ঢাকা, শুক্রবার   ২২ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ৮ ১৪৩১

একুশে টেলিভিশনের একুশে পদার্পণ (ভিডিও)

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১২:০২ এএম, ১৪ এপ্রিল ২০২০ মঙ্গলবার | আপডেট: ১১:২৪ এএম, ১৪ এপ্রিল ২০২০ মঙ্গলবার

গৌরবের একুশ বছরে পা রাখলো দেশের প্রথম বেসরকারি টেরেস্ট্রিয়াল টেলিভিশন চ্যানেল একুশে টেলিভিশন। একুশের চেতনা নিয়ে প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ ও রুচিশীল অনুষ্ঠানে দর্শক হৃদয় জয় করেছে চ্যানেলটি। অপ্রতিরোধ্য পথচলা রোধ করতে বারবার বাঁধার মুখে পড়েছে একুশে টেলিভিশন। তবে সংকট মাড়িয়ে একুশে মাথা তুলেও দাঁড়িয়েছে বারবার। 

গৌরবের একুশ বছরে পদার্পণের শুভক্ষণে একুশে টেলিভিশনকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মোহাম্মদ আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। করোনাকালের কঠিন সময়ে এবারের একুশের জন্মদিনে থাকছে না কোনো আনন্দ আয়োজন। 

২০ বছর আগে ২০০০ সালের ১৪ এপ্রিল বাংলা নববর্ষ বাঙালির চিরায়ত উৎসবের দিন। ওইদিনই প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণার মধ্য দিয়ে যাত্রা শুরু করে বেসরকারি খাতে প্রথম টেরেস্ট্রেরিয়াল টেলিভিশন স্টেশন একুশে টেলিভিশন।

পরিবর্তনের অঙ্গিকারবদ্ধ স্লোগান নিয়ে প্রতিষ্ঠা হওয়া একুশে টেলিভিশন মাত্র ২৮ মাসের মধ্যে বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ, বৈচিত্রময় অনুষ্ঠানের সৌন্দর্য্য ছড়িয়ে জয় করে কোটি মানুষের মন।

এরপরেই ২০০২ সালে রাজনৈতিক রোষের শিকার হয় একুশে টেলিভিশন। আইনী জটিলতার অজুহাতে বন্ধ করে দেয়া হয় দর্শকপ্রিয় চ্যানেলটি।

কিন্তু আইনী লড়াইয়ে ২০০৫ সালে আদালত একুশে টেলিভিশন সম্প্রচারের বৈধতা দেয়। বন্ধ করতে যতটা তাড়াহুড়া, খুলে দিতে ততোটাই টালবাহানা। শেষ পর্যন্ত ২০০৭ সালে আবারো সম্প্রচারে আসার পর থেকে নানা ঘাত প্রতিঘাত পার করে একুশে পা রাখলো গৌরবের একুশ বছরে। একুশের জন্মদিনে রাষ্ট্রপতি মোহাম্মদ আবদুল হামিদ তার বাণীতে গণমানুষের উন্নয়নে ভুমিকা রাখার আহবান জানিয়েছেন।
বাংলাদেশের উন্নয়ন অগ্রযাত্রার আলোকবর্তিকা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, করোনা যুদ্ধের কঠিন সময়েও ভুলে যাননি বাংলার চিরায়ত সংস্কৃতিকে। ভোলেননি একুশে টেলিভিশনকে। জন্মদিনের শুভেচ্ছা বাণীতে অবাধ তথ্য প্রবাহ এবং সুস্থ বিনোদনে একুশের ভুমিকার প্রশংসা করেন।

মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় সংবাদ ও অনুষ্ঠান দিয়ে অন্যায়ের বিরুদ্ধে মানুষের পাশে দাঁড়াবে, এ অঙ্গীকার প্রতিষ্ঠানটির কর্ণধরের। 
এক বানীতে প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান মোহাম্মদ সাইফুল আলম বলেন, এবার একুশে টেলিভিশন জন্মদিন পালন করছে এক ভিন্ন প্রেক্ষাপটে। বিশ্বব্যাপি করোনা মহামারী চলছে। বাংলাদেশও এর বাইরে নয়। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দৃঢ় নেতৃত্বে বাংলাদেশ মোকাবেলা করছে এই সংকটকাল। প্রশাসনের পাশাপাশি গণমাধ্যম কর্মীরা দায়িত্ব পালন করছে ঝুঁকি নিয়ে। একুশের জন্মদিনে গণমাধ্যম কর্মীদের আমি অভিবাদন জানাই। এই অকরুণ সময়ে আমি অপার সহানুভুতি জানাই আর্ত মানবতার প্রতি। 

সংবাদ বিনোদনে দেশের কোটি দর্শকের চাহিদা পূরণে একুশে টেলিভিশন এগিয়ে যাবে স্বপ্নের সিঁড়ি বেয়ে।

দেশের জনপ্রিয় এই টিভি স্টেশনে খবর ছাড়াও প্রচারিত হচ্ছে খবরের বিশ্লেষণধর্মী টকশো অনুষ্ঠান ‘একুশের রাত’। এছাড়াও ‘খোলা জানালা’ অনুষ্ঠানে বিভিন্ন বিষয়ের উপর বিশেষজ্ঞ মতামতসহ দেখতে পাবেন নানা বিশ্লেষণ। 

এ ছাড়াও একুশে টেলিভিশনে রয়েছে বিভিন্ন বিনোদনধর্মী অনুষ্ঠানমালার আয়োজন। রান্না বিষয়ক অনুষ্ঠান- সেরা নারীর সেরা রান্না, মজার টিফিন চাই; কমেডি শো- মামাভাগ্নের বৈঠকখানা; লাইফ স্টাইল বিষয়ক অনুষ্ঠান- বিয়ের রাজকন্যা, রুপ লাবণ্য, প্রবাস জীবন; গানের অনুষ্ঠান- ফোক মোমেন্টেস, মিউজিক এক্সপ্রেস, গানের ওপারে; স্বাস্থ্য বিষয়ক অনুষ্ঠান- হেলদি লাইফ, দ্য ডক্টরস ইতিমধ্যেই দর্শকদের মন জয় করেছে। 

এছাড়াও ইসলামী জিজ্ঞাসা, একুশের সকাল, ই-টেক, ভাইরাল শো দর্শকদের তথ্য বিনোদনের খোরাক জোগাচ্ছে নিয়মিতই। এসব অনুষ্ঠানের পাশাপাশি বৈচিত্র্যময় নাটক ও সিনেমা একুশের দর্শকদের মন রাঙিয়ে চলেছে সেই প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকেই।