ঢাকা, শনিবার   ২৩ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ৮ ১৪৩১

জেলেদের জন্য ২৪ হাজার টন চাল বরাদ্দ

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ০৭:১৯ পিএম, ১৬ এপ্রিল ২০২০ বৃহস্পতিবার | আপডেট: ০৭:৩৭ পিএম, ১৬ এপ্রিল ২০২০ বৃহস্পতিবার

কক্সবাজার শহরের বাঁকখালী নদীর তীরে নোঙর করে রাখা মাছ ধরার ট্রলার- সংগৃহীত

কক্সবাজার শহরের বাঁকখালী নদীর তীরে নোঙর করে রাখা মাছ ধরার ট্রলার- সংগৃহীত

জাটকা আহরণ থেকে বিরত রাখতে দেশের ২০ জেলার ৯৬টি উপজেলায় জেলেদের জন্য ২৪ হাজার ১০৩ টন ভিজিএফ চাল বরাদ্দ দিয়েছে সরকার। বরাদ্দের এ বিষয়টি আজ বৃহস্পতিবার মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় এক আদেশে জানিয়েছে।

এর আগে চলতি অর্থবছরের ফেব্রুয়ারি-মার্চ দুই মাস একই উপজেলাগুলোতে ২ লাখ ৮০ হাজার ৯৬৩টি জেলে পরিবারকে ২২ হাজার ৪৭৭ টন ভিজিএফ চাল দেয়া হয়েছে। চাল বিতরণের ক্ষেত্রে ফেব্রুয়ারি-মার্চ মাসে খাদ্য সহায়তা না পাওয়া জেলেদের অগ্রাধিকার দেয়ার কথা বলা হয়েছে। 

মন্ত্রণালয়টির উপসচিব আলমগীর হোসেন স্বাক্ষরিত আদেশে বলা হয়েছে, জাটকা আহরণে বিরত থাকা মোট ৩ লাখ ১ হাজার ২৮৮টি জেলে পরিবার প্রতিমাসে ৪০ কেজি হারে আগামী দুই মাস (এপ্রিল ও মে) এ সহায়তা পাবে।  

বরাদ্দপ্রাপ্ত ২০ জেলার ৯৬ উপজেলাগুলো হলো— ঢাকার দোহার; মানিকগঞ্জের শিবালয়, দৌলতপুর ও হরিরামপুর; রাজবাড়ীর সদর, পাংশা, কালুখালী ও গোয়ালন্দ; শরীয়তপুরের জাজিরা, ভেদরগঞ্জ, নড়িয়া ও গোসাইরহাট; মাদারীপুরের সদর, কালকিনি ও শিবচর; ফরিদপুরের সদর, মধুখালী, সদরপুর ও চরভদ্রাসন; মুন্সিগঞ্জের সদর, শ্রীনগর, লৌহজং, টংগিবাড়ী ও গজারিয়া; ভোলার সদর, বোরহানউদ্দিন, চরফ্যাশন, দৌলতখান, তজুমদ্দিন, লালমোহন ও মনপুরা; পটুয়াখালীর সদর, কলাপাড়া, বাউফল, গলাচিপা, দুমকি, দশমিনা, মির্জাগঞ্জ ও রাঙাবালি; বরিশালের সদর, মুলাদী, হিজলা, বানারীপাড়া, উজিরপুর, বাকেরগঞ্জ, মেহেন্দিগঞ্জ, বাবুগঞ্জ ও গৌরনদী; পিরোজপুরের সদর, মঠবাড়িয়া, ভান্ডারিয়া, ইন্দুরকানী, নেছারাবাদ, কাউখালী ও নাজিরপুর; বরগুনার সদর, পাথরঘাটা, আমতলী, বামনা, বেতাগী ও তালতলি; ঝালকাঠির সদর, রাজাপুর, নলছিটি ও কাঁঠালিয়া; চাঁদপুরের সদর, হাইমচর, মতলব উত্তর ও মতলব দক্ষিণ; লক্ষ্মীপুরের সদর, কমলনগর, রামগতি ও রায়পুর; ফেনীর সোনাগাজী; নোয়াখালীর সদর, হাতিয়া, সুবর্ণচর ও কোম্পানীগঞ্জ; চট্টগ্রামের সদর, বাঁশখালী, সীতাকুণ্ড, সন্দ্বীপ, আনোয়ারা ও মিরসরাই; বাগেরহাটের সদর, মোরেলগঞ্জ, ফকিরহাট, মোংলা, কচুয়া, শরণখোলা ও রামপাল এবং সিরাজগঞ্জের সদর, কাজীপুর, চৌহালি, বেলকুচি ও শাহজাদপুর।

উল্লেখ্য, প্রতি বছর ১ নভেম্বর থেকে ৩০ জুন পর্যন্ত প্রজনন মৌসুমে টানা ৮ মাস দেশের নদ-নদীতে জাটকা ধরা বন্ধ থাকে। 

এমএস/এনএস