্যক্রম অব্যহত রেখেছে। বিশেষ এই মুহুর্তে  প্রতিষ্ঠানটির আর্থিক সহায়তা সহজ করতে বিকাশ অ্যাপের সাজেশন বক্সে সরাসরি যুক্ত হয়েছে বিদ্যানন্দ ফাউন্ডেশনের লোগো। এখন দেশের যেকোন প্রান্ত থেকে খুব সহজেই এই প্রতিষ্ঠানটিকে আর্থিক সহায়তা দিতে পারছেন গ্রাহক। একইভাবে বিভিন্ন সামাজিক সংগঠন, ক্লাব এবং অন্যান্য প্রতিষ্ঠান করোনা পরিস্থিতিতে জনসেবামূলক কর্মকান্ড পরিচালনায় আর্থিক সহায়তা বিকাশের মাধ্যমে সংগ্রহ করছেন।   

জনাসমাগম এড়িয়ে চলা, ঘরে থাকা সহ নানান কর্মকান্ডের মাধ্যমে দেশবাসী করোনা প্রতিরোধে তৎপর। ডিজিটাল লেনদেন তাদের সেইসব পদক্ষেপ আরো সুবিধাজনক এবং সহজ করেছে। গ্রাহকরা জরুরী পরিস্থিতিতে ডিজিটাল লেনদেনের সুবিধার কারণেই আরো বেশি এই লেনদেনে অভ্যস্ত হচ্ছেন।

আরকে//