ঢাকা, রবিবার   ০৩ নভেম্বর ২০২৪,   কার্তিক ১৮ ১৪৩১

অসচ্ছল শিক্ষার্থীদের পাশে নোবিপ্রবি

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ০৭:৫৩ পিএম, ১৫ এপ্রিল ২০২০ বুধবার

সাম্প্রতিক সময়ে পুরো বিশ্ব করোনাভাইরাসের মহামারিতে বিপর্যস্ত। প্রতিদিন পাল্লা দিয়ে বাড়ছে মৃত্যুর মিছিল এবং আক্রান্তদের সংখ্যা। বাংলাদেশেও একই অবস্থা বিরাজ করছে। বন্ধ রয়েছে সকল ধরণের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও শিল্প কারখানা। যার ফলে কর্মহীন হয়ে পড়ছে লাখ লাখ মানুষ। সরকার, রাজনৈতিক ব্যক্তি,বিভিন্ন সেচ্ছাসেবী সংগঠন এই মুহুর্তে সহযোগিতায় এগিয়ে আসলেও তা পরিমানের তুলনায় খুবই অপ্রতুল। এমতাবস্থায় নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (নোবিপ্রবি) অসচ্ছল শিক্ষার্থীদের পাশে এগিয়ে এসেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা।

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে 'করোনা মোকাবিলায় নোবিপ্রবিয়ানের পাশে নোবিপ্রবিয়ান’ নামক একটি ভার্চুয়াল প্ল্যাটফর্ম তৈরি করা হয়। যেখানে সমস্যায় জড়িত শিক্ষার্থীদের জন্য সাহায্য চেয়ে পোস্ট করা হয়। এরপর তা সমাধান করা হয়। গত ১০ এপ্রিল দুপুর থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের আর্থিকভাবে অসচ্ছল শিক্ষার্থীদের জন্য “করোনা মোকাবেলায় নোবিপ্রবিয়ানের পাশে নোবিপ্রবিয়ান” এই গ্রুপের কার্যক্রম শুরু হয়। এখন পর্যন্ত মোট সংগ্রহ ৯৮ হাজার ৩৭০ টাকা। এর থেকে ৩৭ জন নোবিপ্রবিয়ানকে উপহার হিসেবে দেওয়া হয়েছে ৬৩ হাজার টাকা।

ফিশারিজ ইন মেরিন সায়েন্স বিভাগের শিক্ষার্থী ও নোবিপ্রবিয়ানের পাশে নোবিপ্রবিয়ান গ্রুপের কো-অর্ডিনেটর মাইনুদ্দীন পাঠান বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের অনেক শিক্ষার্থী করোনার এই পরিস্থিতিতে ঘরে খাবার খেতে কষ্ট হয়ে যাচ্ছে। এমনও অনেক শিক্ষার্থী আছে যাদের বাসায় আয়ের কেউ নাই, টিউশন করে নিজে চলতো এবং বাসায় টাকা পাঠাতো কিন্তু এই মুহুর্তে সব বন্ধ থাকায় বিপাকে পড়েছে এসব শিক্ষার্থীরা। 

এছাড়া এলাকায় চেয়ারম্যান, মেম্বার ত্রাণ দিলেও সে বিশ্ববিদ্যালয় পড়ে বলে আত্মসম্মানবোধ রক্ষার্থে ত্রাণের জন্য কোথাও যেতে পারছেনা। এসকল শিক্ষার্থীদের আমরা উপহার হিসেবে কিছু সহযোগিতা করে পাশে দাঁড়াতে চাই। এছাড়া শিক্ষকদের সহযোগিতা ও অনুপ্রেরণায় আমাদের কার্যক্রম এতদূর এসেছে। আমরা বিশ্ববিদ্যালয়ের আর্থিকভাবে অসচ্ছল প্রতিটি শিক্ষার্থীকে সহযোগিতা করার জন্য সর্বোচ্চ চেষ্টা করে যাচ্ছি।

বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতির সভাপতি ও প্রক্টর ড. নেওয়াজ মোহাম্মদ বাহাদুর বলেন,আমি তাদের এই মহৎ উদ্যোগকে সাধুবাদ জানাই। আমরা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা ইতিমধ্যে একদিনের বেতন প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিলে পাঠিয়েছি। পাশাপাশি আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের অসচ্ছল শিক্ষার্থীদের জন্য শিক্ষক সমিতি একটা ফান্ড গঠন করার চেষ্টা করছি। দেশের এই ক্লান্তিলগ্নে শিক্ষক, শিক্ষার্থী থেকে শুরু করে সবাইকে নিজ নিজ জায়গা থেকে এগিয়ে আসতে হবে। তা হলেই এই দুর্যোগ মোকাবিলা করা সম্ভব। সবাই বাসায় থাকুক, নিরাপদে থাকুক এটাই কামনা করছি।
কেআই/