ঢাকা, সোমবার   ২৫ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ১১ ১৪৩১

এসো হে বৈশাখ, এসো এসো

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ০৯:৫৯ এএম, ১৪ এপ্রিল ২০২০ মঙ্গলবার

এসো হে বৈশাখ, এসো এসো

তাপস নিঃশ্বাস বায়ে

মুমূর্ষুরে দাও উড়ায়ে

বৎসরের আবর্জনা দূর হয়ে যাক যাক যাক

এসো এসো...

যাক পুরাতন স্মৃতি

যাক ভুলে যাওয়া গীতি

যাক অশ্রুবাষ্প সুদূরে মিলাক

যাক যাক

এসো এসো...

মুছে যাক গ্লানি ঘুচে যাক জরা

অগ্নি স্নানে শুচি হোক ধরা

রসের আবেশ রাশি

শুষ্ক করি দাও আসি

আনো আনো, আনো তব প্রলয়ের শাঁখ

মায়ার কুঁজঝটি জাল যাক, দূরে যাক যাক যাক

এসো এসো...

বাঙালির নিজস্ব সংস্কৃতি ও গর্বিত ঐতিহ্যের রূপময় ছটায় বৈশাখকে এভাবেই ধরাতলে আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন আমাদের কবিকূল। তাদের কিরণে হাসি ছড়িয়ে পুরনো বছরের সব গ্লানি, অপ্রাপ্তি, বেদনা ভুলে নব আনন্দে আজ জাগবে গোটা জাতি। আজ পহেলা বৈশাখ। একটি নতুন দিন, একটি নতুন বছরের শুভ সূচনা। শুভ নববর্ষ।

চৈত্রের রুদ্র দিনের পরিসমাপ্তি শেষে আজ বাংলার ঘরে ঘরে নতুন বছরকে আবাহন জানাবে সব বয়সের মানুষ। বাঙালির জীবনের সবচেয়ে আনন্দের এবং মহিমান্বিত দিন এই পহেলা বৈশাখ। আজ নব আলোর কিরণশিখা শুধু প্রকৃতিকে নয়, রঞ্জিত করে নবরূপে সাজিয়ে যাবে প্রত্যেক বাঙালির হৃদকোণও। নব আলোর শিখায় প্রজ্জ্বলিত হয়ে শুরু হবে আগামী দিনের পথচলা।

হাজার বছরের ঐতিহ্যের ধারাবাহিকতায় আজ বাঙালি হারিয়ে যাবে বাঁধভাঙা উল্লাসে। উৎসব, আনন্দ আর উচ্ছ্বাসে ভরে যাবে বাংলার মাঠ–ঘাট–প্রান্তর। আজকের সূর্যোদয়ের সঙ্গে সঙ্গে পুরনো সব জরা গ্লানিকে মুছে ফেলে সকলে গেয়ে উঠবে নতুন দিনের গান। বৈশাখী উৎসবের মধ্যে দিয়ে যেন বাঙালি তার শেকড় খুঁজে পায়।

লোক ঐতিহ্যের প্রধান শক্তি অসাম্প্রদায়িকতা ও মানবিক মূল্যবোধের সাম্য সুন্দর শান্তির বাণী নিয়ে এসেছে বৈশাখ। আজ হাজার বছরের সমৃদ্ধ সংস্কৃতির আলোয় নতুন করে জ্বলে উঠবে বাঙালি। অগ্নিশিখা জ্বালিয়ে রাখার অনুপ্রেরণা গ্রহণ করবে। দ্রোহের আগুনে শানিত হবে। বাঙালির চেতনাবিরোধী অপশক্তি রুখতে নতুন বছরে ঐক্যবদ্ধভাবে এগিয়ে যাওয়ার শপথ নেবে বাংলাদেশ। বাঙালি পুরনো বছরের সকল অপ্রাপ্তি ভুলে গিয়ে নতুন সম্ভাবনার দ্বার উন্মোচন করবে।

এমবি//