রাজধানীর ১৩ ব্যবসা প্রতিষ্ঠানকে জরিমানা
একুশে টেলিভিশন
প্রকাশিত : ০৬:১৩ পিএম, ১৮ এপ্রিল ২০২০ শনিবার
অভিযানে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা
ঢাকা মহানগরীর বিভিন্ন বাজারে চালের বস্তায় ওজনে কারচুপি, নিত্য প্রয়োজনীয় মোড়কবিহীন পণ্যের মূল্য তালিকা সংরক্ষণ না করা ও ধার্য্যকৃত মূল্যের অধিক মূল্যে পণ্য বিক্রয় করার অপরাধে ১৩টি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানকে ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ আইন-২০০৯ অনুযায়ী ২৬ হাজার ৫০০ টাকা জরিমানা করা হয়।
শনিবার (১৮ এপ্রিল) ছুটিরদিনে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বাবলু কুমার সাহার সার্বিক নির্দেশনায় ও পরিচালক প্রশাসন শামীম আর মামুনের তত্ত্বাবধানে অধিদপ্তরের ৯ জন কর্মকর্তার নেতৃত্বে রাজধানীর ২২টি বাজারে (পাইকারি ও খুচরা) এ অভিযান পরিচালনা করে জরিমানা করা হয়।
অভিযানে নেতৃত্ব দেন ঢাকা বিভাগীয় কার্যালয়ের উপপরিচালক (উপসচিব) জনাব মনজুর মোহাম্মদ শাহরিয়ার, প্রধান কার্যালয়ের উপপরিচালক জনাব আফরোজা রহমান, বিকাশ চন্দ্র দাস ও সহকারী পরিচালক শাহনাজ সুলতানা, আব্দুল জব্বার মন্ডল, রজবী নাহার রজনী, রোজিনা সুলতানা, মাগফুর রহমান, মাহমুদা আক্তার।
ঢাকা মহানগরের মধ্যবাড্ডা বাজার, উত্তর বাড্ডা বাজার, বসুন্ধরা রোড কাঁচাবাজার, বারিধারা নতুন বাজার, গুলসান-১ কাঁচা বাজার, গুলসান-২ বাজার, বনানী কাঁচাবাজার, মহাখালী কাঁচাবাজার, মধুবাগ বাজার, রামপুরা বাজার, খিলগাঁও বাজার, শান্তিনগর বাজার, যাত্রাবাড়ী বাজার, ধুপখোলা বাজার, দয়াগঞ্জ বাজার, এজিবি কলোনি বাজার, তালতলা বাজার, শুক্রাবাদ বাজার, কল্যাণপুর বাজার, কারওয়ান বাজার, হেমায়েতপুর বাজার ও আমিনবাজারে তদারকিমূলক এ অভিযান পরিচালিত হয়।
এছাড়া ঢাকার বাইরে বিভাগে উপ-পরিচালক ও জেলায় সহকারী পরিচালক নেতৃত্বে ৬৬টি বাজারে অভিযান পরিচালিত হয়।
এছাড়াও মহানগরের ১৫টি স্থানে টিসিবির ন্যায্য মূল্যের পণ্য বিক্রয় (ট্রাকসেল) তদারকি করা হয় এবং ভোক্তাদের সরকার নির্ধারিত স্বাস্থ্যবিধি মেনে ও সামাজিক দুরত্ব বজায় রেখে পণ্য ক্রয় করতে আহ্বান জানানো হয়।
অভিযান প্রসঙ্গে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বাবলু কুমার সাহা বলেন, "ভোক্তা স্বার্থ সংরক্ষণে আমরা নিত্যপণ্যের আড়ৎ থেকে শুরু করে খুচরা বাজারসহ শহর এবং গ্রামের বাজার পর্যন্ত তদারকি করছি। আসন্ন রমজানে ও করোনা ভাইরাসকে পুঁজি করে নিত্য পণ্য নিয়ে কোন অসাধু ব্যক্তি যেন কারসাজি করতে না পারে এবং নিত্যপণ্যের বাজার যেন সাধারণ জনগণের হাতের নাগালে স্থিতিশীল থাকে, সে জন্যই আমাদের তদারকি অভিযান চালিয়ে যাচ্ছি।"
এনএস/