লালপুরে কৃষককে পেটানো সেই ইউপি চেয়ারম্যান গ্রেফতার
নাটোর প্রতিনিধি
প্রকাশিত : ০৫:৩২ পিএম, ১৭ এপ্রিল ২০২০ শুক্রবার | আপডেট: ০৬:৪৫ পিএম, ১৭ এপ্রিল ২০২০ শুক্রবার
নাটোরের লালপুরে ৩৩৩ এ ফোন করে ত্রাণ চাওয়ায় কৃষক শহিদুল ইসলামকে পেটানোর ঘটনায় সেই ইউপি চেয়ারম্যানকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। শুক্রবার উপজেলার অর্জুনপুর-বরমহাটি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আব্দুস সাত্তারকে পাবনার ঈশ্বরদী থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
শুক্রবার দুপুরে পুলিশ সুপার লিটন কুমার সাহা নিজ কার্যালয় প্রাঙ্গনে এক প্রেস ব্রিফিং গ্রেফতারের সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় শুক্রবার সকাল ১০ টায় পাবনার ঈশ্বরদী এলাকায় আত্মগোপনে থাকা অবস্থায় তাকে গ্রেফতার করা হয়। ৩৩৩ তে ফোন করে ত্রাণ চাওয়ায় গত ১২ এপ্রিল কৃষক শহিদুল ইসলামকে ইউপি কার্যালয়ে ডেকে নিয়ে দুই সহযোগী সহ মারপিট করেন চেয়ারম্যান আব্দুস সাত্তার। ঘটনার পর পরই গা-ঢাকা দেন ইউপি চেয়ারম্যান ও উপজেলার ডহরশৈলা গ্রামের মৃত চয়েন উদ্দিন সরকারের ছেলে আব্দুস সাত্তার।
পুলিশ সুপার প্রেস ব্রিফিংয়ে বলেন, হট লাইন ৩৩৩ নম্বরে ফোন করে এলাকার মানুষদের জন্য ত্রাণ চাওয়ায় কৃষক শহিদুলের ওপর ইউপি চেয়ারম্যান ক্ষুদ্ধ হন। ১২ এপ্রিল দুপুর আড়াইটার দিকে অভিযুক্ত রুবেল সহ অজ্ঞাত এক গ্রাম পুলিশ তার বাড়িতে যায় এবং ইউপি কার্যালয়ে ইউএনও এসেছেন বলে কৃষক শহিদুল ইসলামকে ইউপি কার্যালয়ে ডেকে নেয়। ইউপি কার্যালয়ে যাওয়ার পর পরই তাকে অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ ও ভয়ভীতি সহ হুমকি প্রদান করতে থাকে। এক পর্যায়ে তারা শহিদুলকে একটি কক্ষের মধ্যে নিয়ে দরজা বন্ধ করে ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুস সাত্তার গ্রাম পুলিশের লাঠি দিয়ে শহিদুলের শরীরের বিভিন্নস্থানে এলোপাতাড়ী মারপিট করে জখম করে। এই ঘটনায় এবি (অর্জুনপুর-বরমহাটি) ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সহ তার সহযোগী এবি (অর্জুনপুর-বরমহাটি) ইউনিয়নের ৫ নং ওয়ার্ড সদস্য মো. হাবিবের ছেলে মো. রেজা ও আঙ্গারীপাড়া গ্রামের হযরত আলীর ছেলে মো. রুবেলের বিরুদ্ধে নির্যাতিত শহিদুল বাদী হয়ে লালপুর থানায় মামলা করেন।
১৫ এপ্রিল ওই মামলা দায়েরের পর পুলিশ ইউপি চেয়ারম্যান সহ অভিযুক্তদের গ্রেফতারে অভিযানে নামে। কিন্তু তারা সকলেই পলাতক থাকায় তাৎক্ষনিক তাদের আটক করা যায়নি।
আরকে/