ভারতে আক্রান্ত ১৫ হাজার ছাড়িয়েছে, মৃত্যু ৫০৭
একুশে টেলিভিশন
প্রকাশিত : ১২:২২ পিএম, ১৯ এপ্রিল ২০২০ রবিবার
ইউরোপ ও আমেরিকার ন্যায় ভয়াবহ না হলেও প্রতিদিনই আক্রান্ত ও মৃত্যুর মিছিল ভারি হচ্ছে দক্ষিণ এশিয়ায়। যার সবচেয়ে বেশি ভুক্তভোগী ভারত। যেখানে প্রতিদিনই দীর্ঘ হচ্ছে আক্রান্ত ও মৃতের সারি।
গত ২৪ ঘণ্টায় দেশটিতে ১ হাজার ৩২৯ জন আক্রান্ত হয়েছেন। এতে করে সংক্রমিতের সংখ্যা বেড়ে ১৫ হাজার ৭০৭ জনে দাঁড়িয়েছে। অপরদিকে, মারা গেছেন আরও ২৭ জন। ফলে করোনায় ভারতে প্রাণ হারাদের সংখ্যা বেড়ে ৫০৭ জনে ঠেকেছে।
আজ রোববার কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের বরাত দিয়ে এনডিটিভি এ খবর জানিয়েছে।
শনিবার প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিংহ তার বাসভবনে মন্ত্রীদের সঙ্গে একটি বৈঠক করেন। এই পরিস্থিতিতে সাধারণ মানুষকে ত্রাণ দিতে মন্ত্রণালয় কী ভূমিকা নিতে পারে তা নিয়ে বৈঠকে আলোচনা হয়।
কয়েক দিন আগে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ঘোষণা অনুযায়ী ২০ এপ্রিলের পর সংক্রমণ দেখা যায়নি, এমন স্থানে কিছু কিছু আর্থিক সহায়তা জোরদার করা হবে। পরে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ দিল্লিতে নর্থ ব্লকে ওয়ার রুমে কোভিড-১৯ পরিস্থিতি পর্যালোচনা করেন।
ভারতের স্বাস্থ্যমন্ত্রণালয় জানিয়েছে, করোনায় সুস্থ হয়ে ওঠার পরিসংখ্যান দেখে বোঝা যাচ্ছে পরিস্থিতির উন্নতি হচ্ছে। রোববার সকালে সুস্থ হয়ে ওঠার পরিমাণ ১৪ দশমিক ২ শতাংশ। শনিবার যা ছিল ১৩ দশমিক ৮৫। তারও আগের দিনগুলোয় গড় ছিল যথাক্রমে ৯ দশমিক ৯৯, ১১ দশমিক ৪১, ১২ দশমিক ০২ ও ১৩ দশমিক ০৬ শতাংশ।
১২ রাজ্যের ২২টি নতুন জেলায় গত ১৪ দিনে নতুন করে সংক্রমণের কথা জানা যায়নি বলে শনিবার এক প্রেসি ব্রিফিংয়ে দাবি করেন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রলয়ের কর্মকর্তা লব আগরওয়াল।
দিল্লির নিজামুদ্দিনের তাবলীগের সমাবেশে যোগ দেয়া করোনার রোগীর সংখ্যা ৪ হাজার ছাড়িয়েছে। শনিবার পর্যন্ত মোট আক্রান্ত ছিল ১৪ হাজার ৩৭৮ জন। এর মধ্যে ৪ হাজার ২৯১ জনই ওই জামাতের সংস্পর্শে আসা ব্যক্তি।
আর রাজ্যগুলোর মধ্যে সংক্রমণের দিক থেকে এখনও শীর্ষে মহারাষ্ট্র। সেখানে এখন পর্যন্ত ৩ হাজার ৬শ জনের বেশি মানুষ আক্রান্ত হয়েছেন। আর শনিবার পর্যন্ত এশিয়ার সর্ববৃহৎ বস্তি এলাকা মুম্বইয়ের ধারাভিতে আক্রান্ত ১১৭ জন।
চলমান লকডাইন অবস্থায় দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল সকলকে সতর্ক করে বলেন, এসময় সময় সামাজিক দূরত্ব মেনে চলা একান্ত জরুরি। জাহাঙ্গিরপুরীর উদাহরণ টেনে তিনি বলেন, ‘যেখানে একই পরিবারের ২৬ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। তারা পরস্পরের আশপাশেই বাস করেন।’
করোনা সংক্রমণের পরিস্থিতিতে স্বাস্থ্যকর্মীদের উপরে হামলার ঘটনা ঘটেই চলেছে। সবশেষ মধ্যপ্রদেশের দেওয়াস জেলায় এ ঘটনা ঘটে। সেখানকার একদল স্যানিটেশন কর্মীদের উপরে চড়াও হয় স্থানীয় জনতা। এছাড়াও বিহারে বৃহস্পতিবার এই ধরনের চারটি ঘটনা ঘটে।
মে মাসের প্রথম সপ্তাহে সম্ভবত করোনা সংক্রমণের হার শীর্ষে পৌঁছবে ভারতে। তারপর থেকে আক্রান্তের পরিমাণ কমতে শুরু করবে বলে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয় সূত্রে জানানো হয়েছে।
সারা বিশ্বে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণে মৃতের সংখ্যা ১ লাখ প্রায় ৬১ হাজার। গত বছরের ডিসেম্বরে চিনের উহান শহর থেকে ছড়িয়ে পড়ার পর এই ভাইরাসের সংক্রমণ দেখা গিয়েছে প্রায় ২৩ লাখ মানুষের শরীরে।
এআই/